Peacock in East Burdwan: টালির চালে বসে আছে একটা বিশালাকার পাখি, কাছে যেতেই হতবাক গ্রামের বাসিন্দারা

Peacock in East Burdwan: একসময় বর্ধমানের কাঞ্চননগরে ময়ূরদের বাস ছিল। কিন্তু, বর্তমানে রাজহাট ছাড়া কোথাও বুনো ময়ূর বিশেষ দেখতে পাওয়া যায় না।

Peacock in East Burdwan: টালির চালে বসে আছে একটা বিশালাকার পাখি, কাছে যেতেই হতবাক গ্রামের বাসিন্দারা
টালির চালে বসে ময়ূর
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 11, 2023 | 8:54 AM

জামালপুর: হাতি, বাঘ তো ছিলই, এবার গ্রামের রাস্তায় রাস্তায় ঘুরতে দেখা যাচ্ছে ময়ূরকেও (Peacock in East Burdwan)। কখনও বসছে গাছের ডালে, কখনও আবার কারও বাড়ির টালির চালে। শনিবার সকালে পূর্ব বর্ধমানের (Purba Bardhaman) জামালপুর ব্লকের আঝাপুর এলাকার বীরেপাড়া গ্রামের বাসিন্দারা দেখেন জমির পাশেই ঝোপঝাড়ের মধ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে একটা বড় পাখি। তবে সেটা যে ময়ূর তা দেখে প্রথমে বুঝতে পারেননি স্থানীয় বাসিন্দারা। খানিক পড়েই ঝোপঝাড়ের আড়াল থেকে বেরোতেই বুঝতে পারেন সেটি আসলেই একটি ময়ূর। খবর যায় বন দফতরে। খবর পেয়ে ময়ূরটিকে উদ্ধার করতে একটি দলকে পাঠানো হয়। বনকর্মীরা জানাচ্ছেন ময়ূরটির বয়স ২০ বছরের আশাপাশে। কীভাবে ময়ূরটি এখানে এল তা নিয়ে কৌতূহল তৈরি হয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে।

একসময় বর্ধমানের কাঞ্চননগরে ময়ূরদের বাস ছিল। কিন্তু, বর্তমানে রাজহাট ছাড়া কোথাও বুনো ময়ূর বিশেষ দেখতে পাওয়া যায় না। পাশাপাশি কাঁকসার জঙ্গলেও বন দফতরের ছাড়া বেশ কিছু ময়ূর দেখতে পাওয়া যেত। একইসঙ্গে বর্ধমানের কানাইনাটশালে সেচ দফতরের বাংলোয় ছিল কয়েকটি ময়ূর। তবে সেসব এখন অতীত। এখন আর সেসব ময়ূর নেই। 

সূত্রের খবর, ময়ূরটিকে উদ্ধার করার পর সেটির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে। ঘটনায় বর্ধমানের বনাধিকারিক নিশা শর্মা বলেন, “আমরা খবর পেয়েছি। উদ্ধার করতে লোক পাঠানো হয়েছে। একে উদ্ধার করে রমনার বাগানে রাখা হবে। সেখানে চিকিৎসার পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।” সম্প্রতি, আউশগ্রামের জঙ্গলে বেশ কিছু ময়ূর এবং ময়ূরের ডিম দেখা যাচ্ছে। তা দেখে অনেকেই মনে করছেন আশেপাশের কোনও এলাকা সেখানে বাসা বেঁধেছে ময়ূরের দল। সেখান থেকেও এই ময়ূরটি জামালপুরে চলে আসতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে।