Co-operative Election: বাম-বিজেপি ‘জোটে’ ধরাশায়ী তৃণমূল, মহিষাদলের সমবায়ে লাল আবিরে মিশল গেরুয়া

Purba Medinipur: মহিষাদল ব্লকের বেতকুণ্ডু অঞ্চলের জগৎপুর কৃষি উন্নয়ন সমবায় সমিতির পরিচালন কমিটির নির্বাচনে এই প্রথমবার লড়াইয়ে নেমে ৬২ আসনের মধ্যে ১১ আসনে জয়ী হন তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থী। তৃণমূল বিরোধী জোটের পক্ষে যায় বাকি ৫১

Co-operative Election: বাম-বিজেপি 'জোটে' ধরাশায়ী তৃণমূল, মহিষাদলের সমবায়ে লাল আবিরে মিশল গেরুয়া
ফের নন্দকুমার মডেলের জয়।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 04, 2022 | 11:11 PM

পূর্ব মেদিনীপুর: ‘নন্দকুমার মডেল’-এ (Nandakumar Model) আরও একবার ধরাশায়ী তৃণমূল। রবিবার মহিষাদলের জগৎপুরে শীতল সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতিতে উড়ল লাল-গেরুয়া আবির। জোটের মুখ রাম ও বাম, ঝুলিতে ৫১টি আসন। হতে পারে সমবায় নির্বাচন। তবে আলোচনায় অন্য কোনও ভোটের থেকে কোনও অংশে কম নয়। গত কয়েকদিনে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার একাধিক সমবায়ের ভোটের ফলাফল শিরোনামে এসেছে। সৌজন্যে ‘নন্দকুমার মডেল’। গত নভেম্বরে নন্দকুমার-বহরমপুর সমবায় সমিতির নির্বাচনে বাম-বিজেপির জোটের ছবি সামনে আসে। ‘সমবায় বাঁচাও মঞ্চ’ গড়ে ভোটে অংশ নেয় তারা। বিপুল জয়ও পায়। এরপর পূর্ব মেদিনীপুরে একাধিক সমবায়ে দেখা যায় নন্দকুমার মডেল।

মহিষাদল ব্লকের বেতকুণ্ডু অঞ্চলের জগৎপুর কৃষি উন্নয়ন সমবায় সমিতির পরিচালন কমিটির নির্বাচনে এই প্রথমবার লড়াইয়ে নেমে ৬২ আসনের মধ্যে ১১ আসনে জয়ী হন তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থী। তৃণমূল বিরোধী জোটের পক্ষে যায় বাকি ৫১ আসন। জানা গিয়েছে, এই সমবায়ে ‘মিলিজুলি বোর্ড’-এর ট্র্যাডিশন আছে। তৃণমূল বাদে এই সমবায়ে বরাবরই সমস্ত রাজনৈতিক দল মিলেমিশে বোর্ড গঠন করে।

জয়ী জোট প্রার্থী প্রশান্ত চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আমরা এবার তৃণমূলকে সঙ্গে নিয়ে বোর্ড গঠন করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তৃণমূলের আপত্তি থাকায় তা সম্ভব হয়নি। তাই একপ্রকার বাধ্য হয়েই আমাদের অরাজনৈতিক জোট গড়তে হল।” এ প্রসঙ্গে মহিষাদলের তৃণমূল বিধায়ক তিলক চক্রবর্তী বলেন, “এই সমবায়ে এতদিন পরিবারতন্ত্র কায়েম করে রেখেছিল সিপিএম। এখন তাদের অনেকেই বিজেপি হয়েছে। এই বহুরূপী বাম-বিজেপির বিরুদ্ধে ছিল আমাদের লড়াই। আর প্রথমবার লড়াইয়ে নেমে ১১ আসন পেয়েছি আমরা। এটাই অনেক বড় পাওয়া।”

বিজেপির মহিষাদল মণ্ডল-৩ সভাপতি বৃহস্পতি মাজি বলেন, “আমাদের এই জগৎপুর সমবায় সমিতি দীর্ঘদিনের। এই সমিতিকে বাঁচাতে মানুষের জোট হয়েছে। সে বাম, কে ডান জানি না। কিন্তু শাসকদল এখানে একটা লড়াই করেছে, মানুষের কাছ থেকে যোগ্য জবাবও পেয়ে গিয়েছে।” এরআগে নন্দকুমার-বহরমপুর সমবায় সমিতিতেও জেতে তারা। যদিও এদিনই তমলুকের খাড়ুইয়ে কাজ করেনি ‘রাম-বাম’-এর ম্যাজিক। সেখানে ডাহা ফেল নন্দকুমার মডেল।