Murder in Haldia : ঘরে ঢুকতেই বোঁটকা গন্ধ, উড়ছে পোকার দল, কম্বল চাপা ছেলের দেহ দেখে শিউরে উঠল মা

Murder in Haldia : হলদিয়ার সুতাহাটা হোড়খালী তাজপুর গ্রামে এক কিশোরের দেহ উদ্ধার ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য এলাকায়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

Murder in Haldia : ঘরে ঢুকতেই বোঁটকা গন্ধ, উড়ছে পোকার দল, কম্বল চাপা ছেলের দেহ দেখে শিউরে উঠল মা
কিশোর খুনে বাড়ছে রহস্য
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 02, 2023 | 8:15 PM

হলদিয়া : মা গিয়েছিল দিল্লিতে (Delhi)। বাড়িতে একাই ছিল ছেলে। বাড়ি ফিরতেই ছেলের অবস্থা দেখে চোখ কপালে উঠল মায়ের। ঘরে ঢুকতে গিয়ে বোঁটকা গন্ধে ঢুকতে পারলেন না মেশো। কোনওক্রমে শেষে ঘরে ঢুকতেই দেখা গেল কোথাও নেই ছেলে। ভোঁ ভোঁ করে উড়ছে পোকা। তীব্র গন্ধে ভরে গিয়েছে ঘর। খাটের নীচে চোখ যেতেই শিউরে উঠলেন তাঁরা। দেখা গেল খাটের নীচে কম্বল চাপা অবস্থা পড়ে রয়েছে বাড়ির ছেলের মৃতদেহ। দেখে বোঝা যাচ্ছে বেশ কিছুদিন আগেই মৃত্যু (Murder in Haldia) হয়েছে তাঁর। দেহে পচনও ধরে গিয়েছে। বাসা বেঁধেছে পোকার দল। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা ঘটেছে হলদিয়ার সুতাহাটা হোড়খালী তাজপুর গ্রামে। এ গ্রামেই এদিন নিজের ঘর থেকে শেখ মোমিন (১৭) নামে এক নাবালকের দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। তবে কী কারণে তাঁর মৃত্যু তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। 

মৃত কিশোরের পরিবারের লোকজনের দাবি, খুন করা হয়েছে তাঁদের ছেলেকে। খুন করেছে বন্ধুরাই। প্রতিবেশীদের দাবি, বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে প্রায়শই বাড়িতে মদের ঠেক বসত। চলত তাস খেলা। তাঁদের ধারণা সেখানেই কোনও বচসার কারণে হয়তো প্রাণ দিতে হয়েছে শেখ মোমিনকে। মৃত কিশোরের মা মমতাজ বিবি বলেন, “ঘরে তো প্রথমে ঢুকতেই পারিনি। তারপর খাটের নীচে দেখি ছেলের মৃতদেহ কম্বল ঢাকা রয়েছে। পোকা ধরে গিয়েছে। বেশ কিছুদিন আগে মৃত্যু হয়েছে মনে হয়। গলায় কাটা দাগ রয়েছে। পাশে তিনশো টাকা পড়েছিল তাতেও রক্ত লেগেছিল।”

এক প্রতিবেশী বলেন, “ওর বন্ধুরাই ওকে মেরেছে। আমরা ওদের শাস্তি চাই। পুলিশে খবর দিয়েছিলাম। পুলিশ এসে দেহ নিয়ে গিয়েছে। ওর বন্ধুরা সব দিল্লিতে কাজ করে। মোবাইল নিয়ে ঝামেলা হয়েছিল বলে শুনেছি। সেখান থেকে এ ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।” সূত্রের খবর, মাসখানেক আগে মোমিনের মোবাইল ফোন চুরি হয়ে গিয়েছিল। অভিযোগের তীর ছিল শেখ ইসমাইল ও সেখ ভলু নামে মোমিনের দুই বন্ধুর বিরুদ্ধে। সপ্তাহ খানেক আগে ইসমাইলের ভাই শারুখ মোমিনকে খুনের হুমকি দিয়েছিল বলে খবর। এরা প্রত্যেকেই দিল্লিতে কাজ করে বলে জানা যাচ্ছে। আদৌও খুনের পিছনে তাঁদের হাত রয়েছে কি না খতিয়ে দেখছে সুতাহাটা থানার পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে পরিবারের লোকজনদের। দেহ উদ্ধার করে পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য।