Haldia: ‘পুজোয় বোনাস না পেলে চলবে কি করে?’ বিক্ষোভে সামিল শ্রমিকরা

Edible Oil: উৎসবের আগে পুজোর বোনাস, পাওনা বেতনের দাবিতে সকাল থেকেই হলদিয়ার একটি ভোজ্যতেল উৎপাদনকারি সংস্থার শ্রমিকরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন।

Haldia: 'পুজোয় বোনাস না পেলে চলবে কি করে?' বিক্ষোভে সামিল শ্রমিকরা
শ্রমিক বিক্ষোভ (নিজস্ব চিত্র)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 07, 2021 | 12:25 PM

হলদিয়া: ফের পুজোর (Durgapujo) আগে কারখানায় বিক্ষোভ। গতকাল হুগলির পাটকলে সেখানকার শ্রমিকরা বিক্ষোভ দেখান। আজ আবার পূর্ব মেদিনীপুরে বিক্ষোভে সামিল হলেন শ্রমিকরা(Labour)।

সূত্রের খবর, আর কিছুদিন পরই দুর্গাপুজো। তাই উৎসবের আগে পুজোর বোনাস, পাওনা বেতনের দাবিতে সকাল থেকেই হলদিয়ার একটি ভোজ্যতেল উৎপাদনকারি সংস্থার শ্রমিকরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। এরপর কাজ বন্ধ করে দেয় তাঁরা। কারখানার গেটের সামনে বিক্ষোভে সামিল হন প্রত্যেকে।

তাঁদের দাবি, লকডাউনের কারণে আমরা ভীষণ সমস্যায় পড়েছিলাম। লকডাউনের সময় অন্যান্য কারখানায় শ্রমিকদের বেতন দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এই সংস্থা বেতন দেয়নি। এখন আবার পুজোর বোনাসও দিচ্ছে না।

শেখ মণিরুল জানান,” গতকাল আমরা চার-পাঁচজন শ্রমিক মিলে বোনাস নিয়ে আলোচনা করছিলাম। অন্যান্য বছর পুজোর বোনাস পেয়ে যাই প্রায় একবছর আগে। আর এই বছর প্রাপ্য টাকা তো পেলাম না। উল্টে বোনাসও পাচ্ছিনা। আমাদের দাবি যদি পূরণ না হয় তাহলে এর থেকেও বড় আন্দোলনে নামব। ”

উল্লেখ্য,গতকালও শ্রমিক বিক্ষোভের খবর সামনে এসেছে। পুজোয় মিলছে না পর্যাপ্ত টাকা। সেই কারণ দেখিয়ে বিক্ষোভে নামেন শ্রমিকদের একাংশ। গত সাত মাস ধরে বন্ধ রয়েছে রিষড়ার ওয়েলিংটন জুটমিল। সেই কারখানা খোলা নিয়ে একাধিকবার আলোচনা হয়েছে ইউনিয়নগুলির সঙ্গে। তবে ফলপ্রসূ না হওয়ায় মিল খোলেনি কর্তৃপক্ষ।

এবার সামনেই পুজো। বোনাস পেলে শ্রমিক পরিবারগুলির মুখে একটু হাসি ফোটে। সেই কারণে আজ রিষড়া তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে সাকির আলির নেতৃত্বে ওয়েলিংটন জুট মিলে বিক্ষোভ দেখানো হয়।পরে মিলের ম্যানেজার এর সঙ্গেও সাক্ষাৎ করে মিল খোলার দাবি জানান তাঁরা।

আরামবাগ সাংসদ অপরূপা পোদ্দারের স্বামী তৃণমূল নেতা সাকির আলি রিষড়া পুরসভার প্রশাসক মন্ডলীর সদস্য। সাকির বলেন, “আমাদের দুটো দাবি মিল খুলতে হবে আর পুজোর আগে বোনাস দিতে হবে।

এদিকে,রিষড়া ওয়েলিংটন জুট মিলের ম্যানেজার এস কে খেলোয়াড় জানান,মিল মালিক বোনাস দিতে চাইছেন। কিন্তু তার হাতে টাকা নেই। কিছু পুরোনো জিনিস মিলে পড়ে রয়েছে। সেগুলো বিক্রি করে পুরো বোনাস দেওয়া যেতে পারে। মিলের তিনটে স্বীকৃত ইউনিয়ন রয়েছে আলোচনা হয়েছে মিল খোলার ব্যাপারে। তবে উৎপাদনের বিষয়ে মালিকের বক্তব্য মানতে নারাজ শ্রমিক সংগঠন গুলো তাই মিল খোলা যাচ্ছে না। লোকসান করে মিল চালানো সম্ভব না।

ম্যানেজমেন্টকে জানানো সত্ত্বেও শ্রমিকদের কথা না ভাবায় এই সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়। অবিলম্বে কারখানা কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের দাবি পুরন করুক। না হলে কাজ বন্ধ করে এই ধরনের বিক্ষোভ চলতে থাকবে। এদিন প্রায় কয়েক শতাধিক শ্রমিক বিক্ষোভে সামিল হয়।

আরও পড়ুন: Subrata Mukherjee: বিধাননগর বিশেষ আদালতে আত্মসমর্পণ সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের