TMC: নন্দীগ্রামে জোর ধাক্কা জোড়াফুলের, দলকে হারাতে নির্দলে দাঁড়াচ্ছেন ঝাঁকে ঝাঁকে তৃণমূলীরাই
Nandigram: বিক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতা ও দাউদপুর গ্রামপঞ্চায়েত সদস্য আব্বাস বেগ এবার নির্দল হিসাবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। তিনি স্পষ্ট জানান, দলের প্রার্থীদের হারাতে সর্বশক্তি প্রয়োগ করবেন তাঁরা।
পূর্ব মেদিনীপুর: দল প্রার্থী না করলে নির্দলের হয়ে ভোটে লড়ার হুঁশিয়ারি তৃণমূল কর্মীদের। নন্দীগ্রামের ১৭টি অঞ্চলে তৃণমূলের বিক্ষুব্ধরা মনোনয়ন পেশ করলেন। নন্দীগ্রাম-১ ব্লকে মঞ্চ তৈরি করে নির্দল হিসাবে মনোনয়ন জমা দিলেন তাঁরা। তাঁদের অভিযোগ, দলের অন্দরে স্বেচ্ছাচারিতা চলছে। একইসঙ্গে তাঁদের বক্তব্য, দীর্ঘদিন ধরে যাঁরা দল করে এসেছেন, তাঁদের প্রার্থী করা হয়নি এবার। বিক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতা ও দাউদপুর গ্রামপঞ্চায়েত সদস্য আব্বাস বেগ এবার নির্দল হিসাবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। তিনি বলেন, “আমরা ১০টি অঞ্চলে তৃণমূল বাঁচাও মঞ্চের ব্যানারে নির্দল হিসাবে মনোনয়ন জমা দিয়েছি। তৃণমূল প্রার্থীরা যাতে না জিততে পারে সেই চেষ্টাই করব আমরা।”
আব্বাসের অভিযোগ, এবারের নির্বাচনে বুথের নেতাদের সঙ্গে কথা না বলে দুর্নীতিগ্রস্তদের প্রার্থী করা হয়েছে। তিনি বলেন, “১০ বছর ধরে দল করছি। তৃণমূলকে ভালোবাসি বলে আমরা সুপিয়ানপন্থীরা ১০টি অঞ্চলে তৃণমূল বাঁচাও মঞ্চ করে প্রার্থী দিয়েছি। বাপ্পাদিত্য গর্গ সভাপতি হওয়ার পর সুপিয়ানপন্থী আমাদের কোণঠাসা করা হয়েছে। আমরাও দেখব একজনও তৃণমূল প্রার্থী যেন না জেতে। তাই ১০টা অঞ্চলেই নির্দলে প্রার্থী দিচ্ছি।” যদিও আব্বাস সুপিয়ানের নাম নিলেও, এ নিয়ে মুখে কুলুপ শেখ সুপিয়ানের। এ নিয়ে একটি কথাও বলতে চাননি তিনি।
তবে নন্দীগ্রাম-১ ব্লক তৃণমূল সভাপতি বাপ্পাদিত্য গর্গ বলেন, “গণতন্ত্রের উৎসবে যে কেউ প্রার্থী হতে পারেন। তবে মনে রাখতে হবে, যাঁরা দলের নির্দেশ মানছেন না তাঁদের জন্য তৃণমূলের দরজা বন্ধ।” যদিও এ বিষয়ে তীব্র কটাক্ষ করেছেন বিজেপির জেলা কমিটির সদস্য অভিজিৎ মাইতি। তাঁর কথায়, “তৃণমূল একটি ছন্নছাড়া দল। ওদের দলে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ওদেরই দলের লোক নেমেছে। ওদের ভিতরকার ঝামেলা নিয়ে কিছুই বলতে চাই না।” নন্দীগ্রাম-১ এরিয়া কমিটির সম্পাদক মহাদেব ভুঁইয়া বলেন, “শাসকদলের গোষ্ঠী কোন্দল যে প্রকট হচ্ছে, যা দেখা যাচ্ছে। ওদের কোন্দলে আমাদের কোনও লাভ নেই। আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়েছি তৃণমূলকে হারাব বলে।”