School Problem: নেই শিক্ষিকা, চলে গিয়েছে শেষ ছাত্রীটিও, শুধু ভোট এলে খোলা হয় স্কুল

School Problem: স্কুলের অবস্থা দেখেই স্কুল ছেড়েছে শেষ একজন পড়ুয়া। চলে গিয়েছেন শিক্ষিকাও।

School Problem: নেই শিক্ষিকা, চলে গিয়েছে শেষ ছাত্রীটিও, শুধু ভোট এলে খোলা হয় স্কুল
পড়ে আছে ফাঁকা ক্লাসরুম
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 16, 2022 | 9:19 AM

পূর্ব বর্ধমান: স্কুল আছে, ক্লাস ভর্তি বেঞ্চ আছে। চেয়ার-টেবিল, ব্ল্যাক বোর্ড সবই আছে। কিন্তু কোথাও পড়ুয়ার দেখা নেই। শোনা যায় না পঠন পাঠনের চেনা সুর। যেন কোনও মন্ত্রবলে সবাইকে লুকিয়ে ফেলা হয়েছে। পূর্ব বর্ধমানের সিঙ্গির এক উচ্চ প্রাথমিক স্কুলে গেলে দেখা যাবে এমনই দৃশ্য।

নেই পড়ুয়া,নেই শিক্ষক শিক্ষিকা। বন্ধ পঠন পাঠন। যেখানে বর্তমানে রাজ্যের সব বিদ্যালয় খোলা, সেখানে তালা ঝুলছে কাটোয়ার সিঙ্গি কাশীরাম দাস উচ্চ প্রাথমিক বালিকা বিদ্যালয়ে। তবে নির্বাচন এলে খোলা হয় এই বিদ্যালয়। স্কুল খুলে নির্বাচনী বুথ বানিয়ে চলে নির্বাচন প্রক্রিয়া। অভিযোগ, শুধুমাত্র সরকারের ও প্রশাসনের উদাসীনতায় তালা ঝুলছে এই স্কুলে।

গত কয়েক মাস আগেই এই বিদ্যালয়ে ছিল এক জন ছাত্রী ও একজন শিক্ষিকা। বেগতিক বুঝে ওই একমাত্র পড়ুয়ার পরিবার তাকে এই বিদ্যালয় থেকে ছাড়িয়ে ভর্তি করায় অন্য স্কুলে। কয়েক মাস আগেই শিক্ষিকার বদলি হয়ে যায়। তিনিও চলে যান। তবে রয়ে গিয়েছেন এই বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষাকর্মী। ক্লাস নেই, তাড়াও নেই নিজের মর্জি মতো এসে স্কুলের গেট খোলেন ওই শিক্ষাকর্মী।

২০১১ সালে এই সিঙ্গি কাশীরাম দাস উচ্চ প্রাথমিক বালিকা বিদ্যালয় আপার প্রাইমারি স্কুলের তকমা পায়। আশপাশের বিভিন্ন গ্রাম থেকে প্রথম দিকে ৩০০ জনের বেশি ছাত্রী ভর্তি হয়। পরে বিদ্যালয়ে নিয়োগ সংক্রান্ত জটিলতায় আর কোনও শিক্ষক বা শিক্ষিকা নিয়োগ না হওয়ায় পড়ুয়ার সংখ্যাও কমতে থাকে। চলতি বছরের শুরুর দিকে এক মাত্র পড়ুয়া ও একজন শিক্ষিকাকে নিয়েই চলছিল স্কুল। স্কুলের বেহাল অবস্থা দেখে ছেড়ে দেয় ওই একমাত্র পড়ুয়া। আপাতত যে দিন ইচ্ছা হয়, স্কুল খোলেন শিক্ষাকর্মী গোবিন্দ দাস। আর স্কুলের চাবি থাকে পরিচালন কমিটির এক সদস্যের কাছে।

এই অব্যবস্থার কথা বহু বার জানানো হয়েছে অঞ্চলের এসআই-কে। জানানো হয়েছে মহকুমা শাসককেও। মহকুমা শাসক জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা স্কুল খোলার বিষয়ে তাঁর কাছে এসেছিলেন। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তিনি এ ব্যাপারে কথা বলে স্কুল খোলার চেষ্টা করবেন বলেও আশ্বাস দিয়েছেন।

গ্রামবাসীরা ক্ষোভের সঙ্গে জানান শুধুমাত্র সরকার ও প্রশাসনের উদাসীনতায় আজ বন্ধ এই গ্রামের বিদ্যালয়। এখন কয়েক কিলোমিটার দূরের স্কুলে পাঠাতে হয় মেয়েদের। ফের এই বিদ্যালয় চালু করার আবেদন জানাচ্ছেন গ্রামবাসীরা।