Hilsa Fish: মন ভাল নেই মৎস্যজীবীদের, দিঘায় কেন কমছে ইলিশের আনাগোনা?
Hilsa Fish: চিন্তা বেড়েছে পূর্ব ভারতের সব থেকে বড় মৎস্য আরোহণ কেন্দ্র দিঘা মোহনায়। অন্য়ান্যবারের তুলনায় এবারে এখনও পর্যন্ত ইলিশের উত্তোলন খুবই কম বলে জানাচ্ছেন মৎসজীবীরা।
দিঘা: আগের সপ্তাহেই ছবিটা ছিল একেবারে আলাদা। বাঙালির মুখে হাসি ফুটিয়ে কাকদ্বীপ থেকে থেকে, রাজ্যের নানা উপকূলবর্তী এলাকায় জেলেদের জাল ভারী করে উঠছিল ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ (Hilsa Fish)। ইলশেগুড়ির ঝিরিঝির বৃষ্টির মধ্যেই কলকাতার (Kolkata) বাজারেও এসেছিল টন টন ইলিশ। ৫০০ টাকা থেকে ১৫০০ এমনকি ১৮০০ টাকা কেজি দরে বিকিয়েছেন রুপোলি শস্য। কিন্তু, ফের ইলিশে ভাটা দিঘা মোহনায়। মরসুমের দাবি রেখে ইলিশ উঠলেও তা বাজারের ঘাটতি মেটাতে খুব একটা সহায়ক হচ্ছে না বলেই জানাচ্ছেন মৎস্য ব্যবসায়ীরা। এমনকী ভাল মানের ইলিশ না পেয়ে অন্য মাছে ঝুঁকছেন অনেক ক্রেতা।
স্বভাবতই চিন্তা বেড়েছে পূর্ব ভারতের সব থেকে বড় মৎস্য আরোহণ কেন্দ্র দিঘা মোহনায়। অন্য়ান্যবারের তুলনায় এবারে এখনও পর্যন্ত ইলিশের উত্তোলন খুবই কম বলে জানাচ্ছেন মৎসজীবীরা। সালটা ২০১৫ কী ২০১৬ হবে, সেই বার বর্ষায় একদিনে ১২০ টন পর্যন্ত ইলিশ উঠেছিল দিঘাক মোহনায়। কিন্তু, সে সব এখন সবই স্মৃতি। তারপর থেকে আর সেই ভাগ্য হয়নি মৎসজীবীদের।
অন্যদিকে বিগত কয়েকদিনে দিঘার মোহনায় ট্রলারও কম ঢুকেছে বলে জানা যাচ্ছে। সেই কারণেই আরও আকাল ইলিশের। সূত্রের খবর, এই মুহূর্তে দিঘা-সহ রাজ্যের পার্শ্ববর্তী উপকূলে তিন হাজারের কাছাকাছি ট্রলার রয়েছে। কিন্তু, মৎসজীবীরা জানাচ্ছেন যে সংখ্যায় ট্রলার রয়েছে সেই পরিমাণে ইলিশ উঠছে না জালে। আর যে ইলিশ উঠছে তাও সাইজে ৩০০ থেকে ৫০০ গ্রাম। বিকোচ্ছে ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা কিলোদরে। অন্যদিকে ১ কেজির উপরে ইলিশ খুবই কম। যা বিকোচ্ছে ১ কেজি থেকে দেড় হাজার কিলো দরে।
তবে ইলিশের আমদানি কমে যাওয়ার পিছনে পরিকাঠামোকেও দুষছেন দিঘা মোহনার মৎস্যজীবী সংগঠনের কর্তারা। দুষছেন পরিবেশ দূষণকেও। তাঁদের দাবি, সমুদ্রে বাড়ছে দূষণের পরিমাণ। তার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে মাছেরা। একইসঙ্গে খোকা ইলিশের শিকার, ছোট ফাঁস জালের ব্যবহারের কারণে বর্ষায় কমছে বড় ইলিশের আনাগোনা। পাশাপাশি ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি, মৎসজীবীদের মাছ ধরার অনীহাকেও দুষছেন তাঁরা।