Mangolkot: ঘরে ছেলে-স্বামীর সঙ্গে শুয়ে ছিলেন বধূ, আচমকা হুড়মুড়িয়ে ধসে পড়ল গোটা বাড়ি!

Purba Bardhaman: আহত সুফলের ভাই বাপি জানিয়েছেন, গত কয়েকদিন ধরে লাগাতার বৃষ্টিতে এলাকা জল থইথই। তবে এই বৃষ্টিবাদলায় তাঁরা অভ্যস্ত। তাই অন্য দিনের মতোই দুপুরে তাঁরা ঘুমোচ্ছিলেন

Mangolkot: ঘরে ছেলে-স্বামীর সঙ্গে শুয়ে ছিলেন বধূ, আচমকা হুড়মুড়িয়ে ধসে পড়ল গোটা বাড়ি!
সেই ভাঙা বাড়ি, নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 22, 2021 | 9:22 PM

মঙ্গলকোট:  ঘুমের মধ্যেই মাটির ঘর চাপা পড়ে মৃত্যু (Death) এক গৃহবধূর। জখম দুই সন্তান। অবিরাম বৃষ্টির জেরে জলমগ্ন (Water Logged) ছিল এলাকা। অন্যদিকে, মাটির বাড়ি হওয়ায় আরও দূর্বল হয়ে পড়ে ভিত। কিন্তু কিছুই টের পাননি ওই বধূ। অন্যান্য দিনের মতোই দোতলা মাটির ঘরে ছেলে তন্ময় ও স্ত্রী রাখীকে নিয়ে ঘুমোচ্ছিলেন সুফল থান্দার। আচমকা গোটা বাড়িটাই যে ধসে পড়বে তা ভাবতেও পারেননি সুফল। রাখী শুয়ে ছিলেন দেওয়ালের দিকে। গোটা বাড়িটাই দেওয়াল ভেঙে হুড়মুড়িয়ে ধসে পড়ে। চাঞ্চল্যকর  ঘটনাটি মঙ্গলকোটের পালিগ্রামের ঘটনা।

আহত সুফলের ভাই বাপি জানিয়েছেন, গত কয়েকদিন ধরে লাগাতার বৃষ্টিতে এলাকা জল থইথই। তবে এই বৃষ্টিবাদলায় তাঁরা অভ্যস্ত। তাই অন্য দিনের মতোই দুপুরে তাঁরা ঘুমোচ্ছিলেন। আচমকা বাপি খুব জোরে কিছু হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ার আওয়াজ পান। সঙ্গে সঙ্গে ছুটে গিয়ে দেখেন তাঁর দাদা-বৌদির গোটা বাড়িটাই ধসে পড়েছে। মাটির তলায় চাপা পড়ে রয়েছেন সকলে।

দেখেই চিত্‍কার করে ওঠেন বাপি। ছুটে আসেন গ্রামবাসীরা। সঙ্গে সঙ্গে তিনজনকেই সংজ্ঞাহীন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। সুফল ও তন্ময় অচৈতন্য থাকলেও বেঁচে ছিলেন। কিন্তু রাখীর জীবনবায়ু ততক্ষণে ফুরিয়েছে। যদিও সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে রাখীকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। সুফল ও তন্ময়ের চিকিত্‍সা শুরু করা হয়। পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিক্য়াল কলেজে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।

নিহত বধূর দেওর বাপি থান্দারের কথায়, “বৃষ্টির জলে বাড়ির মাটি আলগা হয়েছিল যে বুঝিনি। কাল রাত থেকেই ঝুর ঝুর করে মাটি পড়ছিল। দাদা বলছিল, বৃষ্টি একটু ধরলেই মেরামত করাবে। তার আগেই আজ গোটা চালাটাই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল। দাদা-বৌদি-ভাইপো সবাই চাপা পড়ে গেল। আমি আওয়াজ শুনতে পেয়ে ছুটে আসি। তখনই ওদের না বের করলে হয়ত দাদা আর ভাইপোটাকেও বাঁচাতে পারতাম না।”

আশ্বিনে বর্ষার অমঙ্গলের ছায়া এই নতুন নয়। অতিভারী বৃষ্টির (Heavy Rain) জেরে ডেবরায় দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে ৪ বছরের এক শিশুর। শনিবার ডেবরা ব্লকের ২ নম্বর ভরতপুর অঞ্চলের পশ্চিম বৈতা এলাকায় ঘরের দেওয়াল ভেঙে তারমধ্য়ে চাপা পড়ে যায় ওই শিশু। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। জানা গিয়েছে মৃত শিশুর নাম নীল হেমরম। স্থানীয়রা জানান, বাড়ির মধ্যে খেলার সময়েই আচমকা তার উপর মাটির দেওয়াল ভেঙে পড়ে।

সম্প্রতি, বঙ্গে একাধিক ঘূর্ণাবর্ত ও অতিবৃ্ষ্টির জেরে প্রায় বানভাসি অবস্থা একাধিক জেলায়। এক দুর্যোগের রেশ না কাটতেই ফের আরও একটি দুর্যোগের পূর্বাভাস দিল আলিপুর আবহাওয়া দফতর (Alipur Meterological Department)। সপ্তাহান্তে বঙ্গোপসাগরের উপর জোড়া ঘূর্ণাবর্ত তৈরির পূর্বাভাস আলিপুর আবহাওয়া দফতরের। পরপর দুটি ঘূর্ণাবর্ত ঘূর্ণাবর্ত এগিয়ে আসতে পারে বাংলা-ওড়িশা উপকূলের দিকে। একটি ২৬ সেপ্টেম্বর, অন্যটি ২৮ সেপ্টেম্বর। এরমধ্যে দ্বিতীয়টি আরও শক্তি বাড়িয়ে গভীর নিম্নচাপে (Deep Depression) পরিণতি পেতে পারে বলে আশঙ্কা। পাশাপাশি, সোমবার মধ্য বঙ্গোপসাগরেও (Bay Of Bengal) একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে। কলকাতা ছাড়া দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলিতেও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন: Babul Supriyo: ‘বিলম্বিত বোধোদয়’, কটাক্ষ হেনেই বাবুলকে স্বাগত সমবায় মন্ত্রীর

আরও পড়ুন: TMC: দিনহাটায় শেষ কথা বলবেন উদয়ন-ই! ধিক্কার মিছিলে ফের প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল