Kalna Suicide: ‘হামকো সব মালুম হ্যায়…’, বলতেই ছেলেটার কাছে এল প্রেমিকার চরম ছবি, ফোন হাতে নিয়ে তাজ্জব পুলিশও

Kalna Suicide: পূর্ব বর্ধমানের কালনার ঘটনা।মৃত্যুর আগে গলায় ফাঁস দেওয়া ছবি প্রেমিককে পাঠিয়ে আত্মঘাতী প্রেমিকা। ফোন করে কল ওয়েটিং পাওয়ায় প্রেমিকের সন্দেহ বাড়ে।

Kalna Suicide: 'হামকো সব মালুম হ্যায়...', বলতেই ছেলেটার কাছে এল প্রেমিকার চরম ছবি, ফোন হাতে নিয়ে তাজ্জব পুলিশও
প্রেমিকের ফোনে এল ছবি (গ্রাফিক্স: অভীক দেবনাথ)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 14, 2022 | 4:55 PM

কালনা: ভিন রাজ্যে থাকত প্রেমিক। ফলত লং ডিস্টটেন্স সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল ওদের মধ্যে। মেয়েটি ছিল একাদশ শ্রেণির ছাত্রী অপরদিকে ভিনরাজ্যে কাজ করত প্রেমিক। পরিবারের সদস্যদের লুকিয়ে এগিয়ে চলেছিল সম্পর্ক। হোয়াটস অ্যাপ ভর্তি প্রেমের মেসেজ। তবে শেষটা সুখের ছিল না। প্রেমিকার ফোন ব্যস্ত পেয়েছিল প্রেমিক। তখন থেকেই সন্দেহ শুরু করে সে। যদিও, প্রেমিকা জানিয়েছিল ব্যস্তার কারণ। কিন্তু তাতেও সন্দেহ কমেনি। শেষমেশ প্রেমিককে ভালোবাসার প্রমাণ দিতে চরম পদক্ষেপ প্রেমিকার।

পূর্ব বর্ধমানের কালনার ঘটনা।মৃত্যুর আগে গলায় ফাঁস দেওয়া ছবি প্রেমিককে পাঠিয়ে আত্মঘাতী প্রেমিকা। ফোন করে কল ওয়েটিং পাওয়ায় প্রেমিকের সন্দেহ বাড়ে। তাই নিয়ে চলে দু’পক্ষের মান-অভিমান, মনোমালিন্য। আর তার জেরেই গলায় ফাঁস দিয়ে সোমবার রাত্রিবেলা আত্মঘাতী হয় প্রেমিকা।

মৃতার নাম কোয়েল রুইদাস। মঙ্গলবার সকালে তার ঘর থেকে ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। সে এলাকার বাদলা হাই স্কুলের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী।

ছোট থেকেই কোয়েল মামার বাড়িতে মানুষ। কোয়েলের মোবাইলের হোয়াটস অ্যাপ থেকে প্রেমিকের সঙ্গে বেশকিছু কথোপকথন মিলেছে। শুধু তাই নয়, ওই ছাত্রীর সঙ্গে ভিন রাজ্যের একটি যুবকের প্রণয়ঘটিত সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল তাও জানা গিয়েছে। যদিও, ওই যুবকের নাম জানতে পারেনি তার পরিবার।

পুলিশ সূত্রে খবর, কোয়েলের ফোন ওয়েটিংয়ে থাকায় তাকে সন্দেহ প্রেমিক। তারপরই সম্পর্ক ভেঙে দেবে বলেও জানিয়েছিল সে।কিন্তু বিষয়টি মেনে নিতে পারেনি ওই ছাত্রী। পরিবারের দাবি, সম্পর্ক ভেঙে যাবে ও প্রেমিক সন্দেহ করায় অভিমানে আত্মঘাতী হয়েছে সে।মৃত্যুর আগে গলায় ফাঁস দেওয়া ছবি হোয়াটসঅ্যাপে ওই যুবককে পাঠিয়েছিল।

মৃতের পরিবারের অভিযোগ, কোয়েলের সঙ্গে মোবাইলে কোন যুবকের সম্পর্ক রয়েছে তা জানতই না পরিবার। ওই যুবকের জন্যই মৃত্যু হয়েছে তাঁদের মেয়ের।তাই কঠোর শাস্তি হোক ওই যুবকের।পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠিয়েছে। মৃতের মামা বলেন, ‘ওর কারোর একজনের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল। তা আমরা জানতাম না। পরে ফোন ঘেঁটে দেখতে পাই ও গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় একটি ছবি দিয়েছে।’