Potato: চৈত্রের অকাল বর্ষণে বিঘার পর বিঘা জলের তলায়, মাথায় হাত আলুচাষিদের

গত দু-দিন ধরে ব্যাপক ঝড় ও তার সঙ্গে শিলাবৃষ্টি হয়েছে উত্তরবঙ্গে (North Bengal)। যার ফলে জল জমে গিয়েছে আলুক্ষেতে।

Potato: চৈত্রের অকাল বর্ষণে বিঘার পর বিঘা জলের তলায়, মাথায় হাত আলুচাষিদের
জলের তলায় আলুর ক্ষেত।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 18, 2023 | 9:10 PM

জলপাইগুড়ি: হিমঘরে আলু (Potato) রাখার বন্ড নিয়ে হাহাকার চলছিলই। এর মধ্যে চৈত্রের অকাল বর্ষণে জলের তলায় চলে গিয়েছে আলুক্ষেত। একেবারে হাঁটুজল জমেছে। ফলে মাথায় হাত পড়েছে আলু চাষিদের। এবারও কি ক্ষতির মুখে পড়তে হবে? জমিতেই নষ্ট হবে আলু? দুশ্চিন্তায় ঘুম উড়েছে আলু চাষিদের।

জানা গিয়েছে, গত দু-দিন ধরে ব্যাপক ঝড় ও তার সঙ্গে শিলাবৃষ্টি হয়েছে উত্তরবঙ্গে (North Bengal)। যার ফলে জল জমে গিয়েছে আলুক্ষেতে। যেমন, ডুয়ার্সের গয়েরকাটার সাঁকোয়াঝোড়া-১ গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রায় ৪০ থেকে ৫০ বিঘা আলুক্ষেত এখনও জলের তলায়। জলের তলায় আলু বেশিদিন থাকলে পচন ধরতে পারে। কৃষকেরা আপ্রাণ চেষ্টা করছেন জমির আলু বাঁচানোর। কিন্তু, জল বের করার কোনও উপায় নেই বলে দাবি কৃষকদের। তাই ক্ষতির আশঙ্কা করছেন তাঁরা।

যদিও আলু চাষিদের আশ্বস্ত করছেন জেলা কৃষি অধিকর্তা। তাঁর দাবি, আলুর বয়স ৮০ থেকে ৯০ দিন পেরিয়ে গিয়েছে। তাই এক দু-দিন জলের তলায় আলু থাকলে তেমন কোনও ক্ষতির সম্ভাবনা নেই। কিন্তু, আধিকারিকের আশ্বাসেও দুশ্চিন্তা কাটছে না চাষিদের। সাঁকোয়াঝোড়া-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের আলুচাষি সুদেব মন্ডল বলেন, “লোন ধার করে আলু করেছি। এবারেও বিরাট ক্ষতির সম্মুখীন হতে হতে চলেছি। ২০ – ২৫ বিঘে আলু এখনও পর্যন্ত জলের নীচে রয়েছে। গতবছরও একই সমস্যায় পড়েছিলাম। আবার বৃষ্টি এলে বাড়িতে ফসল নিয়ে যাওয়া কোনভাবেই সম্ভব হবে না।” একইভাবে দুশ্চিন্তা প্রকাশ করেছেন তাপস মন্ডল নামে আরেক আলুচাষি। তিনি বলেন, “ফলন যেমন কম হয়েছে, তার মধ্যে আলুর বাজার ও নেই। এর উপর জমিতে জল দাঁড়িয়ে গিয়েছে। বৃষ্টিতে জল, কাদায় শ্রমিকরা কাজ করতে চাইছে না। একে তো আলুর দাম নেই তার মধ্যে বৃষ্টি ফসল তুলতে সমস্যা। এর উপর হিমঘরের বন্ড নিয়ে কালোবাজারি চলছে। কি করব বুঝতে পারছি না।”

যদিও এবারে আলুর ভাল ফলন হয়েছে বলে দাবি কৃষি দফতরের। ধূপগুড়ির (Dhoopguri) জেলা সহ কৃষি অধিকর্তা তিলক বর্মন। বলেন, “এবছর আলুর ফলন ভাল হয়েছে। প্রতি বিঘাতে ৮০ থেকে ৮৫ প্যাকেট আলু হয়েছে। যেহেতু এ বছর রোগ-পোকার আক্রমণ কম হয়েছে এবং রাসায়নিক সারের প্রয়োগ কম হয়েছে, তাই কৃষকরা লাভের মুখ দেখতে পারবেন।” আবার হিমঘরের কালোবাজারি নিয়ে তাঁর দাবি, “আলুর বন্ড ওপেন টু অল করে দেওয়া হয়েছে। ক্ষুদ্র এবং প্রান্তিক চাষিরা সকলেই বন্ড পেয়েছেন। এবছর ধূপগুড়ি এবং বানারহাট ব্লকে ১ কোটি প্যাকেট আলু উৎপাদন হয়েছে। তবে আমাদের দুই ব্লকে আলু হিমঘরে রাখার ২৪ লক্ষ প্যাকেট রাখার জায়গা রয়েছে। তাই সবাইকে সন্তুষ্ট করা সম্ভব যাবে না। কিছু জায়গায় খামতি থেকে যাবে।” তবে অধিকর্তা যা-ই বলুন, জলের ডুবে থাকা ক্ষেত থেকে এখন কী ভাবে আলু বাঁচানো যাবে, তা নিয়েই চিন্তিত চাষিরা।