Purba Medinipur: দুয়ারে কুণাল, ‘মান ভাঙল’ শেখ সুফিয়ানের; নন্দীগ্রামের বিজয়া সম্মিলনীতে মিলল সকলে

Purba Medinipur: সুফিয়ান বলেন, তাঁরা সকলে এক। বিভেদের কোনও জায়গাই নেই দলে।

Purba Medinipur: দুয়ারে কুণাল, 'মান ভাঙল' শেখ সুফিয়ানের; নন্দীগ্রামের বিজয়া সম্মিলনীতে মিলল সকলে
কুণাল ঘোষ ও শেখ সুফিয়ান।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 17, 2022 | 1:25 AM

পূর্ব মেদিনীপুর: তৃণমূলের নতুন ব্লক কমিটি ঘোষণার পর নন্দীগ্রামে (Nandigram) মান অভিমানের পালা চলছিল শাসকদলের অন্দরে। সেই আঁচ পড়তে চলেছিল রবিবার বিজয়া সম্মিলনীর মঞ্চেও। যদিও শেষবেলায় মাত দিলেন রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। খবর পেয়েছিলেন, এদিনের অনুষ্ঠানে থাকতে চান না শেখ সুফিয়ান। এরপরই সুফিয়ানকে ঘুরিয়ে ফোন এবং সোজা গিয়ে হাজির হলেন তাঁর বাড়ির দরজায়। সুফিয়ানকে তুলে নিয়ে সোজা বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানস্থলে।

নন্দীগ্রাম-১ ব্লক তৃণমূলের বিজয়া সম্মিলনীর সভা ছিল এদিন। নন্দীগ্রাম বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সেই সভায় জেলা সভাপতি সৌমেন মহাপাত্র, চেয়ারম্যান পীযূষ ভূঁইয়া, ব্লক সভাপতি বাপ্পাদিত্য গর্গ থেকে শুরু করে অন্যান্য নেতানেত্রীরা হাজির হলেও গরহাজির ছিলেন শেখ সুফিয়ান। যা নজরে আসে কুণালের। তারপরই গাড়ি নিয়ে সটান সুফিয়ানের বাড়ি গিয়ে হাজির হন কুণাল। নিজের গাড়িতে করেই সুফিয়ানকে নিয়ে পৌঁছন অনুষ্ঠানমঞ্চে।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কুণাল ঘোষ বলেন, “এটা দলীয় কর্মসূচি। এখানে প্রবীণ-নবীন সকলেই আছেন তৃণমূল কংগ্রেস পরিবারে।” অন্যদিকে শেখ সুফিয়ানকে বলতে শোনা যায়, “বাড়ি থেকে নিয়ে আসার কোনও প্রশ্নই নেই। আমি ২০০৭ সালের আন্দোলনের নেতা। ২০০১ সালে তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত হয়ে দলকে নন্দীগ্রামের মাটিতে শক্ত ভিতের উপর দাঁড় করিয়েছি। আর এই ভূমিতে পা রেখে একজন গদ্দার নেতা হয়েছে। সে আজকে তৃণমূলকে ভুলে গেছে। আর আমরা নিজেদের মধ্যে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাব, তা কখনও হয় না। আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল করি। এখানে আমরা সবাই এক। কোনও বিভাজন নেই।”