Diamond Harbour: সতর্কতা সত্ত্বেও ইলিশ ধরতে গিয়েছিলেন, মাঝ সমুদ্রে ডুবল আরও এক ট্রলার
Diamond Harbour: গত ৫ দিন আগে কাকদ্বীপ ঘাট থেকে ইলিশ ধরার জন্য বেরিয়েছিল এই ট্রলারটি। কয়েকদিন ইলিশ ধরার পর আবহাওয়ার সতর্কবার্তা পেয়ে ঘাটে ফেরার পথে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে।
ডায়মন্ডহারবার: বঙ্গোপসাগরে আবারও ডুবল মৎস্যজীবীদের ট্রলার। আবহাওয়া দফতরের সতর্কবার্তা থাকার পর সোমবার গভীর রাতে ঘাটে ফিরছিল এফবি গঙ্গাময়ী নামের ট্রলারটি। জানা যাচ্ছে, সেই সময় সমুদ্র উত্তাল ছিল। পাথরপ্রতিমার সীতারামপুর থেকে আরও ২৫ কিলোমিটার গভীরে ঢেউয়ের জেরে উল্টে যায় ট্রলারটি।
শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, ট্রলারে ১৭ জন মৎস্যজীবী ছিলেন। ডুবন্ত টলার থেকে বাঁচার জন্য চিৎকার করতে থাকেন মৎস্যজীবীরা। বরাত জোরে সে সময়ে পাশেই ছিল আরও একটি ট্রলার। ওই ট্রলারের সদস্যরা ১৭ জন মৎস্যজীবীকে উদ্ধার করেন। জলে ঢুবে মৎস্যজীবীরা কিছুটা অসুস্থ হয়ে পড়েন। মৎস্যজীবীদের উদ্ধার করে কাকদ্বীপে নিয়ে যাওয়া হয়। ডুবে যাওয়া ট্রলারটি উদ্ধারের জন্য আরও ট্রলার পাঠানো হয়েছে।
গত ৫ দিন আগে কাকদ্বীপ ঘাট থেকে ইলিশ ধরার জন্য বেরিয়েছিল এই ট্রলারটি। কয়েকদিন ইলিশ ধরার পর আবহাওয়ার সতর্কবার্তা পেয়ে ঘাটে ফেরার পথে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে।
ঠিক তিন দিন আগেই ইলিশের সন্ধানে বঙ্গোপসাগরে ট্রলার নিয়ে গিয়েছিলেন মৎস্যজীবীরা। গঙ্গাসাগরের কাছে ওই ট্রলারটি ডুবে গিয়েছিল। ওই ট্রলারে আট জন মৎস্যজীবী ছিলেন। তাঁদের প্রত্যেককেই উদ্ধার করা সম্ভব হয়। হতাহতের কোনও খবর নেই। সেক্ষেত্রেও পাশের ট্রলারের মৎস্যজীবীদের সহায়তায় প্রাণে বাঁচেন তাঁরা।
গত সপ্তাহেই কাকদ্বীপ এলাকার কাছে আরও একটি ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটে। ট্রলারের নীচের অংশ ফুটো হয়ে যায়। জল ঢুকে ট্রলারটি ডুবে যায়। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, যেখানে আবহাওয়া দফতরের তরফে সতর্কতা জারি করা থাকলেও, কেন মৎস্যজীবীরা সমুদ্রে যাচ্ছেন, যেতে পারছেন? প্রশাসনের নজরদারি নিয়েও প্রশ্ন থাকছে।