Katwa: নদীতে স্নান করতে নেমে ডুবতে বসেছিলেন বৃদ্ধ, চার খুদের সাহসিকতায় বাঁচল প্রাণ

Purba Bardhaman news: স্নান করতে নেমে ছেলের হাত ছাড়িয়ে নদীতে তলিয়ে যাচ্ছিলেন বাবা। সেই সময়েই সাহসী ঝাঁপ ষষ্ঠ শ্রেণির এক পড়ুয়ার। ঘাটে ছিল ওই খুদের আরও তিন বন্ধু। সে একা ওই বৃদ্ধকে বাঁচাতে গিয়ে হিমসিম খাচ্ছে দেখে ঝাপ দেয় বাকি তিন বন্ধুও।

Katwa: নদীতে স্নান করতে নেমে ডুবতে বসেছিলেন বৃদ্ধ, চার খুদের সাহসিকতায় বাঁচল প্রাণ
কাটায়োর চার খুদে
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 08, 2022 | 10:08 PM

কাটোয়া : ভাগীরথী নদীতে ছেলেকে সঙ্গে স্নান করতে নেমেছিলেন বৃদ্ধ বাবা। কিন্তু ক্ষনিকের অসতর্কতা… আর তাতেই বিপত্তি। স্নান করতে নেমে ছেলের হাত ছাড়িয়ে নদীতে তলিয়ে যাচ্ছিলেন বাবা। সেই সময়েই সাহসী ঝাঁপ ষষ্ঠ শ্রেণির এক পড়ুয়ার। ঘাটে ছিল ওই খুদের আরও তিন বন্ধু। সে একা ওই বৃদ্ধকে বাঁচাতে গিয়ে হিমসিম খাচ্ছে দেখে ঝাপ দেয় বাকি তিন বন্ধুও। শেষে চার বন্ধুর সাহসিকতায় জীবন ফিরে পেলেন কাটোয়ার বছর পয়ষট্টির ওই বৃদ্ধ। রবিবার বিকেলে কাটোয়ার দেবরাজ ঘাটের ঘটনা। শেষ জীবনে এসে এই চার খুদে যেভাবে তাঁর জীবন বাঁচাল তা হয়ত কোনওদিন ভুলবেন না তিনি। এদিকে বাবার প্রাণ বাঁচানোয় চার খুদের কাছে কৃতজ্ঞ বৃদ্ধের ছেলেও।

সম্রাট শেখ, রাজ শেখ, ফিরোজ শেখ ও ইশান শেখ। একই পাড়ায় থাকে চারজন। প্রায় সমবয়সি প্রত্যেকে। কাটোয়া ভারতী ভবন বিদ্যালয়ের পড়ুয়া ওরা সবাই। কেউ পড়ে পঞ্চম শ্রেণিতে, কেউ ষষ্ঠ, কেউ আবার নবম শ্রেণির পড়ুয়া। প্রতিদিনই গঙ্গায় স্নান করতে আসে ওরা। রবিবারও এসেছিল। সেই সময়েই সম্রাট শেখের চোখে পড়ে নদীতে স্নান করতে নেমে ছেলের হাত ছাড়িয়ে জলে তলিয়ে যাচ্ছে বৃদ্ধ। এক মুহূর্তে দেরি না করে বৃদ্ধকে বাঁচাতে নদীতে ঝাঁপ দেয় সে। কিন্তু নদীর জলের স্রোত প্রচুর। তার সঙ্গে বৃদ্ধের ভার। দুই একসঙ্গে সামাল দিয়ে জল থেকে বৃদ্ধকে তুলে আনতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছিল সম্রাটকে। ঘাটে থাকা বাকি তিন বন্ধু তা বুঝতে পেরেছিল। তাই তারাও দেরি না করে ঝাঁপ দেয় নদীর জলে। শেষ পর্যন্ত চার বন্ধু মিলে বৃদ্ধকে অক্ষত অবস্থায় জল থেকে তুলে আনে নদীর পাড়ে। জীবন বাঁচে বৃদ্ধের।

জীবন ফিরে পেয়ে বৃদ্ধ চার খুদেকে কুর্নিশ জানিয়েছেন ওই বৃদ্ধ। বাবাকে জীবন্ত অবস্থায় ফিরে পেয়ে চোখে জল সামলে বৃদ্ধের ছেলেও কৃতজ্ঞতা জানায় চার খুদের। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই বৃদ্ধ বলেন, “স্নান করতে নেমে আজ জলে তলিয়ে যেতাম। প্রাণটাই চলে যেত। ভাবিনি বেঁচে যাব। চার খুদে সঠিক সময়ে না বাঁচলে আমার মৃতদেহ বাড়ি ফিরত।” তবে রবিবার বিকেলে যে কাণ্ড ঘটে গিয়েছে, তা বাড়িতে জানাজানি হলে বৃদ্ধের বাড়ি থেকে বেরোনো বন্ধ হয়ে যাবে। তাই তিনি নাম ঠিকানা গোপন রাখার জন্য অনুরোধ করেন। অন্য দিকে চার খুদের উপস্থিত বুদ্ধি ও সাহসিকতার খবর ছড়িয়ে পড়তেই শোরগোল পড়ে যায় কাটোয়ায়। আর ওই চার খুদে? তারা কী বলছে? প্রশ্ন করায় উত্তর, “চোখের সামনে জলে ডুবে যেতে দেখে, নিজেদের জীবনের কথা ভুলেই গিয়েছিলাম”।