Purba Medinipur : মুছছে ‘বাংলা’র নাম, নতুন করে লেখা হচ্ছে ‘প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা’
Purba Medinipur: কয়েকদিন আগেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী একাধিক জনসভা ও নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে দাবি করেছিলেন কেন্দ্রের প্রকল্প নাম বদল করে রাজ্যের নামে করা হচ্ছে। এই নিয়ে রাজ্যের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলে প্রধানমন্ত্রী, রাজ্যপাল, কেন্দ্রীয় গ্রাম উন্নয়ন মন্ত্রকে চিঠিও দিয়েছিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা।
কাঁথি : রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বক্তব্যের জের। কয়েকদিন মধ্যে ভোল বদল রাজ্যের। মুছে ফেলা হচ্ছে বাংলা গ্রামীণ সড়ক যোজনা, তার বদলে লেখা হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ সড়ক যোজনা। মঙ্গলবার সাতসকালে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথি ও পটাশপুর বিস্তীর্ণ এলাকায় শিল্পীদের দিয়ে প্রকল্পের নাম মুঁছে লেখা সংশোধন করা হচ্ছে। এই নিয়ে নতুন করে রাজনৈতিক তরজা শুরু তৃণমূল ও বিজেপির অন্দরে। উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী একাধিক জনসভা ও নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে দাবি করেছিলেন কেন্দ্রের প্রকল্প নাম বদল করে রাজ্যের নামে করা হচ্ছে। এই নিয়ে রাজ্যের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলে প্রধানমন্ত্রী, রাজ্যপাল, কেন্দ্রীয় গ্রাম উন্নয়ন মন্ত্রকে চিঠিও দিয়েছিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা। সেই চিঠির পর কার্যত শোরগোল পড়ে যায় রাজ্য রাজনীতিতে।
রাজ্যের মৎস্যমন্ত্রী অখিল গিরি এই বিষয়ে বলেন ” এটা পুরোপুরি ঠিক নয়। আমরা প্রথম দেখে বলেছি, কেন্দ্র ও রাজ্য আবাস যোজনা হোক। কারণ এখানে শুধুমাত্র কেন্দ্রের টাকা নেই। আবাস যোজনা হোক কি, সড়ক যোজনা হোক, আমরা টাকা দিই। শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় সরকারের নাম লিখতে হবে কেন? বাংলাও টাকা দেয়! আমরা এটাই বলেছি! এরা এটা মানতে চায়নি।” পটাশপুরে তৃণমূল নেতা চন্দন সাহু এই বিষয়ে বলেন, “প্রধানমন্ত্রী সড়ক যোজনার পাশাপাশি বাংলা সড়ক যোজনাও লেখা রয়েছে। দুটোই লেখা রয়েছে। অধিকাংশ জায়গাতেই প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ সড়ক যোজনা লেখা রয়েছে। এর পাশাপাশি বাংলা গ্রামীণ সড়ক যোজনাও লেখা রয়েছে। কোথাও যদি কেউ মুঁছে দেয় তা জানা নেই। পুরোটাই কেন্দ্র সরকার টাকা দেয়নি। রাজ্য সরকারও টাকা দিয়েছে। কোনও কারণে কেউ হয়ত ‘বাংলা’ কথাটা মুছে দিচ্ছে। কিন্তু সরকারিভাবে মুঁছে দেওয়া হয়নি।”
পাল্টা কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছে বিজেপি শিবিরও। কাঁথি সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সভাপতি সুদাম পণ্ডিত বলেন, “রাজ্যে মা মাটি সরকারের উন্নয়ন দেখার জন্য কেন্দ্রীয় টিম ঢুকে পড়েছে। সমস্ত বোর্ড খুলে নতুন করে বোর্ড লাগানো হচ্ছে। বিজেপি আগে থেকেই অভিযোগ করে আসছে, কেন্দ্রীয় সরকারের একাধিক প্রকল্প নাম পরিবর্তন করা হচ্ছে। সেই টাকা আত্মসাৎ করা হচ্ছে। আসল সত্য এবার বেরোচ্ছে। গ্রাম পঞ্চায়েতের একাধিক দফতরে যদি কেন্দ্রীয় টিম দিয়ে অডিট করানো হয়, সবাইকে চার দেয়ালের ভেতরে জেলের ঘানি টানতে হবে।”