ইয়াস-কোটাল-বর্ষায় সলিল সমাধি ঘরের, তবু ভিটে ছুঁয়ে থাকতে মাচায় সংসার ইউনুসের

Sundarban: ১০ ফুট উঁচু এই মাচাতে উঠতে বাশের সিঁড়ি ব্যবহার করেন সকলে। উপরে মানুষ আর নীচে বাড়ির পোষ্যরা।

ইয়াস-কোটাল-বর্ষায় সলিল সমাধি ঘরের, তবু ভিটে ছুঁয়ে থাকতে মাচায় সংসার ইউনুসের
নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 07, 2021 | 2:12 PM

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের পর কেটে গিয়েছে দু’মাসের বেশি সময়। দুর্যোগে বহু মানুষ হারিয়েছিলেন ভিটে-‌মাটি। সুন্দরবনের নামখানা ব্লকের বিচ্ছিন্ন মৌসুনি দ্বীপের পয়লাঘেরি এলাকার ১০টি পরিবার এখনও বাড়িতেই ফিরতে পারেনি। পূর্ণিমার কোটাল আর ইয়াসের জোড়া ফলায় বটতলা নদী ও বঙ্গোপসাগরের ঢেউ ধুয়ে মুছে সাফ করে দিয়েছে উপকূলের বাড়ি ঘরগুলি।

তারপর থেকে ত্রাণ শিবিরেই দিন কাটছে ১০টি পরিবারের সদস্যের। একটি পরিবার আবার ত্রাণ শিবিরে থাকতে চায়নি। ভাসিয়ে নিয়ে যাওয়া ঘরের পাশে মাচা বেঁধে সেখানেই ঠাঁই নিয়েছে। বছর পঞ্চাশের ইউনুস মল্লিক পরিবারের পাঁচ সদস্য নিয়ে সেখানেই থাকতে চান। ঘর না থাক, ভিটেটুকু ছুঁয়ে তো থাকা হবে! দু’টি খেজুর গাছের মধ্যে তক্তপোষ দিয়ে এই মাচা বানিয়েছে মল্লিক পরিবার। চারদিক ঘেরা ত্রিপল আর চট দিয়ে।

১০ ফুট উঁচু এই মাচাতে উঠতে বাঁশের সিঁড়ি ব্যবহার করেন সকলে। উপরে মানুষ আর নীচে বাড়ির পোষ্যরা। ভরা বর্ষায় জলের ঝাপটে বার বার বেসামাল হয়ে যায় ইউনুসের মাচা। তার উপর সাপ, পোকামাকড়ের ভয় তো রয়েছেই। কিন্তু উপায়ন্তর নেই। যদিও খবর পেয়ে ব্লক প্রশাসন তাদের মাচা থেকে নামিয়েছে।

প্রতিটি পরিবারকে আলাদা করে চাল, ত্রিপল দেওয়া হয়েছে। ইয়াসের ক্ষতিপূরণের টাকাও পাবে পরিবারগুলি। নামখানার বিডিও শান্তনু সিংহ ঠাকুর বলেন, “ইয়াসে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মৌসুনি। তারপরও চলছে টানা বৃষ্টি ও কোটাল। ওই পরিবারগুলিকে নতুন করে বাড়ি তৈরি করে দেওয়া যাচ্ছে না। তবে চাল, ত্রিপল দেওয়া হয়েছে। বাড়ি ভাঙার ক্ষতিপূরণও পাবে। এ ছাড়া সরকারি আবাস প্রকল্পে বাড়ি তৈরির জন্য আবেদন করতে বলা হয়েছে। আবেদন পেলেই অনুমোদন দেওয়া হবে।”‌ আরও পড়ুন: নারকেল নিয়ে কাড়াকাড়ি! অতীনের হাত থেকে নারকেল কেড়ে নিয়ে ফাটিয়ে দিলেন শান্তনু!