ShantiKunja: কাঁথির শান্তিকুঞ্জে শান্তনু ঠাকুর, শুভেন্দুর অনুপস্থিতিতে অতিথি অ্যাপায়নে শিশির, দিব্যেন্দু
কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শনিবার হলদিয়া একাধিক কর্মসূচিতে ছিলেন। রবিবার সকালে কাঁথির নাচিন্দা মন্দিরের পূজো দিয়ে কর্মসূচি শুরু করেন। তারপরে মারিশদা ধান্দালিবাড়ে একটি জনসংযোগ কর্মসূচিতে যান। সেখান থেকে অধিকারী নিবাস শান্তিকুঞ্জে আসেন এবং মধ্যাহ্নভোজন সারেন৷
কাঁথি: দু’দিন ধরে পূর্ব মেদিনীপুরে একাধিক কর্মসূচি করলেন কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। রবিবার দুপুরে কাঁথি সাংগঠনিক জেলার একাধিক কর্মসূচিতে যোগ দেন কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী। এদিন দুপুরে অধিকারী পরিবারের নিবাস ‘শান্তিকুঞ্জে’ মধ্যাহ্ন ভোজন করেছেন তিনি। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী ছাড়াও একাধিক বিধায়ক মধ্যাহ্ন ভোজন করেন। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী না থাকলেও বাড়িতে ছিলেন তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী ও ভাই সৌমেন্দু অধিকারী। অতিথি আপ্যায়ন করেন কাঁথির বর্ষীয়ান সাংসদ শিশির অধিকারী। খাবারের তালিকাতে একেবারেই যেন ভুরিভোজ। ভাত, ডাল, আলুভাজা, একটি সবজি, পমফ্রেট, ইলিশ ও কাতলা মাছ-সহ নানা পদ ছিল। বাদ যায়নি দই-মিষ্টি।
মধ্যাহ্ন ভোজন শেষে শান্তিকুঞ্জ থেকে বেরিয়ে তৃণমূল সরকারকে কটাক্ষ করেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। তিনি বলেন, “দিব্যেন্দুদা ( তমলুকের সাংসদ) আগে থেকে বলেছিল এখানে এলেই তাঁর বাড়িতে যেন যায়। বাড়িতে এসে খাওয়া দাওয়া করলাম। শুভেন্দু অধিকারী বাড়িতে নেই। উনি কাজে ব্যস্ত আছেন। দাদার সঙ্গে প্রত্যেকদিন কলকাতায় দেখা হয়।” তৃণমূলের দুর্নীতি নিয়েও এ দিন সুর চড়িয়েছেন শান্তনু। তাঁর দাবি, “জেলবন্দি খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের যত জন সহযোগী রয়েছে সকলেই ধরা পড়বে। প্রত্যেকেই রেশন দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত। জেলা থেকে ব্লক প্রত্যেককে তুলে আনা হবে। শঙ্কর আঢ্যের দিঘাতে হোটেল আছে। প্রায় ৫০০ কোটি টাকার মালিক। সমস্ত টাকা জলাঞ্জলি দিতে হবে।”
কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শনিবার হলদিয়া একাধিক কর্মসূচিতে ছিলেন। রবিবার সকালে কাঁথির নাচিন্দা মন্দিরের পূজো দিয়ে কর্মসূচি শুরু করেন। তারপরে মারিশদা ধান্দালিবাড়ে একটি জনসংযোগ কর্মসূচিতে যান। সেখান থেকে অধিকারী নিবাস শান্তিকুঞ্জে আসেন এবং মধ্যাহ্নভোজন সারেন। কাঁথি সংগঠনিক জেলা বিজেপি নেতাদের সঙ্গে বৈঠকও করেন তিনি। এবং সুশীল সমাজের মানুষজনকে সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় করেন। তারপরে রামনগরের একটি কর্মসূচিতে যান।
যদিও তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী এ সবের মাঝে রাজনীতি না খোঁজার আহ্বান জানান। তিনি বলেছেন, “বাংলায় সৌজন্য রাজনীতি উঠে গিয়েছে। আমি বাম নেতা বিমান বসুর পায়ে হাত দিয়ের প্রণাম করেছি। তাতে কী হয়েছে? আমাদের সামনের সেই সৌজন্য হারিয়ে গিয়েছে। আগামীকাল মাননীয় রাজ্যপাল আমাকে ও আমার বাবাকে ডেকেছেন সৌজন্য সাক্ষাতের জন্য।” পাশাপাশি সন্দেশখালির ঘটনায় তৃণমূল নেতার গ্রেফতার হওয়া উচিৎ বলেও দাবি করেছেন তিনি।