Trafficking: দু’বছরের ভালবাসা, ‘প্রেমিকের’ সঙ্গে ঘর ছেড়ে অন্ধকার গলিতে গিয়ে পড়ল নাবালিকা
South 24 Parganas: তদন্তকারী অফিসার জানান, ক্যানিংয়ের সন্দেশখালি এলাকার ওই যুবকের সঙ্গে ওই নাবালিকার পরিচয় হয়েছিল। তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা: গ্রাম বাংলার চেনা ছবি। ভালবেসে ঘর ছাড়ে অল্পবয়সী মেয়েরা। দু’চোখে রঙিন স্বপ্ন নিয়ে লুকিয়ে বরের হাত ধরে পাড়ি ভিন রাজ্যে। তার পর…। বহুদিন কেটে গেলেও খোঁজ মেলে না। একদিন জানা যায়, কোনও চোরা পথের বাঁকে হারিয়ে গিয়েছে ফুটফুটে সেই ছোট্ট মেয়েটি। সম্প্রতি জয়নগর থানার পুলিশ মুম্বই থেকে উদ্ধার করে এনেছে এরকমই এক নাবালিকাকে। অভিযোগ, তাঁকে যৌনপল্লিতে বিক্রি করে দেওয়ার পরিকল্পনা করেই নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। যদিও শেষ রক্ষা হয়নি। এই ঘটনায় একজনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে।
অভিযোগ, দু’বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি করে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সম্প্রতি জয়নগরের ওই কিশোরীকে ঘর থেকে বের করে নিয়ে গিয়েছিল এক যুবক। এরপরই নবম শ্রেণির ওই ছাত্রীকে মুম্বইয়ে পাচার করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। ওই নাবালিকার ভবিষ্যৎ আরও কোনও অন্ধকার কুঠুরির দিকে ঠেলে দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল। তবে শেষমেশ তা হয়নি। জয়নগর থানার পুলিশের তৎপরতায় ঘরে ফিরেছে সেই মেয়ে।
মুম্বই থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ওই নাবালিকাকে। একই সঙ্গে হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্তকেও। মঙ্গলবার মুম্বইয়ের আদালতে অভিযুক্তকে তোলা হলে ট্রানজিট রিমান্ডে ধৃতকে শুক্রবার রাতেই জয়নগরে নিয়ে আসে জয়নগর থানার থানার পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতের বাড়ি ক্যানিং থানার সন্দেশখালিতে। বারুইপুর পুলিশ জেলায় তাঁর নামে বেশ কয়েকটি নারী পাচারের অভিযোগও রয়েছে আগে থেকেই। দিল্লি, মুম্বইতে তিনি পাচারের কাজ করতেন বলেও অভিযোগ। তাঁর সঙ্গে আর কারা জড়িত তা পুলিশ তদন্ত করে দেখছে।
গত অক্টোবর মাসের শেষ সপ্তাহে জয়নগর থানা এলাকার এক নাবালিকা নিখোঁজ হয়ে যায়। পরিবারের লোকজন থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। আইসি অতনু সাঁতরার নির্দেশে এসআই বিট্টু পালের নেতৃত্বে একটি তদন্তকারী টিম গঠন করা হয়।
তদন্তকারী অফিসার জানান, ক্যানিংয়ের সন্দেশখালি এলাকার ওই যুবকের সঙ্গে ওই নাবালিকার পরিচয় হয়েছিল। তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল। এরপরই তাকে বিয়ে করবে বলে ভুলিয়ে বাড়িছাড়া করেন। মুম্বই ঘোরাতে নিয়ে যাচ্ছে বলে রাজ্য ছাড়ে।
সেখানে গিয়েই নাবালিকা বুঝতে পারে কত বড় ভুল করে ফেলেছে সে। অভিযোগ, একটি যৌনপল্লিতে মোটা টাকার বিনিময়ে তাঁকে বিক্রিরও পরিকল্পনা ছিল ওই যুবকের। অনেক বেসরকারি সংস্থা এই তদন্তে সাহায্য করে। শুরু হয় মোবাইল নম্বর ট্র্যাক করা। তারপরেই সন্ধান পাওয়া যায় জয়নগরের ওই মেয়ের। এদিকে অভিযুক্তকে ক্যানিং থানার পুলিশও দীর্ঘদিন ধরে খুঁজছিল। এবার আর রক্ষা পেলেন না তিনিও। ধৃতকে শনিবার জয়নগর থানার পুলিশ বারুইপুর মহকুমা আদালতে পাঠিয়েছে।
আরও পড়ুন: বাইকের পিছনে বসা হাত বাঁধা দুই নাবালিকা, পুলিশ ধরতেই কান্না শুরু! চাঞ্চল্যকর ঘটনা খাস কলকাতায়