TMC: ‘এমন কোনও হরিদাস পাল নন যে মাথায় করে রাখতে হবে’, বিধায়ককে বললেন দলেরই নেতা

TMC in Burdwan: একটি সভা থেকে এই কটূক্তি করেন তৃণমূল নেতা। তাঁর দাবি এটা ছিল দলীয় কর্মসূচি। কিন্তু ওই সভাকে দলীয় কর্মসূচি বলে মানতে নারাজ বিধায়ক।

TMC: 'এমন কোনও হরিদাস পাল নন যে মাথায় করে রাখতে হবে', বিধায়ককে বললেন দলেরই নেতা
ফের প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 29, 2021 | 7:29 AM

কাটোয়া: ফের প্রকাশ্যে তৃণমূলের (TMC) গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। বিধায়ককে ‘কে হরিদাস পাল’ বলে কটাক্ষ করলেন দলেরই নেতা। একটি সভামঞ্চ থেকে বিধায়কের (MLA) বিরুদ্ধে বার্তা দিতে শোনা যায় তাঁকে। অন্যদিকে, বিধায়কের দাবি তিনি ওই নেতাকে চেনেন না আর ওটা কোনও দলীয় সভাও নয়। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের এমনই ছবি প্রকাশ্যে এল বর্ধমানের  (Burdwan)কাটোয়ায় (Katwa)। কাটোয়ার বিধায়ক তথা পূর্ব বর্ধমান তৃনমূল জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের (Rabindranarth Chatterjee) বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন অনুব্রত অনুগামী বলে পরিচিত দলেরই নেতা অরিন্দম বন্দ্যোপাধ্যায় (Arindam Banerjee)।

মঙ্গলবার তৃণমূলের একটি সভা থেকে বিধায়কের বিরুদ্ধে বার্তা দিতে শোনা যায় অরিন্দম বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সেই সভায় উপস্থিত ছিলেন না বিধায়ক। বিধায়কের বিরুদ্ধে রীতিমতো ক্ষোভ উগরে দিতে শোনা যায় তাঁকে। এ দিন কাটোয়া শহরের রবীন্দ্র পরিষদে অরিন্দম বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বেই ওই কর্মিসভা অনুষ্ঠিত হয়। অভিযোগ, দলের নানা কর্মসূচিতে অনেক তৃনমূল কর্মীকে বিধায়ক ডাকেন না। এ দিনের সভায়, সেই তৃনমূল কর্মীদের সম্মান দেওয়া হয় অরিন্দমের নেতৃত্বে।এই সভা থেকেই তিনি কংগ্রেস ছেড়ে তৃনমূলে আসা বিধায়ক তথা দলের জেলা সভাপতির উদ্দেশে কটূক্তির সুরে বলেন, ‘পুরনো তৃনমূল কর্মীদের কোনও অসম্মান হতে দেব না। দলের ঝাণ্ডাটাকে কেড়ে নিতে চায় ওরা।’ বিধায়কের নাম না করে কটাক্ষ করে বলেন,  ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেকের নামে স্লোগান দিতে কোনও হরিদাস পালের অনুমোদন লাগবে না, কোনও হরিদাস পালের অনুমতি নেব না। পুলিশ দিয়ে ভয় দেখিয়ে লাভ নেই।’

তৃণমূল নেতার দাবি, ২০১৫ সালে যারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে গালাগালি দিত তারাই আজ দুর্ভাগ্যক্রমে তৃণমূলে কাটোয়ার ক্ষমতায় আছে। আজ তারাই রাজনীতিটাকে ব্যবসায় পরিণত করেছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। বিধায়কের সম্পত্তি নিয়েও আক্রমণ করেন তিনি। বলেন, ‘২০১৬ সালের পর আপনি ও আপনার শাকরেদরা যারা তৃনমূলে এসেছেন তাঁদের সম্পত্তির হিসেব করুন। চোরের মায়ের বড় গলা।’ কোনও পুরানো কর্মীর অসম্মান হতে দেবেন না বলে বার্তা দেন তিনি। বিধায়কের উদ্দেশে বলেন, ‘সংযত হয়ে যান। আপনি এমন কোনও হরিদাস পাল নন যে আপনাকে মাথায় করে রাখতে হবে। আমি ছেড়ে কথা বলব না।’

অরিন্দমের এই বার্তার পর পাল্টা বিধায়ক তথা জেলা সভাপতির সাফ বক্তব্য এই কর্মিসভা দলের নয়। তিনি বলেন, ‘ও অরিন্দমকে আমি চিনি না।’ তাঁর দাবি, দলের পতাকা ব্যবহার করলেও দলীয় সভা হয়ে যায় না। পাল্টা অরিন্দম বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘জেলা সভাপতি দলের কর্মীদের যদি না চেনে তাহলে লজ্জ্বার বিষয়।তৃনমূল দলের এই গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসতেই রাজনৈতিক মহলে শোরগোল কাটোয়া শহরে। বিজেপি পূর্ব বর্ধমান জেলা সহ সভাপতি অনিল দত্ত এই বিষয়ে জানিয়েছেন, তৃনমূল নেতা জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করছে। এতে বোঝা যাচ্ছে এই ঘটনায় দলের উপরের সারির রাঘব বোয়াল কোন নেতার হাত রয়েছে। আর এতেই প্রকাশ পাচ্ছে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব।

আরও পড়ুন: Maharashtra Weather Update: জলের তোড়ে ভেসে গেল আস্ত বাস! ভারী বৃষ্টিতে মৃত কমপক্ষে ১৩, আগামী ২৪ ঘণ্টাও ভাসবে কোঙ্কন উপকূল