ফের খালে মৃত্যু ডলফিনের! খবর পেয়েও এলেন না বনকর্মীরা
স্থানীয়দের কথায়, ডলফিনটি গুরুতর আহত অবস্থায় ছিল। গ্রামের কয়েকজন বাসিন্দা ডলফিনকে হাঙর ভেবে খালের পাশে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখেন।
পূর্ব মেদিনীপুর: আগের বার জলে ফেরানোর চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু সে চেষ্টা জলেই গিয়েছিল! আর এবার সেই চেষ্টাটুকুও দেখা গেল না বনদফতরের মধ্যে। অভিযোগ স্থানীয়দের। আর তাতেই খালের জলে ভেসে চলে আসা একটি আহত ডলফিনের (Dolphin) মৃত্যু হল ‘অবহেলায়’। পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুরের উত্তর চৌমুখ গ্রামের বামনবাড় এলাকার এই ঘটনায় আরও একবার বনদফতরের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
সূত্রের খবর, বামনবাড় এলাকায় খালের জলে চলে আসে একটি ডলফিন। স্থানীয়দের কথায়, ডলফিনটি গুরুতর আহত অবস্থায় ছিল। গ্রামের কয়েকজন বাসিন্দা ডলফিনকে হাঙর ভেবে খালের পাশে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখেন। তাঁরা বনদফতরের সঙ্গেও যোগাযোগ করেন। অভিযোগ, বিষয়টি জানার পরও বনকর্মীরা সেখানে ডলফিনটিকে দেখতে যাননি।
শুক্রবার সকালে মৃত্যু হয় ডলফিনটির। আর এই ঘটনা আরও একবার মনে করিয়ে দিল ২০১৯ সালের ঘটনা। সেবার বঙ্গোপসাগরের উপকূলবর্তী রসুলপুর নদী থেকে ওড়িশা কোস্ট ক্যানাল এবং কালীনগর-ইটাবেড়িয়া খাল হয়ে একটি ডলফিন ঢুকে পড়েছিল দাঁড়িয়াদিঘি-উদবাদাল খালে। ডলফিন দেখতে সেবারও ভিড় করেছিলেন স্থানীয়রা।
স্পিটবোটে বনকর্মীরা ডলফিনটিকে খোঁজার চেষ্টা করেন। কিন্তু পাননি। পরেরদিন উদ্ধার হয় তার দেহ। সেই দেহ ডাঙায় তুলে শুরু হয় তার সঙ্গে ছবি তোলার হিড়িক। সেই সময় প্রশ্ন উঠেছিল, ডলফিনকে সুস্থ অবস্থায় সমুদ্রে ফিরিয়ে দেওয়ার পদ্ধতি সম্পর্কে কি আদৌ কিছু জানতেন কর্মীরা? পরিকাঠামোও কি আছে?
এবার তো বনদফতরের কোনও কর্মীকেই সেই এলাকায় দেখা গেল না। স্থানীয়রা বনদফতরের ভূমিকা নিয়েই প্রশ্ন তুলছেন।