পুরুলিয়ার পঞ্চায়েতেও ঘর ভাঙছে পদ্মের, বাঘমুণ্ডিতে ‘হিসেব নিকেশ’ ঘাসফুলের
Post Poll Joining:বাঘমুন্ডি পঞ্চায়েত সমিতির মোট আসন সংখ্যা ২১। আগে, তৃণমূলের সদস্য সংখ্যা ছিল ৮ জন । বর্তমানে বিজেপি ও কংগ্রেসের যৌথভাবে দখলে রয়েছে বাঘমুন্ডি পঞ্চায়েত সমিতিটি। এদিন, বিজেপি ও কংগ্রেসের (Congress) চার সদস্যের যোগদানের পর তৃণমূলের আসন সংখ্যা হল ১২ ।
পুরুলিয়া: সদ্য সমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই দলবদলের হিড়িক। পাল্লা ভারি হয়েছে ঘাসফুলের। রাঢ়বঙ্গে যখন গেরুয়া ধুলো উড়িয়েছে পদ্ম শিবির, তখন, সেই ঘরেই নজর দিয়েছে ঘাসফুল। সম্প্রতি, পুরুলিয়ার কংগ্রেস ও বিজেপিতে ভাঙন ধরেছে। একযোগে তৃণমূলে (TMC) যোগদান করেছেন পুরুলিয়া জেলা পরিষদের চার সদস্য বিজেপি-র অজিত বাউরী, মানিক চাঁদ কুমার, কংগ্রেসের রাজীব সাহু, তনুশ্রী বাউরি ছাড়া এ বারের নির্বাচনে পুরুলিয়ার কংগ্রেসের প্রার্থী তথা প্রদেশ কংগ্রেসের সম্পাদক পার্থপ্রতিম বন্দ্যোপাধ্যায়। এ বার, পঞ্চায়েত স্তরেও রোখা গেল না কংগ্রেস-বিজেপির ভাঙন। বৃহস্পতিবার, বাঘমুণ্ডি পঞ্চায়েত সমিতি এবং গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে বহু সদস্য একযোগে যোগ দিলেন শাসক শিবিরে। এদিন, পুরুলিয়ায় জেলা তৃণমূলের দফতরে তাদের স্বাগত জানালেন দলীয় নেতৃত্ব।
বৃহস্পতিবার, বাঘমুন্ডি গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপির (BJP) ৩ জন, কংগ্রেসের ২ জন সদস্য সদস্য তৃণমূলে যোগদান করেন। ১৫টি আসন বিশিষ্ট বাঘমুন্ডি গ্রাম পঞ্চায়েতে বর্তমানে তৃণমূলের সদস্য সংখ্যা দাঁড়ালো ৮ জন। সদ্য শাসক শিবিরে যোগদানকারী প্রাক্তন এক কংগ্রেস কর্মী বলেন, “দল কোনও কাজ করত না। ওইভাবে কাজ করা যায় না। সেইজন্য দল ছেড়ে এখানে আসি। তৃণমূলে থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের হাত শক্ত করতে চাই।”
এদিন যোগদানপর্বের অনুষ্ঠানের পর তৃণমূল (TMC) বিধায়ক সুশান্ত মাহাতো বলেন, “বিজেপি ও কংগ্রেসের দখলে থাকা পুরুলিয়ার বাঘমুন্ডি পঞ্চায়েত সমিতি এবার আমাদের দখলে আসতে চলেছে। এই প্রথমবারের জন্য বাঘমুন্ডি গ্রাম পঞ্চায়েত দখল করছে তৃণমূল কংগ্রেস। পাশাপাশি, এই যোগদান পর্বে ঝালদা ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূলের শক্তি বৃদ্ধি হল।”
উল্লেখ্য, বাঘমুন্ডি পঞ্চায়েত সমিতির মোট আসন সংখ্যা ২১। আগে, তৃণমূলের সদস্য সংখ্যা ছিল ৮ জন । বর্তমানে বিজেপি ও কংগ্রেসের যৌথভাবে দখলে রয়েছে বাঘমুন্ডি পঞ্চায়েত সমিতিটি। এদিন, বিজেপি ও কংগ্রেসের (Congress) চার সদস্যের যোগদানের পর তৃণমূলের আসন সংখ্যা হল ১২ । তৃণমূলের আসন সংখ্যা বেশি হওয়ায় আগামী দিনে বাঘমুন্ডি পঞ্চায়েত সমিতিটি দখল করতে চলেছে ঘাসফুল শিবির। তৃণমূলের দলীয় সূত্রে খবর, সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে খুব শীঘ্রই অনাস্থা প্রস্তাব আনতে চলেছে আনা হবে দলের তরফে। তবে, এ নিয়ে স্পষ্টই মুখ খোলেনি তৃণমূল নেতৃত্ব।
কংগ্রেস ও বিজেপি ছেড়ে এই তৃণমূলে (TMC) এইভাবে যোগদানকে কার্যত দলের ভাঙন হিসেবে দেখতে নারাজ দুই বিরোধী শিবির। কংগ্রেস নেতা নেপাল মাহাত জানিয়েছেন, দল দলের জায়গায় থাকবে। এই যোগদানে কংগ্রেসের কোনও ক্ষতি হবে না। বিজেপি জেলা সভাপতি বিদ্যাসাগর চক্রবর্তী এই যোগদান প্রসঙ্গে বলেন, “ভয় দেখিয়ে নয়ত লোভ দেখিয়ে তৃণমূলে যোগদান চলছে। চলুক, তাতে বিজেপির কোনও সমস্যা হবে না। সময়ে মানুষ এর জবাব দেবে।”
আরও পড়ুন: পুরুলিয়ায় ভাঙন কংগ্রেসে, ‘মেগা যোগদান’ ঘাসফুলে, নীরব বাম শরিক