Mid Day Meal: সাপ, ব্যাঙ, টিকটিকির পর এবার মিড ডে মিলে শুঁয়োপোকা
Mid Day Meal: এই আইসিডিএস কেন্দ্রে ২২১ জন শিশুকে খিচুড়ি দেওয়া হয় প্রতিদিন। সেই মত বৃহস্পতিবারও তাদের খিচুড়ি এবং ডিম দেওয়া হয়েছিল।
পূর্ব মেদিনীপুর: হরেকরকমের পোকামাকড় তো থাকেই, এমনকী সাপ, টিকটিকি, ব্যাঙও মিড ডে মিলের সঙ্গে রান্না (Midday Meal) হয়ে যাওয়ার অভিযোগ ওঠে। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হল শুঁয়োপোকা। পাঁশকুড়ার একটি মিড ডে মিল সেন্টারের এই ঘটনায় এলাকায় শোরগোল পড়ে যায়। এর আগে পাঁশকুড়ার মাইশরা শ্যামপুর আইসিডিএস কেন্দ্রে টিকটিকি উদ্ধার হয়। এবার খাবারে পাওয়া গেল শুঁয়োপোকা। পাঁশকুড়া পুরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের নারান্দা আইসিডিএস স্কুলের খিচুড়িতে শুয়োপোকা পড়ার অভিযোগ ওঠে। এরপরই তড়িঘড়ি শিশুদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় পুরস্বাস্থ্য কেন্দ্রে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হলো শিশুদের। এর আগেও ওই আইসিডিএস কেন্দ্রে শুঁয়োপোকা পড়েছিল বলে অভিযোগ করেন শিশুর অভিভাবকরা। তাঁদের অভিযোগ, স্কুল কর্তৃপক্ষের গাফিলতির ফলেই এমন ঘটনা বারবার ঘটছে।
প্রসঙ্গত, এই আইসিডিএস কেন্দ্রে ২২১ জন শিশুকে খিচুড়ি দেওয়া হয় প্রতিদিন। সেই মত বৃহস্পতিবারও তাদের খিচুড়ি এবং ডিম দেওয়া হয়েছিল। অভিযোগ, হঠাৎই একজন দেখতে পায় তার খিচুড়ির মধ্যে শুয়োপোকা পড়ে আছে। এরপরই হইহই শুরু হয়ে যায়। কিছুদিন আগে পাঁশকুড়ার মাইশোরা এলাকার শ্যামপুরের একটি আইসিডিএস কেন্দ্রে টিকটিকি পড়েছিল খাবারে, যা নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল গোটা এলাকায়। তার রেশ কাটতে না কাটতে ফের এই ঘটনা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান পাঁশকুড়া পুরসভার চেয়ারম্যান নন্দকুমার মিশ্র। তিনি শিশুদের মা, বাবার সঙ্গে কথা বলেন।
আইসিডিএস কর্মী সুজাতা সাউ পট্টনায়েক বলেন, “আমাদের ২২১ জন খাবার নেয়। আজ ১৯৭ জন খাবার নেয়। ২টো হাঁড়িতে রান্না হয় আমাদের। কোন হাঁড়িতে পড়ে গিয়েছে তাও বলতে পারব না। বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার পর একজন টিফিনবক্স এনে আমাকে দেখাচ্ছে। তবে কারও অসুবিধা হয়নি। আমি সঙ্গে সঙ্গে ডাক্তারবাবুকে খবর দিয়েছি। উনি এসে পরীক্ষানিরীক্ষা করেছেন। ওষুধ, ওআরএস সকলকেই দিয়েছেন। বলেছেন, ভয়ের কিছু নেই।” একইসঙ্গে তিনি দাবি করেন, যেখানে তাঁরা রান্না করেন সেই জায়গা যথেষ্ট পরিষ্কার। থানা থেকে যারা এসেছিলেন, তাঁরাও তা ঘুরে দেখেছেন।