Acid Attack: নাতনির উপর অ্যাসিড হামলার অভিযোগ দাদু-দিদার বিরুদ্ধে, ছাড় পেল না মেয়েও
Acid Attack: সূত্রের খবর, সম্পত্তি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে মৌমিতা দেবীর সঙ্গে ঝামেলা চলছিল তাঁর বাবা-মায়ের। সে কারণেও তাঁরা হামলা চালিয়ে থাকতে পারেন বলে অনুমান করা হচ্ছে।
তমলুক: নিজের মেয়ের উপরেই অ্যাসিড হামলা (Acid attack) চালানোর অভিযোগ উঠল বাবা-মায়ের বিরুদ্ধে। ছাড় পেল না নাতনিও। এ ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে তমলুকে (tamluk)। সূত্রের খবর পূর্ব মেদিনীপুর পাঁশকুড়া এলাকার বাসিন্দা বিশ্বজিৎ সামন্ত তাঁর স্ত্রী ও শিশুকন্যাকে নিয়ে কুলবেড়িয়ায় ভাড়া থাকেন। এদিকে কুলবেড়িয়া থেকে খানিক দূরেই চকশ্রীকৃষ্ণপুর। সেখানেই শ্বশুরবাড়ি বিশ্বজিৎ সামন্তর। সূত্রের খবর, তমলুক বর্গভীমা মন্দিরে পুজো দেওয়ার জন্য চকশ্রীকৃষ্ণপুরে বুধবার ফুল তুলতে যান তাঁর স্ত্রী মৌমিতা দেবী ও তাঁর মেয়ে।
অভিযোগ, ফুল তুলে গেলে সেখানেই তাঁদের উপর অ্যাসিডের বোতল নিয়ে চড়াও হন মৌমিতা দেবীর মা সন্ধ্যারানী সামন্ত ও বাবা রামপ্রসাদ সামন্ত। প্রথমে তাঁরা তাঁদের নাতনির উপর চড়াও হন বলে অভিযোগ। বাধা দিতে গেলে আক্রান্ত হন তিনিও। এদিকে নিমতৌড়ি এলাকায় একটি চায়ের দোকান রয়েছে বিশ্বজিৎ বাবুর। যে সময় এ ঘটনা ঘটে সে সময় দোকানের কাজেই ছিলেন তিনি। খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন তিনি। আহতদের দ্রুত উদ্ধার করে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এদিকে ইতিমধ্যেই শ্বশুর-শাশুড়ির বিরুদ্ধে তমলুক থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন বিশ্বজিৎবাবু। সূত্রের খবর, সম্পত্তি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে মৌমিতা দেবীর সঙ্গে ঝামেলা চলছিল তাঁর বাবা-মায়ের। সে কারণেও তাঁরা হামলা চালিয়ে থাকতে পারেন বলে অনুমান করা হচ্ছে। যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মৌমিতা দেবীর বাবা। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ঘটনা প্রসঙ্গে মৌমিতা দেবী বলেন, “ওরা হাতে বোতল এনেছিল। প্রথমে বুঝিনি ওতে কী আছে। এদিকে আমার মা আমার মেয়েকে ওটা খাওয়াতে যায়। আর আমাকে ধরে রাখে আমার বাবা। যে বোতলটা খোলে গন্ধটা পেয়েই বুঝতে পারি ওটা অ্যাসিড। মেয়েকে বাঁচাতে গিয়ে আমার গায়েও অ্যাসিড পড়ে যায়। তবে আমার মেয়েই বেশি আক্রান্ত হয়েছে।”