Digha: টিকা না নিলে যেতে পারে কাজ, ঠাঁই হতে পারে জেলে, ফরমান জারি দিঘায়
Coronavirus: পূর্ব ভারতের সব থেকে বড় মৎস্য আহরণ কেন্দ্র দিঘা মোহনায় এমনি নির্দেশিকায় কথা ঘোষণা করল দিঘা মোহনা ফিস অ্যান্ড ফিস ট্রেডার্স -এর পক্ষে।
দিঘা: দিঘা (Digha) মোহনায় কর্মক্ষেত্রে করোনা ভ্যাকসিন (Corona Vaccine) না নেওয়া থাকলে যেতে পারে কাজ। এখানেই শেষ নয়। ভুয়ো শংসাপত্র দেখিয়ে ধরা পড়লে হতে পারে জেল বা জরিমানা দুটোই। এমনই এক ফরমান জারি করল দিঘা মোহনা কর্তৃপক্ষ।
দিঘায় এলে পর্যটকদের টিকার ব্যাপারে আগেই নিয়ম বেঁধে দিয়েছে প্রশাসন। এবার দিঘা মোহনা এলাকায় করোনা ভ্যাকসিনের ডোজ নেওয়ার ক্ষেত্রে জোর কদমে প্রচার শুরু করল রাজ্য সরকার। জেলা প্রশাসনের পাশাপাশি বেসরকারি ক্ষেত্রে এই বিষয়ের জোরদার প্রচার শুরু করা হয়েছে। এদিন পূর্ব ভারতের সব থেকে বড় মৎস্য আহরণ কেন্দ্র দিঘা মোহনায় এমনি নির্দেশিকায় কথা ঘোষণা করল দিঘা মোহনা ফিস অ্যান্ড ফিস ট্রেডার্স -এর পক্ষে। সংস্থার পক্ষে এদিন বিশেষ এক ঘোষণা করলেন সম্পাদক শ্যামসুন্দর দাস।
সরকারি নির্দেশিকায় অনুযায়ী, বহু ক্ষেত্রে প্রথম বা দ্বিতীয় ডোজ নিতে অনীহা দেখা যাচ্ছে মানুষের মধ্যে। তার জেরে সরাসরি কোভিড আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকে। সেই পরিসংখ্যান দেখে টনক নড়েছে স্বাস্থ্য দফতরের। আর সেই কারণেই সরকারির মতো বেসরকারি ক্ষেত্রেও টিকার ব্যাপারে শুরু হল কড়াকড়ি।
এদিন দিঘা মোহনার মৎস্যজীবীদের ক্ষেত্রে সংস্থা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যাঁদের ভ্যাকসিনের প্রথম বা দ্বিতীয় ডোজ নেওয়া হয়নি, তাঁদের তা অবিলম্বে নিতে হবে। এবং টিকা বাধ্যতামূলক ভাবে নিতে হবে। যদি কেউ টিকা না পান, তা হলে তার ব্যবস্থা করবে সংস্থাই।
আবার করোনা টিকার ভুয়ো শংসাপত্রের ব্যাপারও প্রকাশ্যে এসেছে। তাই এ নিয়ে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জানানো হয়েছে, করোনা টিকার ভুয়ো শংসাপত্র দেখিয়ে ধরা পড়লে কাজ যেতে পারে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির। কর্মহারা তো হবেনই, তার পাশাপাশি আইনি পদক্ষেপও করা হবে। সেটা জেল ও জরিমানা দুই অথবা, যে কোনও একটা হতে পারে। জানালেন সম্পাদক শ্যামসুন্দর দাস।
আরও পড়ুন: Death in Bomb Blast: জলসায় বচসা,মেয়েদের উদ্দেশে ‘অশ্লীল মন্তব্য’, বোমাবাজির ‘বলি’ গৃহবধূ
উল্লেখ্য, রাজ্যে করোনার সংক্রমণে দৈনিক পরিসংখ্যান কিছুটা স্বস্তিদায়ক হলেও, উদ্বেগ জিইয়ে রাখছে পজিটিভিটি রেট। সোমবার স্বাস্থ্য দফতর প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী, বাংলায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৬১৫ জন। মৃত্যু হয়েছে ১৪ জনের। একই সময়ে সুস্থ হয়েছেন ৬৭৬ জন। সুস্থতার হার-ও ৯৮.৩০ শতাংশ। সক্রিয় কোভিড রোগীর সংখ্যা ৭ হাজার ৯৪৫। পাশাপাশি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ২৬ হাজার ৩০৬টি। কিন্তু পজিটিভি রেট ২.৩৪ শতাংশ। এটাই ভাবাচ্ছে প্রশাসনকে। পাশাপাশি, গত ২৪ ঘণ্টায় পূর্ব মেদিনীপুরে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৩ জন। শেষ ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৮ জন।