Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

TMC Group Clash: ১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে কাউন্সিলর পদ? বিস্ফোরক দাবি তৃণমূল নেতারই

Purba Bardhaman: সেই মঞ্চ থেকেই গত পুরসভা নির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী পদের টিকিট কেনা বেচা হয়েছিল বলে প্রকাশ্যে দাবি করলেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারি শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি ফারুক আবদুল্লা।

TMC Group Clash: ১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে কাউন্সিলর পদ? বিস্ফোরক দাবি তৃণমূল নেতারই
ফারুক আবদুল্লা (নিজস্ব ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 08, 2023 | 3:50 PM

মেমারি: কাউন্সিলর পদের টিকিট বিক্রির অভিযোগ। ১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা দিয়ে পদ মিলেছে বলে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন পূর্ব বর্ধমানের তৃণমূল নেতা। শনিবার দলের এক সভা মঞ্চে দাঁড়িয়ে ওই জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি ফারুক আবদুল্লা দাবি করেন, গত পুরসভা নির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী পদের টিকিট কেনা বেচা হয়েছিল। এক কোটি ৪০ লক্ষ টাকা দিয়ে কাউন্সিলর হয়েছে বলে দাবি তাঁর। পাশাপাশি পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অনুব্রত মণ্ডলের জেলবাসের কথা স্মরণ করিয়ে মেমারির এক কাউন্সিলর এবং এক নেতাকে উদ্দেশ্য করে হুঁশিয়ারি দেন ফারুক আবদুল্লা। পঞ্চায়েত ভোটের আগে তৃণমূল নেতার এমন দাবি ঘিরে তোলপাড় পড়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে। বিরোধীরা বলছেন, তাঁরা এতদিন যে কথা বলে আসছিলেন তাতে তৃণমূলের নেতাই সিলমোহর বসিয়ে দিলেন।

উল্লেখ্য, মেমারি শহর তৃণমূল কংগ্রেস শনিবার বিকালে চকদিঘি মোড়ে সভার আয়োজন করে। সেই সভায় মেমারি শহর তৃণমূলের সভাপতি স্বপন ঘোষাল ছাড়াও ওই জেলার সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি ফারুক আবদুল্লা-সহ বেশ কয়েকজন জেলাস্তরের নেতা উপস্থিত ছিলেন। ওই সভা থেকেই নাম না করে নিজের দলের এক কাউন্সিলর ও এক নেতার বিরুদ্ধে সুর চড়ান। তবে,যে কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে টাকা লেনদেনের অভিযোগ তুলেছেন, তাঁর নাম স্পষ্ট করেননি ফারুক। এর ফলে আরও গুঞ্জন তৈরি হয়েছে জেলাস্তরে।

এ দিন ওই সভা থেকে কাউন্সিলরকে ক্লাস টু পাশ বলে কটাক্ষ করেন ফারুক। তিনি আরও বলেন, “সই করতে গেলে ক্লাস টু পাশ ওই কাউন্সিলর কলম ভেঙে ফেলেন।” এরপর তৃণমূল নেতার বিস্ফোরক উক্তি, “১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা দিয়ে টিকিট কিনে তুমি কাউন্সিলর হয়েছো । তোমার নেতাও ১কোটি ৪০ লক্ষ টাকা দিয়ে টিকিট কিনেছে।” দুর্নীতির অভিযোগে পার্থ ও অনব্রতর জেলবন্দি হওয়ার কথা স্মরণ করিয়ে ওই কাউন্সিলরের উদ্দেশ্যে হুঁশিয়ারি দেন ফারুক। তিনি বলেন, “আপনার কথা বলা সাজে না। বেশি কথা বলবেন না। নয় তো আপনার কথা আপনারই বুকের মধ্যে চেপে দেব ।”

প্রকাশ্য সভামঞ্চ থেকে দল বিরোধী এইসব কথা যখন ফারুক বলছেন তখন প্রতিবাদ না করে উল্টে তাঁকে হাততালি দিয়ে সমর্থন করতে দেখা যায় তৃণমূল কর্মীদের একাংশের। এই বিষয়ে রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র দেবু টুডুর সাফাই, “এখন সবাই তৃণমূল। বিজেপি ও সিপিএম উঠে গিয়েছে। দল বড় হয়েছে। ভাইয়েদের মধ্যেও সমস্যা হয়। সুতরাং এতে ভাবনার কিছু নেই। সব ঠিক হয়ে যাবে। গ্যাপ থাকলে আগামী দিনে সব ঠিক হয়ে যাবে।” তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, “আমাদের দলের এই সব কাজ হয় না। যিনি অভিযোগ করেছেন তাঁকে প্রমাণ করতে হবে। আর অভিযোগ থাকলে দলের শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটিতে জানাতে হবে।” বিজেপি নেতা শমিক ভট্টাচার্য বলেন, “রাজতন্ত্র যখন ধ্বংসের মুখে চলে যায় সেই সময় আক্রমণ শানাতে শুরু করেন একে অন্যের প্রতি। তৃণমূলের ক্ষেত্রেও একই প্রযোজ্য।”