Financial fraud : ম্যাজিক পেনেই সাফ অ্যাকউন্ট, ছদ্মবেশী জালিয়াতের খপ্পরে পড়ে লক্ষাধিক খোয়ালেন ঠিকাদার

Kanishka Maity

Kanishka Maity | Edited By: জয়দীপ দাস

Updated on: Mar 19, 2023 | 10:09 AM

Financial fraud : ম্যাজিক পেনের মাধ্যমে আর্থিক প্রতারণার ছক। প্রায় দেড় লক্ষ টাকা খোয়ালেন মহিষাদলের ঠিকাদার।

Financial fraud : ম্যাজিক পেনেই সাফ অ্যাকউন্ট, ছদ্মবেশী জালিয়াতের খপ্পরে পড়ে লক্ষাধিক খোয়ালেন ঠিকাদার
প্রতারণার নয়া হাতিয়ার ম্যাজিক পেন

মহিষাদল : কালের অগ্রগতির সঙ্গে আম-আদমির জীবন যতটা ডিজিটাল নির্ভর হয়েছে ততটাই সামনে আসতে শুরু করেছে প্রযুক্তিকে হাতিয়ার করে নিত্যনতুন প্রতারণা ছক। এবার ম্যাজিক পেনের মাধ্যমে চলছে আর্থিক প্রতারণা (Financial Fraud)। প্রায় দেড় লক্ষ টাকা খোয়ালেন মহিষাদলের ঠিকাদার। সূত্রের খবর, ব্যবসায়িক ঋণের অফার এসেছিল পার্কস্ট্রিটের বেসরকারি সংস্থার কাছ থেকে। বলা হয় কোটি টাকার লোন পাইয়ে দেওয়া হবে। ১৪ মার্চ সংস্থার নাম করে ফোন সায়ন্তন গুড়িয়া নামে ওই ঠিকাদারের কাছে। শুরুতে হোয়াটসঅ্যাপে পাঠাতে বলা হয় আধার কার্ড, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর, প্যান কার্ড ইত্যাদির ছবি। 

বিশ্বাস করে পাঠিয়েও দেন তিনি। এরপর সেই একই নম্বর থেকে ১৬ তারিখ সকালে ফোন করে সংস্থার ওই আধিকারিক লোনের ব্যাপারে কথা বলার জন্য বাড়িতে আসার কথা বলে। বাড়িতে এসে আতিথেয়তাও গ্রহণ করে এক ব্যক্তি। পরে পুনরায় সমস্ত নথির জেরক্স-সহ লগইন চার্জ হিসেবে ১৯৯ টাকা অ্যাকাউন্টের চেকে দিতে হবে বলে জানানো। বিশ্বাস করে ওই ব্যক্তির বাড়িয়ে দেওয়া কলমে দুটো চেক লিখে দেন সায়ন্তন। কিন্তু, কে জানত ততক্ষণে ঘনাতে শুরু করেছে বিপদের মেঘ। যে পেনে সই করলেন তাতেই বেজেছিল বিপদ ঘণ্টা। পরেরদিনই মাথায় হাত পড়ে ওই ঠিকাদারের। জানতে পারেন, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে উধাও হয়ে গিয়েছে ১ লক্ষ ৪৪ হাজার টাকা! 

তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, পুরোটাই ম্যাজিক পেনের কারসাজি। ১৭ মার্চ এমন অভিনব জালিয়াতির অভিযোগ পেয়েছে মহিষাদল থানার পুলিশ। এ ধরনের প্রতারণার জাল এড়াতে ভবিষ্যতে চেক বা ফর্মে নিজের কলমে সই করার পরামর্শ দিয়েছে পুলিশ। জানা যাচ্ছে, মূলত প্রতারণার জন্য ম্যাজিক কালির পেন ব্যবহার করেছে প্রতারকেরা। যে কালি পেনের পিছনে থাকা রবার দিয়ে সহজেই মুছে ফেলা যায়। গ্রাহকের চোখের আড়ালে গ্রাহকের সই রেখে ম্যাজিক কলমের পিছনের রবার দিয়ে টাকার অঙ্ক মুছে নিজেদের পছন্দের টাকার অঙ্ক লিখেই টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে জালিয়াতরা। তবে শুধু ম্যাজিক পেনের ব্যবহার নয়, টাকা তোলার আগে সায়ন্তন গুড়িয়ার নথি জমা করে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে যুক্ত মোবাইল নম্বরটিও ১৭ তারিখ সাময়িকভাবে ব্লক করে দেয় প্রতারকরা। তবে সেটি কী করে করল তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

এই খবরটিও পড়ুন

সায়ন্তন বাবু জানান, চেকে সই করার একদিন পরেই তিনি জানতে পারেন সুখদেব দাস ও সাবির রহমান নামের দুই ব্যক্তি দুটি চেকের মাধ্যমে যথাক্রমে ৯৫ হাজার ৫০০ এবং ৪৮ হাজার ৫০০ টাকা তুলে নিলেও সিম বন্ধ থাকায় ফোনে টাকা ডেবিটের মসেজ পাননি। ১৭ তারিখ দুপুরে কাস্টমার কেয়ারে কল করে সায়ন্তনবাবু জানতে পারেন তাঁর নথি জমা দিয়ে কেউ বা কারা সিমটা বন্ধ করে দিয়েছে। এরপর আধার কার্ড দিয়ে পুনরায় সিম চালু করেন সায়ন্তন। কিন্তু ততক্ষণে খেলা শেষ। সন্ধেয় ফোনে টাকা ডেবিটের মেসেজে ঢুকলে প্রতারিত হয়েছেন বুঝতে পারেন তিনি। তারপরই দ্বারস্থ হন মহিষাদল থানার। 

Latest News Updates

Follow us on

Related Stories

Most Read Stories

Click on your DTH Provider to Add TV9 Bangla