Panchayet: সরকারি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ প্রধান-উপপ্রধানের বিরুদ্ধে, কার্যালয় ভাঙচুর পঞ্চায়েত সদস্যদের

Panchayet: পলাশন পঞ্চায়েতে সদস্য সংখ্যা ১৫ জন। এই ১৫ জনের মধ্যে উপপ্রধান ও প্রধানকে সঙ্গে নিয়ে আরও ৩ সদস্যই পঞ্চায়েতের সমস্ত কার্যকলাপ দেখেন। কিন্তু সেখানেই উঠেছে গোলযোগের অভিযোগ।

Panchayet: সরকারি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ প্রধান-উপপ্রধানের বিরুদ্ধে, কার্যালয় ভাঙচুর পঞ্চায়েত সদস্যদের
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 15, 2022 | 7:16 PM

রায়না: পঞ্চায়েত (Panchayet) অফিস ভাঙচুরের ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা রায়নায়। পঞ্চায়েত অফিস ভাঙচুর করল খোদ পঞ্চায়েত সদস্যরাই। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের রায়না থানার পলাশন পঞ্চায়েতে। এই পঞ্চায়েতের প্রধান ও উপপ্রধান সহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে টাকা তছরূপের অভিযোগ করেছেন খোদ পঞ্চায়েতে সদস্যরা। পঞ্চায়েতের টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে তাঁদের বিরুদ্ধে। যদিও অভিযোগ উঠলেও তা অস্বীকার করেছেন উপপ্রধান। তবে দাবি না মানলে পঞ্চায়েতে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন উত্তেজিত পঞ্চায়েত সদস্যরা।

প্রসঙ্গত, পলাশন পঞ্চায়েতে সদস্য সংখ্যা ১৫ জন। এই ১৫ জনের মধ্যে উপপ্রধান ও প্রধানকে সঙ্গে নিয়ে আরও ৩ সদস্যই পঞ্চায়েতের সমস্ত কার্যকলাপ দেখেন। তাঁদের বিরুদ্ধেই মূল অভিযোগ তুলেছেন বাকি ১০ জন। প্রধান-উপপ্রধানের জন্য দীর্ঘ আট মাস এলাকার কোনও উন্নয়ন হয়নি বলেও অভিযোগ তুলেছেন বাকি সদস্যরা। তাঁদের দাবি এই ৮ মাস এলাকায় মোট ৪০ লক্ষ টাকার কাজ হয়েছে। কিন্তু তার নির্দিষ্ট কোনও হিসাব নেই। এমনকী কোথায় কোন কাজ হয়েছে সে বিষয়ে বাকি সদস্যদের পুরোপুরিভাবে অন্ধকারে রাখা হয় বলেও অভিযোগ। অভিযোগ তাঁদের না জানিয়েই প্রধান-উপপ্রধান তাঁদের সহচরদের সঙ্গে বাকি টাকা আত্মসাৎ করে নিচ্ছেন। 

বিক্ষুব্ধ সদস্যদের দাবি, অবিলম্বে এই টাকার হিসাব দিতে হবে প্রধান-উপপ্রধানকে। কোন কোন কাজে কত টাকা খরচ হয়েছে তাও জানাতে হবে। অন্যথায় পঞ্চায়েত কার্যলেয় তালা ঝুলিয়ে দেওয়ারও হুশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা। এদিকে ইতিমধ্যেই আবার পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যদের বিরুদ্ধে পাল্টা পঞ্চায়েত অফিসে ভাঙচুরের অভিযোগ তুলেছেন খোদ উপপ্রধান। এমনকী পঞ্চায়েতের বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি নষ্ট করে দেওয়ারও অভিযোগ সামনে এসেছে। অন্যদিকে উপপ্রধানের দাবি, এর আগে খরচের খতিয়ান আরটিআই করে জানতে চেয়েছিল বিক্ষুব্ধরা। তা তাঁদের জানানোর পরেও ভাঙচুর করা হয়েছে পঞ্চায়েত অফিসে। সে প্রমাণও রয়েছে তাঁদের কাছে। সূত্রের খবর, এ বিষয়ে প্রশাসনের দ্বারস্থ হতে চলেছেন প্রধান-উপপ্রধান। 

ঘটনা প্রসঙ্গে এক বিক্ষুব্ধ পঞ্চায়েত সদস্য বলেন, সরকারি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ প্রধান-উপপ্রধানের বিরুদ্ধে, কার্যালয় ভাঙচুর পঞ্চায়েত সদস্যদের দল বিরোধি কাজ করতে আমরা এখানে আসেনি। দল আমাদের আগে। কীভাবে এখানে সব কাজ হচ্ছে সে হিসাব আমাদের দিতে হবে। যদি আমাদের না দেয় তাহলে আমরা এখানে অবস্থান বিক্ষোভে বসব।” উপপ্রধান শামসুদ্দিন মন্ডল বলেন, “একাধিকবার মিটিং ডাকা হলেও ওরা আসেনি। বাড়িতে বাড়িতে চিঠি পাঠানো হলেও তাঁরা আসেনি।”