TMC: তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে খুনের চেষ্টা, বর্ধমান উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যানের ৩ বছরের কারাদণ্ড
TMC: ২০১৭ সালের ৫ সেপ্টেম্বর পূর্ব বর্ধমানের নাড়িগ্রাম দাসপাড়ায় তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠী সংঘর্ষ হয়। সেই ঘটনায় আহত হন তৎকালীন তৃণমূল কংগ্রেসেরই পঞ্চায়েত সদস্য জীবন পাল ও তাঁর বাবা। তাঁর স্ত্রী সন্ধ্যারানি পাল ৬ সেপ্টেম্বর বর্ধমান থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

বর্ধমান: তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে শাসকদলের পঞ্চায়েত সদস্যের বাবাকে খুনের চেষ্টা। ২০১৭ সালের এই মামলায় বর্ধমান উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান কাকলি তা-এর ৩ বছর কারাদণ্ড এবং ৫০০০ টাকা জরিমানার নির্দেশ দিল আদালত। বাকিদের ১০ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ। এই মামলায় বর্ধমান উন্নয়ন সংস্থার চেয়ার পার্সন, পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ, পঞ্চায়েতের প্রধান ও তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি সহ ১৩ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে বর্ধমান আদালত।
২০১৭ সালের ৫ সেপ্টেম্বর পূর্ব বর্ধমানের নাড়িগ্রাম দাসপাড়ায় তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠী সংঘর্ষ হয়। সেই ঘটনায় আহত হন তৎকালীন তৃণমূল কংগ্রেসেরই পঞ্চায়েত সদস্য জীবন পাল ও তাঁর বাবা। তাঁর স্ত্রী সন্ধ্যারানি পাল ৬ সেপ্টেম্বর বর্ধমান থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ ছিল, ঘটনার জেরে জীবন পালের বাবার চোখ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই মামলা আদালতে বিচারাধীন ছিল। সোমবার ফাস্ট ট্রাক সেকেন্ড কোর্ট বিচারক অরবিন্দ মিশ্র এই মামলায় ১৩ জনকে হেফাজতে নেওয়ার নির্দেশ দেন। বাকি দুজন বেকসুর খালাস হন। সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের বর্ধমান ১ ব্লকের ব্লক সভাপতি তথা বর্ধমান উন্নয়ন পর্ষদ চেয়ারপার্সন কাকলি তা গুপ্ত, বর্ধমান ১ ব্লকের যুব সভাপতি মানস ভট্টাচার্য, অঞ্চল সভাপতি শেখ জামাল, রায়ান গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান কার্তিক বাগ-সহ আরও তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা ও কর্মীরা।





