Bhangar: অ্যাকাউন্টে ঢুকছে লাখ লাখ টাকা! ধানে-দুর্নীতির এই তথ্যের পর্দা আড়াই বছর আগেই ফাঁস করেছিল TV9 বাংলা

Bhangar: এক মহিলা বলেন, "আমার অ্যাকাউন্টে ৮৪ হাজার টাকা ঢোকে, তারপর আবার ৭০ হাজার টাকা তুলেও নেয়।" আরেক মহিলা বলেন, "আমার অ্যাকাউন্টে ৭০ হাজার টাকা ঢুকতে আমি আনোয়ারা বিবিকে ফোন করি। কিন্তু ওঁ বলেন, সেই টাকা তাঁরাই নেবেন। আমরা কিছুই তুলতে পারব না।" 

Bhangar: অ্যাকাউন্টে ঢুকছে লাখ লাখ টাকা! ধানে-দুর্নীতির এই তথ্যের পর্দা আড়াই বছর আগেই ফাঁস করেছিল TV9 বাংলা
মহিলাদের অ্যাকাউন্টে ঢুকছে লাখ লাখ টাকা!Image Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 08, 2023 | 5:00 PM

ভাঙড়: রাজ্যে ধানেও দুর্নীতির পোকা! উলুবেড়িয়ার বাসিন্দাদের অ্যাকাউন্টে ঢুকছে লাখ লাখ টাকা। সম্প্রতি অঙ্কিত রাইস মিলে তল্লাশি চালাতে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ। তবে এ তথ্য আজকের নয়। দুর্নীতির মরসুমে এই তথ্য আড়াই বছর আগের। সে দুর্নীতির পর্দাফাঁস করেছিল TV9 বাংলা। ভাঙড়ে জাগোলগাছিতে মহিলাদের অ্যাকাউন্টে ঢুকছিল দুর্নীতির টাকা। আজকে নতুন করে এই বিষয়টি প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে।

ঠিক কী ঘটেছিল সেখানে?

প্রকল্পের পোশাকি নাম স্বর্ণজয়ন্তী শেহেরি রোজগার যোজনা। লক্ষ্য শহরাঞ্চলের বেকার যুবক যুবতীদের ঋণ দিয়ে স্বর্ণনির্ভর হতে সাহায্য করা। সেই প্রকল্পের টাকা নিয়ে ভূতুড়ে কাণ্ড ভাঙড়ে। ভাঙড়ের মহিলাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে আচমকাই ঢুকছে টাকা। আবার সেই টাকা উধাও হয়ে যাচ্ছে। গোটা ঘটনায় অভিযোগ ওঠে আনোয়ারা বিবি নামে এক তৃণমূল নেত্রীর বিরুদ্ধে। এলাকার বহু মহিলা স্বর্ণজয়ন্তী প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত। তাঁদের নেতৃত্ব দেন আনোয়ারা বিবি। আনোয়ারা বিবিই তাঁদের প্রত্যেকের বাড়িতে গিয়ে ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট খুলতে বলেন। সেই মতো পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট সাইজের ছবি দেন। অ্যাকাউন্ট খোলা হয় বটে। তবে পাসবই, ডেবিট কার্ড কিছুই হাতে পাননি তাঁরা। এরই মধ্যে অ্যাকাউন্টে ঢুকতে থাকে টাকা। কে বা কারা সেই টাকা তুলেও নেয়।

এক মহিলা বলেন, “আমার অ্যাকাউন্টে ৮৪ হাজার টাকা ঢোকে, তারপর আবার ৭০ হাজার টাকা তুলেও নেয়।” আরেক মহিলা বলেন, “আমার অ্যাকাউন্টে ৭০ হাজার টাকা ঢুকতে আমি আনোয়ারা বিবিকে ফোন করি। কিন্তু ওঁ বলেন, সেই টাকা তাঁরাই নেবেন। আমরা কিছুই তুলতে পারব না।”  সেসময়ে আনোয়ারা বিবির ডেয়ার পৌঁছে গিয়েছিল TV9 বাংলা। চালিয়েছিল স্টিং অপারেশন। আনোয়ারা বিবির বক্তব্য, “বাইরে বলবেন না কিন্তু। আমরা ধান কেনার যে ব্যবসাটা করি, তাতে সরকারকে টাকা দিতে হয়। আমরা পারচেজ দেখাবো, তার ফলে টাকাটা আমাদের দেবে। তার আগে সরকার কোনও টাকা দেবে না। ওদের আসলে আমাদের চাষি হিসাবে দেখাতে হয়। আমাদের কিচ্ছু করার নেই।”

আসলে যে মানুষগুলোর নথি দিয়ে অ্যাকাউন্ট খোলানো হয়েছিল, তাদের চাষি হিসাবে দেখানো হয়। TV9 বাংলা এ খবর আড়াই বছর আগেই দেখিয়েছিল। কিন্তু তারপরও সরকার উদাসীন। আর তার প্রমাণ মেলে মঙ্গলবারই। সম্প্রতি উলুবেড়িয়ার কুলগাছিয়ায় অঙ্কিত রাইস মিলে তল্লাশি চালায় ইডি। উলুবেড়িয়া-২ ব্লকের প্রায় ৫ থেকে ৬টি গ্রামের বাসিন্দারা মুখ খুলেছেন এই রাইস মিল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, বিভিন্ন এজেন্ট মারফত গ্রামের সাধারণ মানুষের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট খোলানো হতো। সেই অ্যাকাউন্টেই ঢুকত  ধান বিক্রির টাকা। সঞ্জয় মান্না নামে এক ব্যক্তির নাম উঠে এসেছে। প্রশ্ন উঠছে, আড়াই বছর আগেই যদি সক্রিয় হত প্রশাসন, তাহলে রেশন পরিষেবা নিয়ে এ দিনটা আসত না বাংলায়।