বাংলার বন্যায় স্বজনহারা পরিবারগুলির জন্য বড় ঘোষণা মোদীর, রয়েছে আহতদের জন্য সাহায্যও

PM Narendra Modi: নবান্ন সূত্রে খবর, বন্যা পরিস্থিতির জেরে বুধবার বিকেল পর্যন্ত ইতিমধ্যেই ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে গোটা রাজ্যে।

বাংলার বন্যায় স্বজনহারা পরিবারগুলির জন্য বড় ঘোষণা মোদীর, রয়েছে আহতদের জন্য সাহায্যও
ছবি-PTI
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 04, 2021 | 10:04 PM

কলকাতা: বাংলার বন্যা নিয়ে উদ্বেগে রয়েছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ফোনালাপেও সে কথা জানিয়েছিলেন তিনি। সন্ধ্যা হতেই বন্যায় দুর্গতদের জন্য বড় ঘোষণা করলেন তিনি। বুধবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর দফতরের তরফে জানানো হয়, বাংলার বন্যায় প্রাণ হারানো প্রত্যেক ব্যক্তির পরিবারকে কেন্দ্রের তরফে ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। যারা আহত হয়েছেন, তাঁদের হাতেও ৫০ হাজার টাকার ক্ষতিপূরণ তুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র।

নবান্ন সূত্রে খবর, বন্যা পরিস্থিতির জেরে বুধবার বিকেল পর্যন্ত ইতিমধ্যেই ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে গোটা রাজ্যে। ডিভিসি-র ছাড়া অতিরিক্ত জলের কারণেই যে বাংলার একাধিক জেলায় বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে তা কার্যত মেনে নিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর দফতর। বিস্তারিত পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজও নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও একে ‘ম্যান মেড’ বন্যা আখ্যা দিয়েছেন। যদিও ডিভিসির পক্ষ থেকে পালটা দাবি করা হয়েছে, রাজ্যকে জানিয়েই জল ছাড়া হয়েছে। নদীগুলিতে পলি জমে নব্যতা কমে যাওয়ার কারণে অতিরিক্ত জল ধরে রাখা সম্ভব হচ্ছে না।

এই ‘ম্যান মেড’ বন্যার জেরে প্রভূত ক্ষতির মুখে পড়েছেন কৃষকেরাও। আনুমানিক ৪ লক্ষ হেক্টর কৃষিজমি জলের তলায় চলে গিয়েছে। ৬০ শতাংশ জমিতে বীজতলা রোপন করা হয়েছিল। যদি দু-একদিন এর মধ্যে জল না নামে, তাহলে এই জমির প্রভূত ক্ষতি হবে বলে আশঙ্কায় রয়েছে কৃষি দফতর।

নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, শিলাবতী, কংসাবতী এবং দামোদরের জল মাত্রাতিরিক্ত রকম বেড়ে যাওয়ার ফলে হাওড়া-মেদিনীপুর ও হুগলির বিস্তীর্ণ অঞ্চল বানভাসি হয়ে গিয়েছে। সাধারণত গোটা বছরে রাজ্যে ১৪০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়। কিন্তু বুধবার পর্যন্ত রাজ্যে ৬০০ মিলিলিটার বৃষ্টিপাত হয়ে গিয়েছে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে। এর পাশাপাশি আরও খবর, গত ১ অগস্ট তেনুঘাট জলাধার থেকে ১ লক্ষ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। যেটা মঙ্গলবার রাতে এসে পৌঁছেছে বঙ্গে। যার ফলে এক লক্ষ ১৫ হাজার কিউসেক জল এ রাজ্যে পাঞ্চেত ও মাইথন এবং দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে ছাড়া হয়েছে। যে কারণে পরিস্থিতি বদলের কোনও সম্ভবনা আপাতত দেখতে পাচ্ছে না নবান্ন। আরও পড়ুন: বানভাসি বঙ্গে মৃত ২৩, জলের তলায় কয়েক লক্ষ হেক্টর কৃষিজমি, প্রভূত ক্ষতির আশঙ্কায় রাজ্য