ফোনে আসেনি মেসেজও, মেয়াদ উত্তীর্ণের আগেই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক থেকে উধাও এফডি-র টাকা! কীভাবে?

Bardhaman: ব্যাঙ্কের তরফে এমনই জানিয়ে দেওয়া হয় তাঁকে। এমনকি তাঁর কাছে থাকা ওই ফিক্সড ডিপোজিটের সার্টিফিকেটেও ক্লোজ বলে লিখে দেওয়া হয় ব্যাঙ্কের তরফে।

ফোনে আসেনি মেসেজও, মেয়াদ উত্তীর্ণের আগেই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক থেকে উধাও এফডি-র টাকা! কীভাবে?
প্রতারিত গ্রাহক
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 01, 2021 | 10:33 AM

বর্ধমান: বিশেষভাবে সক্ষম মেয়ের চিকিৎসার জন্য ব্যাঙ্কে টাকা জমিয়েছিলেন। জমানো টাকা তুলতে গিয়ে দেখেন ফিক্সড ডিপোজিটের দুই লক্ষ টাকা উধাও। মেয়াদ উর্ত্তীণ হওয়ার আগেই টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে অ্যাকাউন্ট থেকে। অথচ তিনি ঘুণাক্ষরেও তা টের পাননি। কালনার একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়াল। ব্যাঙ্ক থেকে কীভাবে টাকা গায়েব হল, তার কোনও সদুত্তর নেই কর্তৃপক্ষের কাছেও। পরে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছে প্রতারিত ব্যক্তি। যদিও ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, ব্যাঙ্কে কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের করেননি গ্রাহক। লিখিতভাবে জানালে ব্যাঙ্কের তরফেও তদন্ত করা হবে।

বিডিও অফিসের চাকরি থেকে অবসরের পর এককালীন পাওয়া ২ লক্ষ টাকা কালনার একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের শাখায় ফিক্সড ডিপোজিট হিসাবে গচ্ছিত রেখেছিলেন মধুবন পাড়া এলাকার বাসিন্দা ধীরেন্দ্রনাথ দাস। তাঁর অভিযোগ, ২০১৮ সালে অবসর নেওয়ার পর ওই বছরই ২৯ অগস্ট ২ লক্ষ টাকার একটি ফিক্সড ডিপোজিট করেছিলেন ওই শাখায়।

ওই ফিক্সড ডিপোজিটের ম্যাচিউরিটি ডেট ছিল ২৯ অগস্ট ২০২৩। ছোট মেয়ের শারীরিক অসুস্থতার জন্য চিকিত্সার প্রয়োজনে টাকার দরকার পড়ে ওই ব্যক্তির। তাই এফডি-র  মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার আগেই চলতি মাসে টাকা তুলে নিতে গিয়েছিলেন তিনি। তখনই গিয়ে দেখেন, তাঁর ফিক্সড ডিপোজিটের টাকা গত বছর ২৮ অক্টোবর তাঁর অজান্তে ভাঙানো হয়েছে। অথচ তাঁর ফোনে কোনও মেসেজ যায়নি। কিন্তু এ বিষয়ে কিছুই জানতে পারেননি।

ব্যাঙ্কের তরফে এমনই জানিয়ে দেওয়া হয় তাঁকে। এমনকি তাঁর কাছে থাকা ওই ফিক্সড ডিপোজিটের সার্টিফিকেটেও ক্লোজ বলে লিখে দেওয়া হয় ব্যাঙ্কের তরফে। এরপরই তিনি কালনা থানার দ্বারস্থ হন অবসরপ্রাপ্ত ওই বিডিও অফিস কর্মী।

তাঁর কথায়, “জীবনের সঞ্চয়টুকু ব্যাঙ্কে জমা রেখেছিলাম। এখন মেয়ের চিকিৎসা কীভাবে হবে তাই ভেবে ঠিক করতে পারছি না।” গ্রাহকের কথায়, “আমি অনেক কষ্টে টাকাটা রেখেছিলাম। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে রাখলাম, তাতেও যে এমনটা ঘটবে আমি তো দুঃস্বপ্নেও ভাবিনি। এখন কীভাবে মেয়ের চিকিত্সা করাব, কোথা থেকে টাকা জোগাড় করব, তা বুঝতে পারছি না। দিশেহারা লাগছে আমার।”  কালনা শহরের সেই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের ম্যানেজার ইন্দ্রজিৎ মজুমদার ক্যামেরার সামনে কিছু বলতে রাজি হননি। তিনি মৌখিকভাবে জানান, ওই ব্যক্তি ব্যাঙ্কে কোনেও লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন নি। তিনি মৌখিকভাবে বিষয়টি জানিয়েছেন। লিখিত অভিযোগ করলে বিষয়টি দেখা হবে।

এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই ব্যক্তি। পুলিশ জানিয়েছে, থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কীভাবে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক থেকে এই ঘটনা ঘটল, তা দেখতে হবে। ব্যাঙ্কের লোকের সঙ্গেও কথা বলা হচ্ছে। এই ঘটনায় কেউ জড়িত রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আরও পড়ুন: ‘স্যার আমাকে ফোন করতে বলতেন’, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে আবারও সেই ঘটনা…