Bhangar TMC Clash: পঞ্চায়েত বোর্ড দখল নিয়ে শাসকদলের গোষ্ঠী কোন্দল, প্রধানের পদে বহাল আরাবুল ঘনিষ্ঠ
Bhangar: পঞ্চায়েত প্রধানের পদে বহাল থাকলেন আরাবুল ইসলাম ঘনিষ্ঠরা।
ভাঙড়: ফের প্রকাশ্যে তৃণমূলে গোষ্ঠী কোন্দল। এবারের ঘটনাস্থল দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়। পঞ্চায়েত বোর্ড গঠন নিয়ে তৃণমূলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্বে প্রকাশ্য আসে। পঞ্চায়েত প্রধানের পদে বহাল থাকলেন আরাবুল ইসলাম ঘনিষ্ঠরা। অনেকদিন ধরেই ভাঙড় ২ নং ব্লকের বেওতা ১ গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা ডাকার চেষ্টা করছিলেন সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েতের একাংশ। এরা সকলেই আবদুর রহিম বা রেজাউল করিম ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। বেশ কিছুদিন আগে ওই পঞ্চায়েতের ছ’জন সদস্য অনাস্থা আনার জন্য প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়ে হাইকোর্টে মামলা করে। হাইকোর্টের নির্দেশে ভাঙড় ২ ব্লকের বিডিয়োর সহযগিতায় ৬ জন সদস্য ব্লক অফিসে অনাস্থা প্রস্তাব জমা দেন। সেই মত বৃহস্পতিবার অনাস্থার জন্য উভয়পক্ষের সব সদস্যদের পঞ্চায়েতে ডাকা হয়।
গোটা ঘটনায় যাতে কোনও অশান্তি না হয় সেজন্য কলকাতার লেদার কমপ্লেক্স থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকে। কলকাতা পুলিশের ইষ্ট ডিভিসনের অন্যান্য থানা থেকেও প্রচুর পুলিশ ও আধিকারিকরা আসেন এলাকায়। ডিসি ও এসি পদ মর্যাদার বেশ কয়েকজন অফিসার ছিলেন সেখানে। যদিও দেখা যায় ৬ জনের কেউই এদিন পঞ্চায়েতে উপস্থিত হয়ে অনাস্থা প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেননি। কারণ ওই ৬ জনের মধ্যে ৪ জনের সদস্যপদ খারিজ করে দিয়েছে হাইকোর্ট।
পঞ্চায়েত আইন অনুসারে ওই চারজন সদস্য দীর্ঘদিন ধরেই পঞ্চায়েতে উপস্থিত থাকেননি। কোনও মিটিং বা রেজুলেশনের খাতায় সই করেননি। তাই এদের সদস্য পদ খারিজ হওয়ার সঙ্গে-সঙ্গে ভোটাধিকারের অধিকার হারায়। এতেই আরাবুল ঘনিষ্ট প্রধান স্বপদে বহাল থাকেন। আরাবুল ইসলাম বলেন, “রেজাউল করিম কে? কতদিন হয়েছেন তিনি চেয়ারম্যান হয়েছেন? চেয়ারম্যানের কী ক্ষমতা উনি জানেন। আমরা তো এই সব কোনও দিন শুনিনি।”
আরও পড়ুন: Balurghat School: হঠাৎ বন্ধ ৩০ টি শিশু শ্রমিক স্কুল, কর্মহীন ২০০ কর্মী