Mamata Banerjee: যেন একটুকরো হায়দরাবাদ এবার পুরুলিয়ায়! ‘তৈরি হবে ফিল্ম সিটি’, ৭২ হাজার কোটির বিনিয়োগ, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

Purulia: প্রশাসনিক সফরে বাঁকুড়া, পুরুলিয়ায় গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে প্রশাসনিক সভায় বরাবরই তাঁকে বিরোধী নেত্রীর ভূমিকায় দেখা গিয়েছে।

Mamata Banerjee: যেন একটুকরো হায়দরাবাদ এবার পুরুলিয়ায়! 'তৈরি হবে ফিল্ম সিটি', ৭২ হাজার কোটির বিনিয়োগ, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর
পুরুলিয়ায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 31, 2022 | 5:48 PM

পুরুলিয়া: প্রশাসনিক সফরে বাঁকুড়া, পুরুলিয়ায় গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে প্রশাসনিক সভায় বরাবরই তাঁকে বিরোধী নেত্রীর ভূমিকায় দেখা গিয়েছে। ২০১১ বিধানসভা ভোটের পর বুধবার প্রথমবার পুরুলিয়ায় সভা করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখান থেকে জেলার জন্য একগুচ্ছ প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেন তিনি। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল পুরুলিয়ার ফিল্ম সিটি। মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা অনুযায়ী, শুধু রঘুনাথ পুরেই হবে ৭২ হাজার টাকার বিনিয়োগ।

এ দিন প্রশাসনিক সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘অযোধ্যা পাহাড় থেকে বাঘমুন্ডি, বান্দোয়ান, প্রতিটি জায়গায় উন্নয়ন হয়েছে। রঘুনাথপুরে ৭২ হাজার কোটি টাকার শিল্প হবে। লক্ষাধিক ছেলেমেয়ে চাকরি পাবে।’ এরপর তিনি ফিল্ম সিটির ঘোষণা করেন। জানান যে, ‘হায়দরাবাদের ফিল্ম সিটির আদলে তৈরি হবে পুরুলিয়ায় একটি ফিল্ম সিটি।’ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দশ একর জমি দেব। আমাদের জমি। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের যে জমি আছে তা থেকেই দেব। দেখে নাও যেখানে একটু পাহাড় জঙ্গল আছে…। ফিল্ম শ্যুটিং-এর বিভিন্ন জায়গা থেকে আসবে। পুরুলিয়ার ইন্ডাস্ট্রি চেম্বার এই কাজ করবে।’

পুরুলিয়া জেলা তৃণমূল সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়া বলেন, ‘পুরুলিয়ার পর্যটন আয়ের একটা গুরুত্বপূর্ণ দিক। মুখ্যমন্ত্রী প্রথম থেকেই পুরুলিয়ার পর্যটন নিয়ে যথেষ্ঠ আগ্রহী। তার সময়ে অযোধ্যা পাহাড় সহ জেলায় যে পর্যটনস্থল রয়েছে সেখানে যোগাযোগ থেকে শুরু করে সমস্ত কিছু দারুণ ভাবে হয়েছে। তাই জেলার জন্য নতুন পালক যে এখানে ফিল্ম সিটি হবে। এটা হলে ভালোই হবে। কারণ প্রচুর কোম্পানি এখন জেলায় শুটিং-এর জন্য আসছে। তাদের পক্ষে আরও সহজ হবে। শ্যুটিং করতে তারা এখানে আসবে। যার ফলে কর্মসংস্থান তৈরি হবে। এলাকার উন্নয়নে সহায়ক হবে।’

বস্তুত, আজ কড়া মেজাজে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রীকে। বিশ্লেষকদের কথায়, প্রশাসনিক কর্মী, তাঁদের কাজের খুঁটিনাটি বিচার-সমালোচনার মাধ্যমে আক্ষরিক অর্থে তিনি প্রশাসনিক প্রধানের পাশাপাশি বিরোধী দলের ভূমিকাও পালন করে থাকেন। অন্ততপক্ষে জনমানসের কাছে তাঁর সেই ভাবমূর্তি প্রতীয়মান। বাংলার উচ্চ পদস্থ কর্তা, বিশেষত মহিলা প্রশাসনিক আধিকারিকদের ক্ষমতা ও মর্যাদা যাতে ক্ষুণ্ণ না হয়, তা এদিনের প্রশাসনিক বৈঠক থেকে কার্যত সাফ জানালেন তিনি। “জেলাশাসকদের বিরুদ্ধে কোনও কূটকাচালি শুনব না, সব ভেঙে দেব।” পুরুলিয়ার প্রশাসনিক বৈঠক থেকে জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষকে দাঁড় করিয়ে সরাসরি বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।