Kunal Ghosh: ছেলেদের বলেছি, একটা মারলে আর একটা গাল বাড়িয়ে দিন: কুণাল
Kunal Ghosh: “শুভেন্দু অধিকারী তো খুব সাবধানে ফোন ব্যবহার করে। ওর নম্বর তো বাইরের লোক জানে না। তৃণমূল বা বাইরের কে পাঠাবে?” কুরুচিকর মেসেজ নিয়ে শুভেন্দুকে তোপ কুণালের।
নন্দীগ্রাম: প্রায় ১১০০ কুরুচিকর, অশ্লীল মন্তব্য ও ব্যঙ্গচিত্র পাঠানো হয়েছে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari)। এ কথা আগেই শোনা গিয়েছিল। ইতিমধ্যেই সাইবার ক্রাইম (Cyber Crime) শাখায় ই-মেল মারফত অভিযোগ জানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারীর আইনজীবী। যা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। “দিলীপ বিজেপি, সুকান্ত বিজেপি, আদি বিজেপি, ততকাল বিজেপি যারা শুভেন্দুকে দেখতে পারে না তারাই ওর ফোন নম্বরে খারাপ কথা লিখে পাঠাচ্ছে”, বিতর্কের আবহে নন্দীগ্রামে এ কথা বললেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। একইসঙ্গে অখিল গিরির রাষ্ট্রপতিকে করা ‘কুরুচিকর’ মন্তব্য নিয়ে এদিন ফের মুখ খুলতে দেখা গেল কুণালকে। সেই সঙ্গে ‘সতর্ক’ করলেন দলীয় কর্মীদের।
প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রপতি বিতর্কের আবহেই মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদার বিরুদ্ধে কুরুচিকর মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে। এফআইআরও দায়ের করেছেন রাজ্যের মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা। এদিন ফের বীরবাহা ইস্যু টেনে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে তোপ দাগেন কুণাল। এদিন নন্দীগ্রামের দাউদপুরের সভা থেকে কুণাল বলেন, “অখিলদা অন্যায় করছে। মমতাদি ক্ষমতা চেয়েছেন। কিন্তু বিরবাহা সম্পর্কে অশোভন কথা বলেছেন শুভেন্দু। প্ররোচনা থাকবে। কেউ পা দেবেন না। কোনও অশান্তি হতে দেবেন না। যদি কোথাও কোনও অপ্রতিকর ঘটনা ঘটাবার চেষ্টা করে, কোনও হামলা, কোনও অন্যায় বিজেপি করে আমি কথা দিচ্ছি ৬ ঘন্টার মধ্যে কলকাতা থেকে এসে দাউদপুরের মাটিতে দঁড়িয়ে থাকব।” প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত ভোটের আগে পূর্ব মেদিনীপুরে বড় দায়িত্ব এসে পড়েছে কুণালের কাঁধে। তারপর থেকেই দফায় দফায় নন্দীগ্রামে গিয়ে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে তোপ দাগতে দেখা গিয়েছে ঘাসফুল শিবিরের এই বর্ষীয়ান নেতাকে। পাল্টা তোপ এসেছে পদ্ম শিবিরের তরফে।
প্ররোচনায় পা নয়, সাফ বার্তা কুণালের
এদিন দলীয় কর্মীদের সতর্ক করে কুণাল বলেন, “আমাদের ছেলেদের বলছি কোনও প্ররোচনায় পা দেবেন না। কোনও মারামারি নয়। একটা মারলে আর একটা গাল বাড়িয়ে দিন। আমাদের জানান। গণতান্ত্রিকভাবে লড়াই হবে। আর পুলিশ জেনে রাখুক, আমাদের ছেলেদের মিথ্যে মামলা দিয়ে সিবিআইআই এনএআই দিয়ে জেল খাটানো হচ্ছে। আমাদের ছেলেদের মিথ্যে মামলায় জেল খাটানো হবে। তাদের বাড়ির মায়েরা ঘুমোতে পারবে না। আর হামলা করার পর বিজেপি লোকেরা বাড়িতে ঘুমোবে এ জিনিস আর নন্দীগ্রামে মাটিতে হবে না।” একইসঙ্গে শুভেন্দুকে কুরুচিকর মেসেজ পাঠানো নিয়ে তীব্র ভাষায় কটাক্ষ করতে দেখা গিয়েছে কুণালকে।
দিলীপ-সুকান্তকে একহাত
উল্টে দিলীপ-সুকান্তকে একহাত নিয়ে বলেন, “সাইবার ক্রাইমে অভিযোগ করেছে। কারও ফোনে খারাপ কথা পাঠানো উচিত নয়। কখনওই নয়। প্রশ্নই ওঠে না। কেন পাঠাবে? যেই পাঠক কেন পাঠাবে? কিন্তু শুভেন্দু অধিকারী তো খুব সাবধানে ফোন ব্যবহার করে। ওর নম্বর তো বাইরের লোক জানে না। তৃণমূল বা বাইরের কে পাঠাবে? যদি খারাপ কেউই পাঠিয়ে থাকে ওর দলের মধ্যে দিলীপ বিজেপি, সুকান্ত বিজেপি, আদি বিজেপি, ততকাল বিজেপি যারা শুভেন্দুকে দেখতে পারে না তারাই ওর ফোন নম্বরে খারাপ কথা লিখে পাঠাচ্ছে।”