Kalna containment zone: হু-হু করে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা! কালনাতে তৈরি হল কনটেইনমেন্ট জ়োন
Purba Bardhaman: কনটেইনমেন্ট জ়োনের মধ্যে রয়েছে ১, ৭, ৮, ৯, ১১, ১২, ১৫ ও ১৮ নম্বর ওয়ার্ড।
কালনা: লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ। কলকাতার (Kolkata) পাশাপাশি জেলাতেও হু-হু করে বাড়ছে সংক্রমণ গ্রাফ। পূর্ব বর্ধমানের (purba Bardhaman) চিত্রটাও একই রকম প্রায়। সংক্রমণ রোধে কালনা পুরসভায় ঘোষণা করা হল আটটি কনটেইনমেন্ট জ়োন।
শহরের দিন-দিন করোনা (Corona) আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। যা উদ্বেগ বাড়িয়েছে পুরসভা ও প্রশাসনের। কনটেইনমেন্ট জ়োনের মধ্যে রয়েছে ১, ৭, ৮, ৯, ১১, ১২, ১৫ ও ১৮ নম্বর ওয়ার্ড। জানা গিয়েছে মোট আটটি ওয়ার্ড কালনা পৌরসভার। এই ওয়ার্ডগুলিতেই আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। তাই এই সমস্ত এলাকা গুলিকে কনটেইনমেন্ট জ়োন বলে ঘোষণা করা হয়েছে।
পাশাপাশি আক্রান্ত মানুষদের সঙ্গে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রাখছে পুরসভা। পুরসভার তরফ থেকে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা আক্রান্তদের বাড়ি-বাড়ি গিয়ে পরীক্ষা করছেন। এছাড়াও কনটেইনমেন্ট জ়োনে আক্রান্তরা যাতে বাড়ির বাইরে বের না হতে পারে ও মেলামেশা না করতে পারে সেই বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে।
পুরসভার চেয়ারম্যান বলেন, “গোটা এলাকাই কনটেইনমেন্ট জ়োন নয়। যে সকল জায়গায় করোনা আক্রান্তের খবর বেশি পাওয়া যাচ্ছে শুধু সেই ওয়ার্ডগুলির গলি গুলিকেই কনটেইনমেন্ট জ়োন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। আগামীকাল থেকে বাজারে বিধি-নিষেধ লাঘু করা হবে। চকবাজারে ঢোকার মুখে যে আটটি রাস্তা আছে সেই আটটি রাস্তাতেই পৌরসভার তরফ থেকে কর্মীরা থাকবেন। মানুষজনকে সচেতন করা হবে। দেওয়া হবে মাস্ক, স্যানিটাইজা়ার। দেখা হবে প্রত্যেকে করোনা বিধি মানছেন কিনা।”
এছাড়াও, পুরসভার তরফে সংক্রমণ রোধে ও মানুষজনদের সচেতনতার জন্য কতগুলি দল তৈরি করা হয়েছে। যারা শহরের বিভিন্ন বাজার ও জমায়েত এলাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় প্রচার চালাবে।
এর আগে করোনার দাপাদাপি বাড়ায় কালনার পূর্বস্থলী এক ব্লকের সমুদ্রগড় পঞ্চায়েতের বিভিন্ন গ্রামে পরিদর্শন করতে দেখা যায় মন্ত্রী স্বপন দেবনাথকে। সচেতনতার প্রচার চালান তিনি। ভিন্ন গ্রামে ঘুরে-ঘুরে বড়দের পাশাপাশি ছোটদের করোনা নিয়ে সচেতনতার প্রচার চালান।
একই সঙ্গে মাস্ক ব্যবহার ,দূরত্ব বিধি ও স্যানিটাইজ়ার ব্যবহারেও কথা বলেন মন্ত্রীমশাই। তিনি বলেন, “আমি আপনাদের কাছে হাত জোড় করে অনুরোধ করছি। মাস্ক ব্যবহার করুন। আমার বোন, ভগ্নিপতি এক সঙ্গে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন। আমি নিজেও আক্রান্ত হয়েছিলাম। তাই দয়া করে মাস্ক পরুন।” এরপর সাংবাদিকদের সামনে তিনি বলেন, “সচেতনতা প্রচারে এর আগেরবারও নেমেছিলাম। আমদের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও নেমেছিলেন প্রচারে। আমার মনে হল মানুষকে আবার সচেতন করা দরকার। তাই সকাল থেকেই হ্যান্ড মাইক নিয়ে বেরিয়েছি। আমি প্রত্যেককেই অনুরোধ করব স্বাস্থ্যবিধি মেনে যা যা করা কর্তব্য তাই যেন জনসাধারণ করে।”
আরও পড়ুন: Ritabrata Banerjee: আইএনটিটিইউসি-র নামে তোলাবাজি চলছে! প্রশাসনের দুয়ারে ধরনার হুঁশিয়ারি ঋতব্রতের