Potato Farming: পাচ্ছেন না ন্যায্য মূল্য, এ বছরও মাথায় হাত আলু কৃষকদের
Bardhaman: দিন চারেক হল পূর্ব বর্ধমানের কমবেশি সব জায়গাতেই মাঠ থেকে আলু তোলার কাজ শুরু হয়েছে। জামালপুর থেকে রায়না,মেমারি থেকে আউশগ্রাম কিংবা কাটোয়া,কালনাতেও জোরকদমে চলছে জমি থেকে আলু তোলার কাজ।
বর্ধমান: গতবছরের সেই এক ছবি পুনরায় ধরা পড়ল এ বছরও। আগের বার হিমঘরে মজুত আলুর দাম না পাওয়ার অভিযোগ তুলেছিলেন কৃষকরা। এবারও সেই একই ছবি। মাঠ থেকে আলু তুললেও তার না থাকায় সিঁদুরে মেঘ দেখছেন কৃষকরা। দিন চারেক হল পূর্ব বর্ধমানের কমবেশি সব জায়গাতেই মাঠ থেকে আলু তোলার কাজ শুরু হয়েছে। জামালপুর থেকে রায়না,মেমারি থেকে আউশগ্রাম কিংবা কাটোয়া,কালনাতেও জোরকদমে চলছে জমি থেকে আলু তোলার কাজ। কিন্তু হাহাকার সব জায়গাতেই। আলুর দাম নেই।
গত বছর আবহাওয়ার খামখেয়ালি থাকলেও এবার ছিল একেবারে অনুকূল পরিবেশ। তারপরও আলুর ফলন কম। কাঠায় ৩ থেকে ৪ বস্তা আলু ফলেছে বলে জানান কৃষকরা। প্রসঙ্গত, বিঘেতে আলুবীজ লাগে গড়ে ৪ বস্তা। এর আলুর বীজের দাম ছিল বস্তা পিছু গড়ে ২০০০ টাকা থেকে ২ হাজার ২০০ টাকা। রাসায়নিক সারের জন্য বিঘে প্রতি গড়ে খরচ হয়েছে ৮ হাজার টাকা, শ্রমিক ৭ হাজার টাকা। এর বাইরে আছে জল, ট্রাক্টর ও কীটনাশক। সব নিয়ে এক বিঘে আলুচাষ করতে গড়ে খরচ হয়েছে ৩২ থেকে ৩৪ হাজার টাকা। আবার কোথাও কোথাও তা ছাড়িয়ে গিয়েছে। এই অবস্থায় আলুর দাম না থাকায় কৃষকদের মাথায় হাত।
তাঁরা চাইছেন সরকার এগিয়ে আসুক। না হলে তাঁদের পথে বসতে হবে। এক আলু চাষি বলেন, “ব্যাঙ্ক ঋণের পাশাপাশি সমবায় থেকেও আলুচাষের জন্য লোন নিতে হয়েছে। এখন যা পরিস্থিতি লাভ তো দূরের কথা। আসলটা উঠবে কি না সেটাই এখন প্রশ্নের। আলুর দাম না থাকায় কেউ মাঠ থেকে আলু কিনতে আগ্রহ দেখাচ্ছে না। বস্তা প্রতি ২৭০ থেকে ৩০০ টাকা দরে হিমঘর থেকে আলু বিকোচ্ছে। ফলে মাঠে আলু কেনার আগ্রহকেও দেখাচ্ছে না। অগত্যা হিমঘরের পথে মাঠ থেকে তোলা আলু।”
জেলার আলু কৃষকদের আবেদন, ধানের মতো সরকার ন্যায্য মূল্যে আলু কিনে কৃষকদের পাশে দাঁড়াক। নাহলে আমাদের খুব বড় সমস্যার মধ্যে।