Post Poll Violence: টোটো চালিয়ে বাড়ি ফেরার পথে নিহত নারায়ণের বাড়িতে সিবিআই

CBI:সূত্রের খবর, মঙ্গলবারই স্পেশাল ক্রাইম ব্রাঞ্চের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সঞ্জয়কুমার সিনহা খুনের মামলা রুজু করে বর্ধমান সিজেএম আদালতে যান।

Post Poll Violence: টোটো চালিয়ে বাড়ি ফেরার পথে নিহত নারায়ণের বাড়িতে সিবিআই
হিংসা তদন্তে সিবিআই, নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 22, 2021 | 7:39 PM

পূর্ব বর্ধমান: ভোট পরবর্তী হিংসা তদন্তে কাঞ্চননগরের বিজেপি কর্মী নারায়ণ দে-এর বাড়িতে এলেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার (CBI) প্রতিনিধিদল। গত ১৮ এপ্রিল নারায়ণকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ ওঠে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনার তদন্তে বুধবার নিহত বিজেপি কর্মীর (BJP) বাড়িতে যান তদন্তকারীরা। সেখানে গিয়ে মৃতের পরিজনদের সঙ্গে কথা বলেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।

সূত্রের খবর, মঙ্গলবারই স্পেশাল ক্রাইম ব্রাঞ্চের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সঞ্জয়কুমার সিনহা খুনের মামলা রুজু করে বর্ধমান সিজেএম আদালতে যান। ভোটপরবর্তী হিংসা তদন্তে হাইকোর্টের নির্দেশের কথা উল্লেখ করে জেলার পুলিশ সুপারকেও এই মর্মে চিঠি দেওয়া হয়। গত ২৪ জুন খুনের মামলা রুজু করে তদন্তে নেমেছিল বর্ধমান থানা। কিন্তু, সেবার কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার চিঠি পাওয়ার পরেই বর্ধমান থানার অফিসার দীপ্তেশ চট্টোপাধ্যায় আদালতের নির্দেশমতো মামলার নথিপত্র সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেন। এরপর, সোমবার প্রথম মামলা রুজু করে সিবিআই।

এলাকায় সক্রিয় বিজেপি কর্মী বলে পরিচিত নারায়ণ দে পেশায় ছিলেন টোটোচালক। গত ১৮ এপ্রিল কাঞ্চননগর এলাকায় তৃণমূল বিজেপির সংঘর্ষ বাধে। সেইসময় টোটো চালিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন নারায়ণ। তাঁকে দেখতে পেয়ে কিছু তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ। মারধরের জেরে তিনি গুরুতর জখম হন। ঘটনাস্থল থেকেই পুলিশ পাল্টা নারায়ণ-সহ আরও কয়েকজনকে গ্রেফতার করে বলে অভিযোগ। তিনদিন পর জামিন পেয়ে নারায়ণকে বর্ধমান মেডিক্য়াল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে তাঁকে শহরের খোসবাগানে একটি নার্সিংহোমে স্থানান্তরিত করা হয়। পরে বোরহাট এলাকার একটি নার্সিংহোমে তাঁর চিকিত্‍সা হয়। তারপর গত ৬ মে নারায়ণের মৃত্যু হয়। গত ২৪ জুন নারায়ণের স্ত্রী পূর্ণিমা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

আর সপ্তাহ খানেকের একটু বেশি বাকি। তার মধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) ভোট পরবর্তী হিংসা মামলার (Post Poll Violence Case) স্টেটাস রিপোর্ট জমা দিতে হবে সিবিআইকে (CBI)। তার প্রস্তুতিও চলছে জোর কদমে। এর মধ্যেই বুধবার বাড়ল কেসের সংখ্যা। এদিন ভোট পরবর্তী হিংসার তদন্তে আরো দুটি এফআইআর রুজু করল কেন্দ্রীয় সংস্থা। এর মধ্যে একটি ঝাড়গ্রাম ও অন্যটি দক্ষিণ ২৪ পরগনার নরেন্দ্রপুরের খুনের ঘটনা। ফলে সব মিলিয়ে ভোট পরবর্তী হিংসায় এফআইআর-এর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৪০টি। যার মধ্যে যুক্ত হল নতুন ২টি খুনের মামলাও।

উল্লেখ্য, ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় এবার রাজ্য পুলিশের তদন্তকারী অফিসারদের তলব করা শুরু করেছে সিবিআই। সিবিআই সূত্রে খবর, এবার ধাপে ধাপে প্রত্যেকটি কেসের তদন্তকারী রাজ্যের অফিসারদের তলব করা হবে। ভোট পরবর্তী সংশ্লিষ্ট হিংসার মামলার বহু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যেতে পারে রাজ্যের তদন্তকারী অফিসারদের কাছেই। যেমন কাদের কাদের গ্রেফতার করা হয়েছিল, কাদের গ্রেফতার করা হয়নি, কেন গ্রেফতার করা হয়নি, কী কী তথ্য প্রমাণ রাজ্য পুলিশের হাতে এসেছিল, তা বিস্তারিত তথ্য রাজ্যের তদন্তকারী আধিকারিকদের কাছ থেকেই জানতে চাইবে সিবিআই।

আরও পড়ুন: Jitendra Tiwari: ‘গায়ক’ বাবুলের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী ‘রাজনীতিক’ জিতেন! কী এমন হল?

আরও পড়ুন: Cooch Behar: আচমকা বিকট শব্দে কেঁপে উঠল এলাকা, ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণে জখম ২!