Drug trafficking: রোগী সাজিয়ে দ্রুতগতিতে পালাচ্ছিল গাড়ি, পুলিশ দাঁড় করাতে ফাঁস গোপন কীর্তি
Purba Medinipur: তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পাঁশকুড়া: রমরমিয়ে চলছে নিষিদ্ধ মাদক কারবার। শুধু মাদক নয়, জেলা থেকে একাধিকবার উদ্ধার হয়েছে আগ্নেয়াস্ত্রও। সেই কারণে তৎপর পূর্ব মেদিনীপুর (Purba Medinipur) জেলা প্রশাসনও। অপরাধীদের রীতিমত কোমড় ভেঙে দিচ্ছেন তাঁরা। গতকাল শহর থেকে উদ্ধার হয়েছে ৩৮ কেজি গাঁজা (Ganja)। ঘটনায় এক মহিলাসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পাঁশকুড়া থানার পুলিশ। বাজেয়াপ্ত একটি গাড়িও।আজ ধৃতদের তোলা হবে তমলুক আদালতে ।
দীর্ঘদিন ধরে পাঁশকুড়ার (Panshkura) বুকে রমরমিয়ে চলছে গাঁজার (Ganja) কারবার। সেই নিয়ে বারবার অভিযোগ উঠেছে। এরপর ফের খবর পেয়ে অভিযানে নেমেছিল পাঁশকুড়া থানার পুলিশ । পরে একটি গাড়িসহ তিনজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতরা হলেন শেখ রফিকুল আলী (৩৪) বাপন মুন্সি (৩৫) এবং মঞ্জু পাল।
ধৃতদের কাছ থেকে পুলিশ জানতে পারে যে তারা ওড়িশা (Odia) হয়ে পাঁশকুড়া এবং পার্শ্ববর্তী হাওড়া শহরেও এই গাঁজা পাচার করাত। পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্তরা প্রথমে ধৃত মহিলাকে রোগী সাজিয়ে একটি প্রাইভেট গাড়িতে তুলত। সেই গাড়ির মধ্যেই থাকত নিষিদ্ধ মাদক। এইভাবেই পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে চলত এই গাঁজা কারবার। জানা গিয়েছে, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর হাওড়ার একাধিক এলাকায় গাঁজা রপ্তানি চলত।
জানা গিয়েছে, গাঁজা পাচারের কাজ নিয়মত করতেন তারা । ধৃতদের বিরুদ্ধে NDPS ( নারকোটিক ড্রাগ অ্যান্ড সাইকোট্রপিক সাবস্ট্যান্সেস অ্যাক্ট ) এ মামলা শুরু করেছে পুলিশ (Police) । আজ ধৃতদের তমলুক আদালতে (Tamluk Court) তোলা হবে।
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগে গাঁজা পাচারের এইরকমই খবর এসেছিল বিশাখাপত্তনাম থেকে।
অনলাইন মাধ্যমকে ব্যবহার করে মাদক পাচার! শুনতে অবাক লাগলেও বাস্তবটা খানিকটা এইরকমই। অন্ধ্র প্রদেশে পুলিশের স্পেশাল এনফোর্সমেন্ট ব্যুরো সম্প্রতি এই রকম এক চক্রের পর্দাফাঁস করেছে।
পুলিশের বিশেষ ওই শাখার হাতে গ্রেফতার হয়েছেন বাবা ছেলে জুটি। জানা গিয়েছে, জনপ্রিয় ই-কমার্স সংস্থা অ্যামাজনকে ব্যবহার করে তাঁরা গাঁজার ব্যবসা চালাচ্ছিল। শনিবার, বিশাখাপত্তনম থেকে তাদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সূত্রের খবর, ধৃতদের কাছ থেকে ৪৮ কেজি গাঁজা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। সম্প্রতি মধ্যপ্রদেশের ভিন্ড পুলিশ এক গাঁজা পাচার চক্রের সন্ধান পায়। সেই পাচার চক্র, বিশাখাপত্তনম থেকে অনলাইন মাধ্যমে গাঁজা আনিয়ে পাচার করত। ই-কমার্স সংস্থা অ্যামাজন স্পষ্টতই জানিয়ে দিয়েছিল, অনলাইনে কোনও নিষিদ্ধ দ্রব্য বিক্রি করার কোনও অনুমতি, সংস্থার তরফে দেওয়া হয়নি। এই তদন্তে অ্যামাজন কর্তৃপক্ষের সব ধরনের সহায়তা পেয়েছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: Siliguri Munucipal Election: ‘আমরা কখনও জিতিনি…জয় পেতে দলের শৃঙ্খলা মানতে হবে’