Tecnological Discussion : কোভিড পরিস্থিতিতে টেকনোলজি কলেজগুলিতে নতুন কোর্স চালুর পরিকল্পনা! আবেদন রাজ্য সরকারের কাছে
Digha: পাশাপাশি পরে যদি কখনও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় তাহলে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে সেই বিষয়ও খেয়াল রাখার আলোচনা করা হয়েছে।
দিঘা: করোনা (Corona) পরিস্থিতিতে রাজ্যের টেকনোলজি কলেজ গুলিকে নতুন পরিস্থিতির উপযোগী করে গড়ে তোলা এবং নতুন নতুন কোর্স চালু করার উপর গুরুত্ব দিচ্ছে মৌলানা আবুল কালাম আজাদ ইউনিভার্সিটি অফ টেকনলোজি বা মহাকুট।
প্রযুক্তি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সৈকত মৈত্র জানিয়েছেন, “আমাদের অধীনে থাকা সরকার অনুমোদিত ২০৬ টি কলেজই খুলে গিয়েছে। শুরু হয়ে গিয়েছে নতুন করে পঠনপাঠন। নতুন ভর্তির প্রক্রিয়াও চলছে। কিন্তু আমাদের মনে রাখতে হবে কোভিড পরিস্থিতি শেষ হয়ে যায়নি। কবে কখন হঠাৎ তা ফুলে ফেঁপে উঠবে বলা যায় না। তাই আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। সেই কারণে কলেজগুলিকে আমরা ব্লেন্ডিং পদ্ধতিতে পড়ানোর ব্যবস্থা আরও উন্নত ও বিস্তৃত করার জন্য বলেছি।” পাশাপাশি যেসকল পড়ুয়ারা শারীরিকভাবে অফলাইন ক্লাস করতে পারছেন তেমনই কেউ যদি কলেজে আসতে না চান তাঁর জন্যও অনলাইন পদ্ধতি চালু করতে হবে। অর্থাৎ ফিজিক্যাল ও ডিজিটাল একই সঙ্গে চালাতে হবে। যাতে হঠাৎ লকডাউনের মত পরিস্থিতি তৈরি হলে আমরা স্বাভাবিক পঠনপাঠন চালিয়ে যেতে পারি। কোনও অসুবিধা না হয় সেই ব্যবস্থাও নিশ্চিত করতে হবে। এভাবেই আমরা ব্লেডিং পদ্ধতিতে জোর দিচ্ছি।”
সোমবার হলদিয়া ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি এবং গ্লোবাল ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি আয়োজিত জাতীয় শিক্ষা নীতি ২০২০ শীর্ষক সেমিনার হয়। সেখানে নিজের বক্তব্য রাখতে গিয়ে ডঃ মিত্র বলেন, “অতিমারির কথা মাথায় রেখেই আমরা টেলিমেডিসিন টেকনোলজি ও ডিজিটাল হেল্থের উপর বিটেক চালু করেছি। যে সমস্ত কলেজগুলোর কাছাকাছি হাসপাতাল রয়েছে অর্থাৎ যারা হাসপাতালের সুযোগ নিতে পারবে তারা এই পাঠক্রম চালু করতে পারবে। আমরা দেখেছি কোভিডের বাড়াবাড়ি যখন চূড়ান্ত আকার ধারন করে তখন গোটা দেশ জুড়েই একটা চিকিৎসা সঙ্কট তৈরি হয়েছিল। টেলি মেডিসিন টেকনোলজি ডেভলপ করতে পারলে চিকিৎসা ব্যবস্থা দেশের রিমোট এলাকাতেও অত্যাধুনিক চিকিৎসার সুবিধা পৌঁছে দিতে পারে। ইতিমধ্যেই বীরভূম এবং বর্ধমানের মত এলাকার দু’টি কলেজে টেলিমেডিসিন ও ডিজিটাল হেল্থ বিটেক কোর্স চালু হয়ে গিয়েছে।”
কোভিড পিরিয়ডে অনলাইন মার্কেটিং বহুল পরিমানে বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই সময়ের দাবি ডিজিটাল মার্কেটিং এবং সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিংয়ের মত সাবজেক্ট। এই দুটি কোর্স আমরা চালু করতে চলেছি বলে উপাচার্য জানিয়েছেন। এরই পাশাপাশি স্মার্ট ফার্মিং নিয়েও ভাবা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ডক্টর মিত্র। তিনি বলেন, “আমাদের কৃষি ক্ষেত্রেও যাতে অটোমেশন আনা যায় সেদিকে নজর রেখেই কৃষি উপযোগী বিভিন্ন যন্ত্রপাতি উদ্ভাবন এই স্মার্ট ফার্মিং কোর্সের লক্ষ্যে। অতিমারীর পাশাপাশি আমাদের ইমারজেন্সি চাহিদার কথাও ভাবতে হচ্ছে এবং সেই দিকে নজরে রেখে ইলেকট্রিক যানবাহন ও রোবট ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মত কোর্স চালু করার প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে।”