Burdwan station water tank collapsed: হকারি করতেন, ট্রেনের জন্য অপেক্ষাই কাল হল, বর্ধমান স্টেশনে দুর্ঘটনায় মৃত আরও ১
Burdwan Rail Station: বুধবার, ১৩ ডিসেম্বর, বর্ধমান স্টেশনের ২ ও ৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মে আচমকা ভেঙে পড়ে জলের ট্যাঙ্ক। ৫৩ হাজার ৮০০ গ্যালনের ব্রিটিশ আমলের ট্যাঙ্কটি ২ ও ৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মের উপরে ছিল। জানা গিয়েছে, ট্যাঙ্কটি তৈরি হয়েছিল ১৮৯০ সালে। বুধবার ১৩৩ বছরের পুরনো ট্যাঙ্কটি ভেঙে পড়ে। ট্যাঙ্ক রক্ষণাবেক্ষণে নজরদারির অভাব ছিল বলে অভিযোগ উঠেছে।
বর্ধমান: হকারি করতেন। ট্রেনের অপেক্ষায় দাঁড়িয়েছিলেন প্ল্যাটফর্মে। কিন্তু, সেই অপেক্ষাই যেন কাল হল। বর্ধমান স্টেশনে জলের ট্যাঙ্ক ভেঙে পড়ার ঘটনায় মৃত্যু হল আরও একজনের। মৃতের নাম সুধীর সূত্রধর। বাড়ি মেমারির কলেজ পাড়া এলাকায়। এই নিয়ে বর্ধমান স্টেশনে দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ৪।
বুধবার, ১৩ ডিসেম্বর, বর্ধমান স্টেশনের ২ ও ৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মে আচমকা ভেঙে পড়ে জলের ট্যাঙ্ক। ৫৩ হাজার ৮০০ গ্যালনের ব্রিটিশ আমলের ট্যাঙ্কটি ২ ও ৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মের উপরে ছিল। জানা গিয়েছে, ট্যাঙ্কটি তৈরি হয়েছিল ১৮৯০ সালে। বুধবার ১৩৩ বছরের পুরনো ট্যাঙ্কটি ভেঙে পড়ে। ট্যাঙ্ক রক্ষণাবেক্ষণে নজরদারির অভাব ছিল বলে অভিযোগ উঠেছে।
দুর্ঘটনার দিনই ৩ জনের মৃত্যু হয়। বছর চৌষট্টির সুধীরবাবু বুধবার থেকে ভর্তি ছিলেন বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। তিনি মাথায় ও বুকে চোট পেয়েছিলেন। শনিবার থেকে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। রাতে মৃত্যু হয় তাঁর।
দুর্ঘটনার দিন মৃত ৩ জনের পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য দেওয়ার কথা ঘোষণা করে রেল। এদিন, সুধীর সূত্রধরের প্রতিবেশীরা অভিযোগ করেন, রেলের গাফিলতিতেই দুর্ঘটনা ঘটেছে। মৃতের পরিবার যেন আর্থিক সাহায্য পায়, সেই দাবিও জানান তাঁরা।
এদিকে, ইতিমধ্যেই রেলের তরফে দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আবার রেলের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগে এফআইআর করেছে এক মৃতের পরিবার।