ভিডিয়ো: জুতো পরে জাতীয় পতাকায় পা! বিতর্কে রাজ্য়ের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী

Siddiqullah Chowdhury: রবিবার স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে, মন্তেশ্বর কলেজে পতাকা উত্তোলনের অনুষ্ঠানে যান গ্রন্থাগার মন্ত্রী (Siddiqullah Chowdhury)। সেখানে পতাকা উত্তোলনের অনুষ্ঠানে দেখা যায়, জাতীয় পতাকা তোলার সময়ে রাজ্যের মন্ত্রী পায়ে জুতো পরে রয়েছেন

ভিডিয়ো: জুতো পরে জাতীয় পতাকায় পা! বিতর্কে রাজ্য়ের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী
নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 15, 2021 | 7:26 PM

পূর্ব বর্ধমান: জুতো পরে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও পতাকায় পা দেওয়াকে কেন্দ্র করে বিতর্কে জড়ালেন রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী (Siddiqullah Chowdhury)। মন্তেশ্বরের এই ঘটনায় তুঙ্গে রাজনৈতিক বিতর্ক।

রবিবার স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে, মন্তেশ্বর কলেজে পতাকা উত্তোলনের অনুষ্ঠানে যান গ্রন্থাগার মন্ত্রী (Siddiqullah Chowdhury)। সেখানে পতাকা উত্তোলনের অনুষ্ঠানে দেখা যায়, জাতীয় পতাকা তোলার সময়ে রাজ্যের মন্ত্রী পায়ে জুতো পরে রয়েছেন। শুধু তাই নয়, পতাকা তোলার যে বেদী করা হয়েছিল, সেটির সৌন্দর্যায়নে নীচেও বেশ কিছু ছোট কাগজের পতাকা লাগানো হয়। অভিযোগ, সিদ্দিকুল্লা সেসব কোনও কিছুই খেয়াল না করে জুতো পরেই ওই পতাকায় পা দিয়ে চলে যান। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো বিতর্ক শুরু হয়েছে। অভিযোগ, গ্রন্থাগার মন্ত্রীর এই আচরণে ঔদ্ধত্য প্রকাশ পেয়েছে এমন নয়, তিনি জাতীয় পতাকারও অবমাননা করেছেন। ঘটনাকে কেন্দ্র করে সরব হয়েছে বিরোধী শিবির।

ঘটনায়, জেলার বিজেপি সহ-সভাপতি অনিল দত্ত বলেন, “রাজ্যের মন্ত্রী হওয়ার কোনও যোগ্যতাই নেই। ওঁর উচিত মন্ত্রিত্ব ত্যাগ করা। সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী যা করেছেন তা অন্যায়। তিনি জাতীয় পতাকার অবমাননা করেছেন।” ঘটনায়, মন্তেশ্বরের তৃণমূল ব্লক সভাপতি আজিজুল হক বলেন, “আমি এই বিষয়টি সম্পর্কে কিছুই জানি না। তবে খোঁজখবর নিয়ে দেখছি।” যদিও, ঘটনায় সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী জানান, তাঁর পায়ে সমস্যা রয়েছে। তাই ডাক্তারের পরামর্শেই তাঁকে সর্বদা জুতো পরে থাকতে হয়। তবে, পতাকায় পা দেওয়ার মতো কোনও অবমাননার কাজ তিনি করেননি বলেই দাবি করেছেন রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী।

তবে, এই প্রথম নয়, এর আগেও একাধিকবার নানা বিতর্কে জড়িয়েছেন সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বিবাহ সংক্রান্ত তিন তালাককে অসাংবিধানিক ও অবৈধ বলে রায় দেয় সুপ্রিমকোর্ট। দেশের সর্বোচ্চ আদালতের এই তাত্‍ক্ষণিক সাংবিধানিক রায়কে স্বাগত জানান রাজ্যের অন্য সংখ্য়ালঘু মন্ত্রী রেজ্জাক মোল্লা। তাঁর এই সমর্থনকে ভালভাবে মেনে নেননি সিদ্দিকুল্লা। স্পষ্টই, রেজ্জাকের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে বলেছিলেন, “রেজ্জাক সাহেব সাতবার সিপিএম থেকে বিধায়ক হয়েছেন। তারপর দিদি তাঁকে দলে জায়গা দিয়েছেন। কিন্তু অতদিনের সিপিএমের বদরক্ত এখনও তাঁর শরীর থেকে যায়নি। তাই সুপ্রিম কোর্টের রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন তিনি।” যদিও, পাল্টা রেজ্জাক মোল্লা জানিয়ে দেন, তিনি তাঁর ব্যক্তিগত স্বাধীন মত প্রকাশ করেছেন। কোনও অবস্থাতেই সেই মত তিনি পরিবর্তন করবেন না।

আরও পড়ুন: ভিডিয়ো: ‘মুর্দাবাদ পাকিস্তান’, স্বাধীনতা দিবসে স্লোগান দিলেন শুভেন্দু অধিকারী