Panchayat Election 2023: মেরে বিজেপি নেতার হাত ভেঙে দেওয়ায় অভিযুক্ত তৃণমূল, গ্রেফতার ২
পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন জমা দেওয়া শুরু হতেই আউশগ্রামের জঙ্গলমহলে রাজনৈতিক আবহাওয়া উত্তপ্ত হল। আউশগ্রামের বিজেপি নেতা চন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়কে ব্যাপক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। মেরে তাঁর হাত ভেঙে দেওয়া হয়েছে। অভিযোগের তির শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে।
আউসগ্রাম: নির্বাচন ঘিরে বার বার হিংসার ঘটনার সাক্ষী থেকে পশ্চিমবঙ্গ। পঞ্চায়েত ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হতেই বিভিন্ন জেলা থেকে হিংসার ঘটনা সামনে এসেছে। এ বার বিজেপি নেতাকে মারধর করে হাত ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। রবিবার বিকেলে এই ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে পূর্ব বর্ধমান জেলার আউশগ্রামে। পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন জমা দেওয়া শুরু হতেই আউশগ্রামের জঙ্গলমহলে রাজনৈতিক আবহাওয়া উত্তপ্ত হল। আউশগ্রামের বিজেপি নেতা চন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়কে ব্যাপক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। মেরে তাঁর হাত ভেঙে দেওয়া হয়েছে। অভিযোগের তির শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় নাম জড়িয়েছে আউশগ্রাম অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি ইমদাদুল শেখের। মারধরের ঘটনায় আউশগ্রাম অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি ইমদাদুল শেখ সহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে আউশগ্রাম থানায় অভিযোগ দায়ের করেন আহত বিজেপি নেতা। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই ২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। যদিও হামলার কথা অস্বীকার করা হয়েছে তৃণমূলের তরফে।
আউসগ্রাম ১ নম্বর ব্লক বিজেপির কনভেনার চন্দ্রনাথ বন্দোপাধ্যায় রবিবার বিকালে তাঁর বাড়ি থেকে আউসগ্রাম বাজারের দিকে আসছিলেন। অভিযোগ সে সময় তাঁর মোটর সাইকেল আটকে তাঁকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। স্থানীয় তৃণমূল নেতা ইমদাদুল সেখ, ভুলু বাগদি-সহ বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতী তাঁকে মাটিতে ফেলে বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ। চন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ তাঁকে বাঁচাতে গেলে তাঁর সঙ্গী বংশধর গোপকেও মারধর করা হয়। এরপর স্থানীয় কয়েকজন গ্রামবাসী গিয়ে তাদের বাঁচান। ঘটনাস্থল থেকে ঢিলছোড়া দূরত্বে আউশগ্রাম থানা। থানায় খবর গেলে পুলিশ যায় ঘটনাস্থলে। এরপর চন্দ্রনাথবাবু থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁকে চিকিৎসার জন্য বননবগ্রাম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
পুলিশ এই ঘটনায় দু’জনকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতদের নাম ভুলু বাগদি ও নজরুল খান। যদিও মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। এই বিষয়ে রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেছেন, “এই মারধরের ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেসের কোন যোগ নেই। পুলিশ দু’জনকে গ্রেফতার করেছে। সুতরাং প্রশাসন তদন্ত করে ব্যবস্থা নিয়েছে। তৃণমূল কেন আক্রমণ করতে যাবে। বরং বিজেপির বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ভাবে তৃণমূল কংগ্রেস লড়াই করবে ভোট ময়দানে।”