Digha: যুবকের কাছে পুলিশের শীর্ষ কর্তা সেজে ফোন, বিশ্বাস করে কথা বলতেই ‘সব শেষ’
Digha: জানা গিয়েছে, গত ৩০ ডিসেম্বর শুভজিতের কাছে মুম্বই কাস্টম থেকে ফোন আসে ওনার নামে ২৫০ গ্রাম ড্রাগস ইরানে পার্সেল করে পাঠানোর সময় ধরা পড়েছে। যদিও পার্সেলটি ওনার নয় বলে ফোন কেটে দেন। এরপর বিকেল ৩টে নাগাদ আবারও ফোন করে বলা হয় পার্সেলের বিষয়ে।
তমলুক: দিন দিন বাড়ছে প্রতারণার নয়া-নয়া পন্থা। এবার পুলিশের শীর্ষ কর্তা ও কাস্টম আধিকারিক পরিচয় দিয়ে প্রতারণার ফাঁদ পাতল দুষ্কৃতীরা। কলকাতার ইঞ্জিনিয়র যুবকের লোন সহ ৩৪ লক্ষ টাকা অ্যাকাউন্ট থেকে ফাঁকা। অভিযোগ দায়ের হল সাইবার থানায়। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক থানার অন্তর্গত পদুমবসান গ্রামের আচার্য পাড়ায়।
শুভজিৎ মিশ্র। পেশায় ইঞ্জিনিয়র। কলকাতার একটি বেসরকারি কোম্পানিতে কর্মরত তিনি। গত ৩০শে ডিসেম্বর যখন বাড়ি এসেছিলেন তখন এই ধরণের প্রতারণার শিকার হন বলেই জানা যাচ্ছে। এই ঘটনায় শুভজিতের অ্যাকাউন্ট থেকে ৩৩ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয় প্রতারকরা।
জানা গিয়েছে, গত ৩০ ডিসেম্বর শুভজিতের কাছে মুম্বই কাস্টম থেকে ফোন আসে ওনার নামে ২৫০ গ্রাম ড্রাগস ইরানে পার্সেল করে পাঠানোর সময় ধরা পড়েছে। যদিও পার্সেলটি ওনার নয় বলে ফোন কেটে দেন। এরপর বিকেল ৩টে নাগাদ আবারও ফোন করে বলা হয় পার্সেলের বিষয়ে। এরপর তাঁকে জানানো হয় মুম্বই কাস্টমের ডিজিপি কথা বলতে চান শুভজিতের সঙ্গে। ওনার অ্যাকাউন্ট থেকে বিদেশে কোনও লেনদেন হয়েছে কি না জানার জন্যে অ্যাকাউন্ট নম্বর জানতে চায় প্রতারকরা। এরপর ওনার সঙ্গে স্কাইপে কথা বলেন তারা। প্রায় দু ঘণ্টা ধরে চলে জিজ্ঞাসাবাদ।
এই কথা বার্তার সময়ই ওই যুবকের অ্যাকাউন্ট থেকে ১৩ লক্ষ ২২ হাজার ৭৫৬ টাকা গায়েব হয়ে যায়। এরপর রাতে আবার কাস্টম থেকে ফোন করে বলা হয় মুম্বই আন্ধেরি সাইবার ক্রাইমের সঙ্গে যোগাযোগ করতে ওনারা সাহায্য করতে পারেন। ঠকবাজরা এ ও জানায়, ভুল করে ওনার অ্যাকাউন্টে ২০ লক্ষ টাকা ঢুকে গিয়েছে। টাকাটা ফেরত পাঠাতে। অ্যাকাউন্ট সার্চ করে দেখতে পান সত্যি তাঁর অ্যাকাউন্টে ২০ লক্ষ টাকা ঢুকেছে। টাকাটি মুম্বই ক্রাইমের ভেবে প্রতারকদের কথামত টাকা পাঠিয়ে দেওয়া হয়। যদিও পরে নেট ব্যাঙ্কিং সার্চ করে দেখতে পান যে বেসরকারি একটি ব্রাঞ্চ থেকে তাৎক্ষনিক একটি লোন সংগ্রহ করা হয়েছে তার নামে। যার অঙ্ক ২০ লক্ষ টাকা।
এই বিষয়ে শুভজিৎ মিশ্র ফোনে বলেন, “আমার ওই ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট ছিল। ব্যাঙ্ক থেকে লোন অনুমোদন করা হয়েছিল। ব্যাঙ্কের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। বলেছি সমগ্ৰ বিষয় কথা। আমি লোনের জন্যে আবেদনই করিনি। সাইবার থানায় অভিযোগ করেছি দেখা যাক কি হয়।”