Bhupati Nagar Blast: ‘এরাই বোম ফিট করে মেরেছে’, ভূপতিনগরের বিস্ফোরণে ‘বিজেপি সমর্থকদের’ ঘিরে ফেলল গ্রামবাসীরা
Bhupati Nagar: তিনজন ব্যক্তি এদিন ঘটনাস্থলে এসেছিলেন। আর তারপরই তৃণমূল কর্মী ও সমর্থকদের সঙ্গে তাঁদের কার্যত সংঘর্ষের পরিস্থিতি তৈরি হয়। তৃণমূল কর্মী ও সমর্থকদের দাবি, তারা বিজেপির সমর্থক। ওই ব্যক্তিরাই গোটা ঘটনার পিছনে রয়েছে বলে অভিযোগ তৃণমূল কর্মী ও সমর্থকদের।
ভূপতিনগর: ফের নতুন করে উত্তেজনা ছড়াল ভূপতিনগরে (Bhupati Nagar Blast)। শুক্রবার গভীর রাতে বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছিল ভূপতিনগর। স্থানীয় এক তৃণমূল নেতার বাড়িতে বিস্ফোরণ হয়েছিল, তাতে মৃত্যু হয়েছিল ওই তৃণমূল নেতার। তারপর থেকেই রাজ্য রাজনীতির চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল ভূপতিনগর। তারপর সোমবার দুপুরে ফের নতুন করে উত্তেজনা ছড়াল গ্রামে। কী কারণ? এখনও পর্যন্ত যা জানা গিয়েছে, তিনজন ব্যক্তি এদিন ঘটনাস্থলে এসেছিলেন। আর তারপরই তৃণমূল কর্মী ও সমর্থকদের সঙ্গে তাঁদের কার্যত সংঘর্ষের পরিস্থিতি তৈরি হয়। তৃণমূল কর্মী ও সমর্থকদের দাবি, তারা বিজেপির সমর্থক। ওই ব্যক্তিরাই গোটা ঘটনার পিছনে রয়েছে বলে অভিযোগ তৃণমূল কর্মী ও সমর্থকদের।
গ্রামের মধ্যে ওই তিনজনকে রীতিমতো তাড়া করে ঘিরে ফেলেন তৃণমূল সমর্থকরা। তাদের মারধর করতে উদ্যত হয়। আর এরই মধ্যে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। গ্রামবাসীদের একাংশের অভিযোগ, ওই তিনজন অনেকদিন থেকেই এলাকায় ছিল না। এরপর আজ পুলিশ আসতে দেখে, তারা গ্রামে আসেন। এরপরই তাদের উপর চড়াও হয় গ্রামবাসীরা। পুলিশ কোনওক্রমে তাঁদের উদ্ধার করে এবং গ্রাম থেকে বের করে নিয়ে যায়।
বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসীদের বক্তব্য, “এরাই বোম ফিট করে মেরেছে। এরা অনেকদিন ধরে ঘরছাড়া। এলাকায় যে সন্ত্রাস করেছে, এমনিই ঘরছাড়া হয়ে গিয়েছে।” মৃতের পরিবারের লোকও বলছেন, “সন্দেহ আমাদের বরাবরই ছিল। আমরা ভয়ে মুখ খুলতে পারিনি। ওরাই মেরেছে আমাদের লোককে।” ঘটনার দিন এরা গ্রামে এসেছিল বলেও জানাচ্ছেন কেউ কেউ। যে তিনজন এইদিন গ্রামে এসেছিলেন, তাঁদের মধ্যে দুইজন জয়দেব দোলুই এবং নান্টু প্রধান বলে দাবি করেছেন গ্রামবাসীরা। এক বিক্ষুব্ধ ব্যক্তি আবার একজনের দিকে আঙুল তুলে বলতে দেখা যায়, ‘এই লোকটাই করেছে’।
ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ যখন ওই তিনজনকে উদ্ধার করে নিয়ে যাচ্ছিল, সেই সময় পুুলিশের গাড়ির সামনে বসে পড়েন বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা। পুলিশ যাতে ওই তিনজনকে নিজেদের হাতে তুলে দেয়, সেই দাবি তুলতে থাকেন তাঁরা। পরে কোনওরকমে পুলিশকর্মীরা বিক্ষুব্ধদের বুঝিয়ে তাদের গ্রাম থেকে বের করে নিয়ে যায়।
এই ঘটনা প্রসঙ্গ, বিজেপি বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ মাইতি বলেন, “আমি শুরু থেকে বহুবার বলছি তৃণমূল কোনও রাজনৈতিক দল নয়, এটি সন্ত্রাসবাদী দল। এর নীচ থেকে উপর পর্যন্ত সন্ত্রাসে মদত দেয় এরা। পঞ্চায়েত দখল করার জন্য এই কাজ করছে।”
সোমবার দুপুরে কোনও বিজেপি কর্মী বা সমর্থক সেখানে গিয়েছিলেন কি না, সেই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে বিধায়ক বলেন, “বম্ব স্কোয়াড গিয়েছিল। ওখানে নন্দ জানা-সহ দুই-তিনজন দেখতে গিয়েছিল। পুলিশের সামনেই তৃণমূলের সমাজবিরোধীরা তাঁদের মারধর করছে। আমাদের নান্টু প্রধান বলে একটা ছেলেকে মারধর করেছে। এত বড় ক্ষমতা সমাজবিরোধীদের, যে এত বড় ঘটনার পরেও পুলিশে সামনে এইসব কাজ করছে।”