Purba Mednipur: লিখে দিতে হবে সমস্ত সম্পত্তি! মাকে বালিশ চাপা দিয়ে খুনের অভিযোগ যুবতীর বিরুদ্ধে
Purba Mednipur: এ ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ছে গোটা এলাকায়। শ্যামলীর উপযুক্ত শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা।
পটাশপুর: দাবি ছিল সম্পত্তির। নিজের নামে লিখিয়ে নেওয়ার ছক কষছিল বছর সাতাশের যুবতী। কিন্তু, তা না দেওয়ায় নিজের মাকে বালিশ চাপা দিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল মেয়ের বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুর(East Midnapore) জেলার পটাশপুর ২ ব্লকের বামুনদা গ্রামে। জানা গিয়েছে, বামুনদা গ্রামের রাধারানি জানার (৫৭) স্বামী বেশ কয়েকবছর আগে মারা গিয়েছেন। অভিযোগ, সম্প্রতি তাঁর সম্পত্তি ও টাকা নিজের নামে লিখে দেওয়ার জন্য মায়ের উপর চাপ দিচ্ছিল মেয়ে শ্যামলী জানা (২৭)। মা তা লিখে না দেওয়ায় প্রায়শই বাড়িতে লেগে যেত ঝামেলা, এমনটাই জানিয়েছেন অভিযুক্ত শ্যামলীর দিদি কাকলি জানা।
সূত্রের খবর, সম্পত্তি লিখিয়ে দেওয়ার জন্য শনিবার বিকালেও মায়ের সঙ্গে ঝগড়া হয় শ্যামলীর। শ্যামলীর দিদির অনুমান তখনই মায়ের মুখে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করে শ্যামলী। এরপর দেহ রেখে আসেন গোয়ালঘরে। তবে মায়ের মৃত্যুর পর প্রতিবেশীদের এসে নিজেই খবর দিয়েছিলেন শ্যামলী। তখন প্রতিবেশীরা ভাবেন বয়সের কারণেই মত্যু হয়েছে ওই বৃদ্ধার। এদিকে মায়ের মৃত্যুর খবর পেতেই ছুটে আসেন বড় মেয়ে। সন্দেহের তীর যায় শ্যামলীর দিকে। দ্রুত পুলিশেও অভিযোগ জানানো হয়। পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে পাঠায়। সেখানেই দেখা যায় রাধারানি দেবীর গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তারপরেই গ্রেফতার করা হয় শ্যামলীকে।
এদিকে এ ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ছে গোটা এলাকায়। শ্যামলীর উপযুক্ত শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা। রবিবার অভিযুক্ত শ্যামলীকে কাঁথি মহকুমা আদালতে তোলে পুলিশ। তবে জামিনের আবেদন করলে বিচারক তা নাকচ করে ৫ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন। অন্যদিকে ঘটনা প্রসঙ্গে পটাশপুর থানার ওসি দীপক চক্রবর্তী বলেন “মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে ওই যুবতীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কাঁথি আদালত থেকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। পুরো ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”