Buddhadeb Bhattacharya: তখন উত্তাল নন্দীগ্রাম! অশান্ত মনে প্রায়ই ছুটে যেতেন সমুদ্র তীরে, ময়ূরপঙ্খী কটেজেই খুঁজতেন মন খারাপের ওষুধ
Buddhadeb Bhattacharya: এলাকার লোকজন বলছেন, প্রায়শই উদাস চিত্তে চলে যেতেন ঝাউয়ের বনে। শুনতেন সমুদ্রের কলকাতান। নিরিবিলি সমুদ্র সৈকতে একাকী হাঁটাও বড্ড পছন্দের ছিল তাঁক। তখন রাজ্যের মৎস্য দফতরের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী ছিলেন কিরণময় নন্দ।
শঙ্করপুর: তখন উত্তাল নন্দীগ্রাম। রাজ্য-রাজনীতিতে চলছে তোলপাড়। চাপ বাড়ছে তদানন্তীন বাম সরকারের উপরে। আর সেই চাপ কাটাতেই কিন্তু মাঝে মাঝেই শঙ্করপুরের সমুদ্রপাড়ে ছুটে যেতেন বুদ্ধদেব। রাজ্য মৎস্য দফতরের উদ্যোগে শঙ্করপুরে গড়ে উঠেছে ‘জোয়ার’ কমপ্লেক্স। এই সমুদ্র উপকণ্ঠেই রয়েছে বুদ্ধদেবের কত শত স্মৃতি।
বন্দর এলাকায় মধ্যে রয়েছে ‘ময়ূরপঙ্খী’ কটেজ। শোনা যায় এটাই ছিল বুদ্ধ মন ভাল করার জায়গা। পরিবার নিয়ে প্রায়শই কাটিয়ে যেতেন বেশ কিছুটা সময়। সর্বদাই পছন্দ করতেন সাদামাটা বাঙালি খাবার। তবে সব কিছুর মধ্যে পোস্ত দিয়ে বানানো যে কোনও পদ সবথেকে বেশি পছন্দের ছিল তাঁর। সন্ধ্যায় কখনও খেতে চাইতেন ফিঙ্গার চিপস কখনও আবার ফিস ফিঙ্গার। দুপুরের মেনুতে থাকতো ভাত, ডাল ,আলুভাজা, আলু পোস্ত, ঝিঙা পোস্ত, পোস্তর বড়া। মাছের মধ্যে ভেটকি, পার্শে, তোপসে। তবে ইলিশ থেকে খাসিও ছিল আর পাঁচটা খাদ্যরসিক বাঙালির মতো তাঁরও পছন্দের তালিকায়।
এলাকার লোকজন বলছেন, প্রায়শই উদাস চিত্তে চলে যেতেন ঝাউয়ের বনে। শুনতেন সমুদ্রের কলকাতান। নিরিবিলি সমুদ্র সৈকতে একাকী হাঁটাও বড্ড পছন্দের ছিল তাঁক। তখন রাজ্যের মৎস্য দফতরের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী ছিলেন কিরণময় নন্দ। বুদ্ধবাবুর প্রয়ানের পর আজও সেই সব দিনের কথা এলাকাবাসীর মনের স্মৃতির পাতায় তুলছে ঢেউ।
শঙ্করপুরের লছিমপুর এলাকায় থাকেন বিজয় কৃষ্ণ দাস। তাঁর বাড়িতেও ছাত্র জীবনে বেশ কয়েকটা দিন এসে কাটিয়েছিলেন বুদ্ধ। প্রায় ১৫ বছর ভট্টাচার্য পরিবাররে সঙ্গে যোগাযোগ ছিল বিজয়বাবুর। একটা বইয়ের দোকান থেকেই পরিচয়। ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে ঘনিষ্ঠতা। বুদ্ধবাবুর প্রয়ানে শোকে বিহ্বল তিনি। বলছেন, ‘সমাজ পরিবর্তন, এই ছিল তাঁর একটাই লক্ষ্য। কবিতা, সাহিত্য, গানও খুব ভালবাসতেন।’
আরও খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Tv9 বাংলা অ্যাপ (Android/ iOs)