Nandigram: অশান্তির আগুনে সব শেষ! ভোট দেবেন কী ভাবে? চিন্তায় নন্দীগ্রামের ৭০ ঘরছাড়া পরিবার
Nandigram: হামলার মুখে পড়ে এক কাপড়েই ঘর ছেড়েছেন ২৭০ নম্বর বুথের বাসিন্দারা। অসহায় অবস্থায় সেই সকল মানুষের অভিযোগ, পাশের গ্রামে এসেও নিস্তার নেই। দুই গ্রামের মধ্যে সংযোগকারী কাঠপোল ভেঙে তা পুড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে।
নন্দীগ্রাম: রাত পোহালেই ভোট। কিন্তু শনিবার ভোট দিতে যাবেন কী ভাবে? প্রশাসনের কাছে প্রশ্ন নন্দীগ্রামের সাউদখালি-মনসাবাজার এলাকার বাসিন্দাদের। বুধবার রাতে বিজেপি কর্মীর মায়ের খুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকা তপ্ত হওয়ার পর থেকে ঘরছাড়া অন্তত ৭০টি পরিবার। সাউদখালির তৃণমূল সমর্থক পরিবারগুলিকে আশ্রয় দিয়েছেন সাউদখালি জলপাই গ্রামের বাসিন্দারা। ঘরছাড়া পরিবারগুলির জন্য গড়ে তোলা অস্থায়ী শিবির। মাথায় ছাদ নেই।
হামলার মুখে পড়ে এক কাপড়েই ঘর ছেড়েছেন ২৭০ নম্বর বুথের বাসিন্দারা। অসহায় অবস্থায় সেই সকল মানুষের অভিযোগ, পাশের গ্রামে এসেও নিস্তার নেই। দুই গ্রামের মধ্যে সংযোগকারী কাঠপোল ভেঙে তা পুড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে। সঙ্গে হুমকি, বোমাবাজির অভিযোগ। এই পরিস্থিতিতে শুধু সাউদখালি জলপাই গ্রামের বাসিন্দাদের বক্তব্য, কাঠপোল পেরিয়ে তাঁদের ২৭৪ নম্বর বুথে ভোট দিতে হবে। অভিযোগ, তৃণমূল সমর্থকেরা যাতে ভোট দিতে না পারেন সেই কারণেই কাঠপোল পুড়িয়ে বার্তা দিয়েছে বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা। অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগের এই আবহে শনিবারের ভোট শান্তিপূর্ণ হবে কি না, এখন সেটাই প্রশ্ন।
এদিকে ভোটে হিংসা, কোনওরকম অপ্রীতিকর ঘটনা রুখতে তৎপরতা বাড়িয়েছে নির্বাচন কমিশন। বিশেষ নজর রয়েছে নন্দীগ্রামে। নন্দীগ্রামে ই থাকছে ২০ কম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। নন্দীগ্রামে খুনের ঘটনার পর ১৬ কম্পানি থেকে আরও চার কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী বাড়িয়েছে নির্বাচন কমিশন। দেওয়া হচ্ছে আরও ৪ কোম্পানি বাহিনী। একইসঙ্গে বেডডেছে QRT এর সংখ্যা। থাকছে ১২ QRT. এখন দেখার দিনভর ভোটে কতটা অশান্তি ঠেকাতে পারল কমিশন।