Sukanta Majumdar: ‘স্কুলের জমি বিক্রি করছেন’, রাজ্যের মন্ত্রীর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে যাওয়ার হুঁশিয়ারি, সুকান্তর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ
Sukanta Majumdar: বিজেপির অভিযোগ, স্কুলের জমি এইভাবে দান করা যায় না। আর যদি সরকারকে দান করতে হয় তাহলে স্কুল সরাসরি সরকারকে জমি দিতে পারতো। কিন্তু বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমে কেন তা করা হচ্ছে? একদিন আগে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে কালনায় এসেছিলেন সুকান্ত।
কালনা: ফের বিস্ফোরক সুকান্ত মজুমদার। রাজ্যের মন্ত্রীর বিরুদ্ধে তুললেন স্কুলের জমি বিক্রির অভিযোগ। সিবিআই তদন্তে চেয়ে হাইকোর্টে যাওয়ার যাওয়ার হুঁশিয়ারি রাজ্য বিজেপির সভাপতির। কাঠগড়ায় তুললেন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথকে। সুকান্তর অভিযোগ, স্কুলের জমি বিক্রি করছেন স্বপন। বিজেপির জেলা সভাপতিকে সমস্ত কাগজও জোগাড় করতে বলেছেন তিনি। এদিকে সুকান্তর এ বক্তব্য নিয়ে ইতিমধ্যেই জলঘোলা শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে। ইতিমধ্যেই সুকান্তর বিরুদ্ধে নাদন ঘাট থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন তৃণমূলের ব্লক সভাপতি। এদিকে সুকান্ত যখন হাইকোর্টে যাওয়ার কথা বলছেন তখন স্বপন আবার বলছেন তিনি সুকান্তর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করবেন।
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগে সোশ্যাল মিডিয়াতে একটি দলিল ভাইরাল হয়। তাতে দেখা যায় পূর্ব বর্ধমানের নাদন ঘাট থানার বিদ্যানগর জি ডি বিদ্যামন্দিরের 307/964 নং দাগের 4.6 শতক জমি দান করা হয়েছে খাল বিল ওয়েলফেয়ার সোসাইটিকে। দলিলে স্কুলের সম্পাদক হিসেবে সই আছে রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথের। প্রশ্ন ওঠে স্কুল কর্তৃপক্ষ কীভাবে ওই সংস্থাকে জমি দান করতে পারে? এরপরে খাল-বিল সোসাইটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, ওই জমিটির তারা খড়ের বিড়ে শিল্প তৈরি করার জন্য রাজ্য সরকারকে দান করেছে। তা নিয়েই শুরু হয়ে যায় জলঘোলা।
বিজেপির অভিযোগ, স্কুলের জমি এইভাবে দান করা যায় না। আর যদি সরকারকে দান করতে হয় তাহলে স্কুল সরাসরি সরকারকে জমি দিতে পারতো। কিন্তু বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমে কেন তা করা হচ্ছে? একদিন আগে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে কালনায় এসেছিলেন সুকান্ত। সেখানেই স্বপন দেবনাথের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ করেন। যদিও স্বপনের দাবি, বিদ্যালয়ের কোনও জায়গাই বিক্রি করা হয়নি। যা সিদ্ধান্ত তা ম্যানেজিং কমিটি উন্নয়নের স্বার্থে নিয়েছে। এরপরই সুকান্তর বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে তিনি বলেন, “সুকান্ত মজুমদার একজন শিক্ষিত মানুষ হয়ে এ ধরনের কথা কীভাবে বলছেন? প্রয়োজনে ওনার বিরুদ্ধেই মানহানি মামলা হবে।” যদি বিতর্ক তৈরি হলেও তা নিয়ে মুখ খুলতে চায়নি স্কুল কর্তৃপক্ষ।