Didir Doot : জব কার্ড করতে ৫-৬ হাজার টাকা দিতে হয়? ‘দিদির দূত’ মন্ত্রীকে প্রশ্ন মহিলার

Didir Doot : দিদির দূত কর্মসূচিতে বাংলার গ্রামে গ্রামে ঘুরছেন তৃণমূল নেতা-মন্ত্রীরা। এদিন এই কর্মসূচিতেই কালনায় গিয়েছিলেন সেচ মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক।

Didir Doot : জব কার্ড করতে ৫-৬ হাজার টাকা দিতে হয়? ‘দিদির দূত’ মন্ত্রীকে প্রশ্ন মহিলার
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 20, 2023 | 5:23 PM

কালনা : জব কার্ড করতে গেলে কি পাঁচ থেকে ছয় হাজার টাকা লাগে? এমনই প্রশ্ন করা হল খোদ রাজ্যের মন্ত্রীকে। যা শুনে বিপাকে রাজ্যের সেচ মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক। এদিন পূর্ব বর্ধমানের (Purba Bardhaman) মূলগ্রাম পঞ্চায়েতে দিদির সুরক্ষা কবজ কর্মসূচিতে দিদির দূত হয়ে আসেন রাজ্যের সেচ মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক। তাঁর সঙ্গে ছিলেন ব্লকস্তরের বহু তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতা-কর্মী। এই কর্মসূচিতে এসেই বিপাকে পড়লেন রাজ্যের সেচ মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক। অস্বস্তি বাড়ল শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের। সূত্রের খবর, এদিন গ্রামের মহিলাদের কাছ থেকে অভাব অভিযোগ শোনার সময় প্রকাশ্যে এক মহিলা বলেন জব কার্ড করতে গেলে পাঁচ থেকে ছয় হাজার টাকা দিতে হয়। মন্ত্রীর কাছে তাঁর প্রশ্ন, এই টাকা দেওয়াই কি নিয়ম? সকলের সামনে এই প্রশ্ন শুনে অস্বস্তিতে পড়ে যান মন্ত্রী। 

এরপরেই অভিযোগকারী মহিলার সঙ্গে আলাদা করে কথা বলেন তিনি। দেন নিজের ফোন নম্বরও। ফোন নম্বর দিয়ে মন্ত্রী বলেন এখন থেকে কেউ টাকা চাইলে তাঁর নাম যেন তাঁকে তৎক্ষনাৎ ফোনে জানানো হয়। এরকম ঘটনা ঘটলেই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। এছাড়াও এদিন গ্রামের মানুষেরা মন্ত্রীকে পেয়ে গ্রামে পানীয় জলের অভাব,পর্যাপ্ত আলোর অভাবের কথাও জানান। মন্ত্রী সমস্যা সমাধানেরও আশ্বাস দেন। দ্রুত জলের সমস্যা মিটবে বলেও তিনি জানান। চলছে পরিকল্পনা। তিনি বলেন, “জলের সমস্যা মেটানোর জন্য পরিকল্পনা করা হয়েছে। তবে রাতারাতি তো কিছু হয়ে যায় না। সময় লাগে।” কিন্তু, জব কার্ড নিয়ে যে অভিযোগ উঠেছে তা নিয়ে কী ভাবছেন মন্ত্রী? তাঁর উত্তর, “অভাব-অভিযোগ শুনব বলেই তো আমরা মানুষের কাছে আসছি। সেই অনুযায়ী ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে। তবে আমি দায়িত্ব নিয়ে বলতে পারি একুশের পর থেকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমাদের দলে জিরো টলারেন্স নীতি নেওয়া হয়েছে। ওই সময়ের পর থেকে একটাও দুর্নীতির অভিযোগ কেউ প্রমাণ করতে পারবে না। যা বলা হচ্ছে সবই বস্তাপচা গল্প। কোনও ভিত্তি নেই। এই নতুন তৃণমূলে কোনও দুর্নীতি এখন হয়নি।” 

এ ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসতেই তোপ দেগেছেন পদ্ম নেতারাও। এই বিষয়ে পূর্ব বর্ধমান জেলার বিজেপি সভাপতি গোপাল চট্টোপাধ্যায় বলেন, তৃণমূল সরকার কাটমানির সরকার, তোলাবাজির সরকার এটা প্রমান হচ্ছে। মন্ত্রীর কাছে অভিযোগ করছে জব কার্ড করতে ৫-৬ হাজার টাকা দিতে হবে। টাকা নিচ্ছে তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। এই সব নেতা-কর্মীদের শায়েস্তা করার ক্ষমতা কি মন্ত্রীর আছে? তৃণমূলের তো সবাই চোর। মন্ত্রীরাও চোর। এই মন্ত্রী কি ঘুষ খায় না? আসলে দেখব বলে মন্ত্রী পাশ কাটিয়েছেন। কিছুই হবে না।এই সকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত জনগণের রেহাই নেই।”