Ghatal: ক্যানসার কাড়ল স্বামীকে, ঋণ পরিশোধ করতে না পারায় মাথার ছাদটুকু কাড়ল ব্যাঙ্ক
Ghatal: কিন্তু পারেননি মেটাতে। শেষমেশ বাড়ি চলে গেল ব্যাঙ্কের কবজায়। এখন খোলা আকাশের নীচে ওই পরিবার। কীভাবে ফিরে পাবেন বসত ভিটে? দুশ্চিন্তায় রয়েছেন তাঁরা।
ঘাটাল: অভাবের সংসার। স্বামী ক্যানসার আক্রান্ত। তাঁর চিকিৎসার জন্য শেষ পুঁজিটুকুও খরচ হয়ে গিয়েছে। শেষে উপায় না দেখে বছর ছাপান্নর স্ত্রী ব্যাঙ্কের কাছে বসত বাড়ি বন্ধক রেখে ৫ লক্ষের ঋণ নিয়েছিলেন। তবে যাঁর জন্য এতকিছু সেই স্বামীই চলে গেলেন অকালে। এদিকে, রোজ ব্যাঙ্কের নোটিস আসত বাড়িতে। সুদে-আসলে টাকা মেটানোর জন্য। কিন্তু পারেননি মেটাতে। শেষমেশ বাড়ি চলে গেল ব্যাঙ্কের কবজায়। এখন খোলা আকাশের নীচে ওই পরিবার। কীভাবে ফিরে পাবেন বসত ভিটে? দুশ্চিন্তায় রয়েছেন তাঁরা।
ঘটনাটি পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল থানার রামচন্দ্রপুর এলাকার। স্থানীয় সূত্রে খবর, ২০১২ সালে বাড়ি বন্ধক রেখে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্ক থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা ঋণ নেন মালতি পান্ডে। সেই ঋণ শোধ না করায় বাড়ির আসবাবপত্র বের করে বাড়ি সিল করে দখল নেয় ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ। সঙ্গে বাড়িটি বিক্রির নোটিসও দেওয়া হয়েছে।
মালতি দেবীর দাবি, ওনার স্বামী ক্যানসার আক্রান্ত হওয়ার কারণে পরিবারের সমস্ত পুঁজি শেষ হয়ে গিয়েছিল। শেষমেশ এক বছর আগে স্বামী মারা যান। তাই তিনি ব্যাঙ্কের ঋণ পরিশোধ করতে পারেননি।
শুক্রবার ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ আদালতের নির্দেশে বিশাল পুলিশ বাহিনী-সহ প্রৌঢ়ার বাড়িতে পৌঁছন। সিল করে দেওয়া হয় বাড়িটি। কর্তৃপক্ষর বক্তব্য, ২০০৬ সালে পাঁচ লক্ষ টাকা ঋণ নিয়েছিল ওই পরিবার। প্রথমে অল্প কিছু টাকা শোধ করলেও পরে আর টাকা শোধ করেননি। গত ১২ বছর ধরে বার বার পরিশোধের জন্য ব্যাঙ্ক নোটিস পাঠিয়েছে। কিন্তু বারে বারে প্রতিশ্রুতি দিয়েও ঋণ পরিশোধ করেনি পরিবারের সদস্যরা। ব্যাঙ্ক জানিয়েছে, বাড়ি বিক্রি করে লোনের টাকা পরিশোধ নেওয়া হবে। সুদে আসলে টাকার পরিমাণ বর্তমানে আট লক্ষের বেশি।
ওই পরিবারের এক সদস্য বলেন, “আমাদের পরিবারের এক সদস্য ক্যানসারে ভুগছিলেন। তাই টাকা পরিশোধ করতে পারেননি।” এখন সাহায্য চাইছেন মালতী দেবী। ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বলেন, “আগামী সাত দিনের মধ্যে বাড়ি বিক্রির বিজ্ঞাপণ দেওয়া হবে। এবং বাড়িটি বিক্রি করে টাকা পরিশোধ করে নেওয়া হবে। এই বিষয়ে ঘাটাল ব্লক তৃণমূল সভাপতি দিলীপ মাঝি বলেন, “আমরা অসহায় পরিবারটির পাশে রয়েছি।”
এ দিকে, মাথা গোঁজার জায়গা হারিয়ে যাওয়ায় খোলা আকাশের নিচে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় কৃষক পরিবার। কোথায় যাবেন তাঁরা। কীভাবে চলবে তাঁদের?