AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

SBSTC: বর্ধমান থেকে সল্টলেকগামী একাধিক SBSTC-র বাস বাতিল, ১০ দফা দাবির আন্দোলন আর কতক্ষণ?

Bardhaman: বেতনবৃদ্ধি, স্থায়ীকরণ সহ মোট ১০ দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছেন এসবিএসটিসি-র অস্থায়ী বাস চালকরা।

SBSTC: বর্ধমান থেকে সল্টলেকগামী একাধিক SBSTC-র বাস বাতিল, ১০ দফা দাবির আন্দোলন আর কতক্ষণ?
ফাইল ছবি
| Edited By: | Updated on: Sep 22, 2022 | 2:38 PM
Share

পূর্ব বর্ধমান: অস্থায়ী চালকদের কর্মবিরতিতে স্তব্ধ রাজ্যব্যাপী এসবিএসটিসির (SBSTC) বাস চলাচল। কার্যত বিপর্যস্ত যোগাযোগ ব্যবস্থা। বাতিল করা হয়েছে অর্ধেকেরও বেশি সরকারি বাস পরিষেবা। চরম দুর্ভোগের শিকার লক্ষাধিক নিত্যযাত্রী।

বেতনবৃদ্ধি, স্থায়ীকরণ সহ মোট ১০ দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছেন এসবিএসটিসি-র অস্থায়ী বাস চালকরা। শতাধিক ড্রাইভার কর্মবিরতি শুরু করেছেন রাজ্যজুড়ে। বর্ধমান এসবিএসটিসি-র ডিপোয় চালক ছাড়াও আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন টিকিট কালেক্টর সহ অন্যান্য বিভাগের অস্থায়ী কর্মীরা। শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকা হাতে নিয়ে চলছে টানা আন্দোলন ও বিক্ষোভ। চালকের অভাবে অর্ধেকেরও বেশি সরকারি বাস পরিষেবা বাতিল হয়েছে বর্ধমান ডিপো থেকে। অচলাবস্থা কিভাবে কাটবে? আন্দোলনরত চালকদের বক্তব্য, তাঁদের দাবি না মানা পর্যন্ত এই আন্দোলন দীর্ঘায়িত হবে। সমস্ত দাবি মেনে নেওয়া হলে তবেই স্টিয়ারিং-এ হাত দেবেন তাঁরা।

এ দিকে, টানা আন্দোলনের ফলে কলকাতা ও সল্টলেকগামী বহু এসবিএসটিসি-র বাস বাতিল হয়েছে বর্ধমান থেকে। অনেকেই হাহুতাশ করছেন ডিপো চত্বরে। আটকে পড়া যাত্রীদের অনেকেই তার ছিলেন কলকাতায় চিকিৎসার জন্য বা অফিসে যোগ দেওয়ার জন্য। সাতসকালে বাস ধরতে এলেও স্তব্ধ ডিপো চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে তাদের কপালে।

যাত্রীদের কথায়, বুধবার রাত এগারোটা নাগাদ টিকিট কাউন্টারের সামনে একটি নোটিশ দেওয়া হয়েছে চালকদের তরফে। তাতে লেখা ছিল, বৃহস্পতিবার থেকে অস্থায়ী কর্মীরা বিভিন্ন দাবি নিয়ে আন্দোলনে সামিল হবেন। তার জন্য বন্ধ থাকবে বাস পরিষেবা। এ দিন সকালে এসে আমরা সেই নোটিস দেখতে পাই। ফলে চূড়ান্ত সমস্যায় পড়তে হচ্ছে আমাদের। গুটিকয়েক বাস চললেও তাতে অসম্ভব ভিড় হচ্ছে। অগ্রিম টিকিট কেটে কেন হয়রানি শিকার হতে হবে তাদের? প্রশ্ন তুলছেন সাধারণ যাত্রীরা। তবে বেলা বাড়ার পরেও পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় অনেকেই ফিরে গিয়েছেন বাড়ি।